ETV Bharat / state

শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হবে কোরোনা চিকিৎসা, বকেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

author img

By

Published : Jun 6, 2020, 10:01 PM IST

এবার শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হতে চলেছে COVID-19 হাসপাতাল।এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল ওই হাসপাতালে স্থায়ী-অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। আতঙ্কের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতনের দাবিতে আজ বিক্ষোভে বসলেন হাসপাতালের কর্মীরা।

জেলায় নতুন COVID-19 হাসপাতাল
জেলায় নতুন COVID-19 হাসপাতাল

শালবনি, 6 জুন : রাজ্য়ে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিম মেদিনীপুরও। কোনওদিন 12 জন, তো কোনওদিন 16 জনের আক্রান্তের খবর আসছে জেলায়। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। তারই মধ্যে হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছে ট্রেনে, বাসে করে।পরিযায়ী শ্রমিক সংখ্যা বেড়েই চলছে দিন-দিন। এই অবস্থায় মেদিনীপুরের দুটি হাসপাতালকে লেভেল 1 ও লেভেল 2 কোরোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি নতুন করে জিন্দালদের অধিগ্রহণ করা শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকেও কোরোনা হাসপাতালে রূপান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

গত 29 মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক ডাঃ রেশমি কোমলের নেতৃত্বে শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের একটি দল। ওইদিনই তাঁরা জানিয়ে দেন এই হাসপাতালটি কোরোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু হতে চলেছে। এরপর 5 জুন থেকে এই হাসপাতালে ভরতি থাকা অন্যান্য রোগীকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দশজনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি অবশিষ্ট 25-30 জনকে আজ-কালের মধ্যে স্থানান্তর করা হবে।

শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন হাসপাতালের স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীরা। হাসপাতালে কর্মরত স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বক্তব্য, "হঠাৎ করে আমরা জানতে পারি এটি কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত হবে। তাই আউটডোর পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় আজ। সকাল থেকেই এমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধ। এদিকে আমাদের বেতন প্রায় গত দু-তিন মাস বাকি রয়েছে। এপ্রিল মাসের বেতন অর্ধেক দেওয়া হয়েছে। অনেকে আবার তাও পাননি। মে মাসের বেতন সম্পূর্ণভাবে বাকি রয়েছে। তাছাড়াও আমরাদের জানানো হয়েছিল যে একসঙ্গে 31 মে এর মধ্যে সমস্ত বেতন দেওয়া হবে। কিন্তু তা না দেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হই।"

তাঁদের আরও বক্তব্য, "রাজ্য সরকারকে এই কোভিড হাসপাতাল চালু করার আগে আমাদের সমস্ত বেতন মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। তবে আমরা আমাদের আন্দোলনের জেরে এমারজেন্সি রোগীদের কথা ভেবে পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করব না।"

উল্লেখ্য এর আগেও মেদিনীপুরের লেভেল 1 হাসপাতালেও বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা।

শালবনি, 6 জুন : রাজ্য়ে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিম মেদিনীপুরও। কোনওদিন 12 জন, তো কোনওদিন 16 জনের আক্রান্তের খবর আসছে জেলায়। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। তারই মধ্যে হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছে ট্রেনে, বাসে করে।পরিযায়ী শ্রমিক সংখ্যা বেড়েই চলছে দিন-দিন। এই অবস্থায় মেদিনীপুরের দুটি হাসপাতালকে লেভেল 1 ও লেভেল 2 কোরোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি নতুন করে জিন্দালদের অধিগ্রহণ করা শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকেও কোরোনা হাসপাতালে রূপান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

গত 29 মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক ডাঃ রেশমি কোমলের নেতৃত্বে শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের একটি দল। ওইদিনই তাঁরা জানিয়ে দেন এই হাসপাতালটি কোরোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু হতে চলেছে। এরপর 5 জুন থেকে এই হাসপাতালে ভরতি থাকা অন্যান্য রোগীকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দশজনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি অবশিষ্ট 25-30 জনকে আজ-কালের মধ্যে স্থানান্তর করা হবে।

শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন হাসপাতালের স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীরা। হাসপাতালে কর্মরত স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বক্তব্য, "হঠাৎ করে আমরা জানতে পারি এটি কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত হবে। তাই আউটডোর পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় আজ। সকাল থেকেই এমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধ। এদিকে আমাদের বেতন প্রায় গত দু-তিন মাস বাকি রয়েছে। এপ্রিল মাসের বেতন অর্ধেক দেওয়া হয়েছে। অনেকে আবার তাও পাননি। মে মাসের বেতন সম্পূর্ণভাবে বাকি রয়েছে। তাছাড়াও আমরাদের জানানো হয়েছিল যে একসঙ্গে 31 মে এর মধ্যে সমস্ত বেতন দেওয়া হবে। কিন্তু তা না দেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হই।"

তাঁদের আরও বক্তব্য, "রাজ্য সরকারকে এই কোভিড হাসপাতাল চালু করার আগে আমাদের সমস্ত বেতন মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। তবে আমরা আমাদের আন্দোলনের জেরে এমারজেন্সি রোগীদের কথা ভেবে পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করব না।"

উল্লেখ্য এর আগেও মেদিনীপুরের লেভেল 1 হাসপাতালেও বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.