ETV Bharat / state

Durga Puja 2023: দায়সারা মনোভাব, আর্থিক অনটন! বিলুপ্তির পথে পুরোহিতের পেশা

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 3, 2023, 6:50 PM IST

হারিয়ে যাচ্ছে পুরোহিতের পেশা ৷ তাড়াহুড়োয় কোনও রকমে পুজো সারছে মানুষ ৷ মিলছে না পুরোহিতদের সম্মান ৷ নতুন প্রজন্ম আসছে না এই পেশায় ৷ ক্ষোভ আর হতাশা পুরোহিতদের গলায় ৷

ETV Bharat
বিলুপ্তির পথে পৌরহিত্য
বিলুপ্তির পথে পুরোহিতের পেশা

মেদিনীপুর, 3 অক্টোবর: সময়ের অভাব ৷ কোনও রকমে দায়সারা মনোভাবে পুজো হচ্ছে পাড়া থেকে শুরু করে বাড়িতে ৷ আর এভাবেই ধীরে ধীরে পুরোহিতমশাই হয়ে গিয়েছেন বামুন ঠাকুর ৷ নতুন প্রজন্ম আর আসছে না এই পেশাতে ৷ দুর্গাপুজোর আগে আক্ষেপ পুরোহিত সমাজের ৷ তাঁদের দাবি, পুরোহিতদের প্রতি ভালোবাসা এবং একপ্রকার দায়সারা মনোভাবের সঙ্গে যোগ হয়েছে আর্থিক অনটন ৷

একটা সময় ছিল যখন পুরোহিতরাই বিয়ে, অন্নপ্রাশন, নামকরণ করতেন ৷ এখন সেই চল গিয়েছে ৷ স্থানীয় ঢাকিদের পরিবর্তে মাইক বাজিয়ে ঢাকের শব্দ বাজানো হচ্ছে পুজো পার্বণে ৷ গ্রামাঞ্চল বাদ দিলে শহরতলি, শহর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অনলাইনে পুজো দেওয়ার প্রবণতা চালু হয়েছে ৷ আর তার ফলেই ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এই পেশা ৷

একসময় জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরে পুরোহিতদের রমরমা ছিল ৷ শহর ও গ্রামাঞ্চলের আনাচেকানাচে পুরোহিতদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ বিশেষত, পুজোর মরশুমে গণেশ পুজো থেকে আরম্ভ করে কালীপুজো, সরস্বতী পুজো পর্যন্ত পুরোহিতরা নাওয়াখাওয়ার সময় পেতেন না ৷ ভোর থেকে উঠে গভীর রাত পর্যন্ত চলত পুজোর ব্যস্ততা ৷

এই পুজোয় একদিকে সম্মান আসত, অন্যদিকে তেমনই মিলত অঢেল দান সামগ্রী ৷ এর সঙ্গে পুরোহিতদের সম্মাননাও ৷ তবে যান্ত্রিক ব্যস্ত এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেদিনীপুরেও হারিয়ে যাচ্ছে পুরোহিত প্রথা তথা পেশা ৷ এখন বিয়েবাড়ি, অন্নপ্রাশনে নামকরণ, শ্রাদ্ধনুষ্ঠানও কোনও রকমে সারছেন জেলার মানুষ ৷ এতেই হতাশ ও ক্ষোভ শোনা গেল পুরোহিতদের গলায় ৷

সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের অভিজ্ঞ পুরোহিত অজিত চক্রবর্তী বলেন, "আগে সংস্কৃত শেখানো হত টোলে ৷ পৌরহিত্য শিক্ষার জায়গা ছিল ৷ বহু মানুষ এই পেশায় আসতেন ৷ এখন না আছে শিক্ষা, না আছে টাকা ৷ ফলে দায়সারা পরিবেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাই আর কেউ পুরোহিতের পেশায় আসতে চাইছেন না ৷ কোনওমতে আমরা টিকে রয়েছি ৷"

অন্যদিকে বটতলা কালী মন্দিরের পুরোহিত আনন্দ চক্রবর্তী বলেন, "বড় বড় প্যান্ডেলে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মূর্তি গড়া হয় ৷ কিন্তু ঠাকুরমশাইকে দেওয়ার সময় সামান্য ৷ হারাচ্ছে আমাদের পৌরহিত্যের পেশা ৷ আমরা পুরোহিত থেকে এখন বামুনে নেমে এসেছি ৷" আরেক পুরোহিত সন্তু চক্রবর্তী বলেন, "সময়ের অভাবের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শিক্ষাদীক্ষা এবং সামাজিকতার অভাব ৷ আর তাতেই কমছে এই পুরোহিতদের সম্মান ৷ এখন কোনও রকমে দায়সারা মনোভাব দিয়েই পুজো সেরে ফেলা হচ্ছে ৷"

আরও পড়ুন: বর্গী হানা রুখেছিল উগ্র ক্ষত্রিয়রা, আসানসোলে সেই পরিবারের 9 দুর্গাপুজো

বিলুপ্তির পথে পুরোহিতের পেশা

মেদিনীপুর, 3 অক্টোবর: সময়ের অভাব ৷ কোনও রকমে দায়সারা মনোভাবে পুজো হচ্ছে পাড়া থেকে শুরু করে বাড়িতে ৷ আর এভাবেই ধীরে ধীরে পুরোহিতমশাই হয়ে গিয়েছেন বামুন ঠাকুর ৷ নতুন প্রজন্ম আর আসছে না এই পেশাতে ৷ দুর্গাপুজোর আগে আক্ষেপ পুরোহিত সমাজের ৷ তাঁদের দাবি, পুরোহিতদের প্রতি ভালোবাসা এবং একপ্রকার দায়সারা মনোভাবের সঙ্গে যোগ হয়েছে আর্থিক অনটন ৷

একটা সময় ছিল যখন পুরোহিতরাই বিয়ে, অন্নপ্রাশন, নামকরণ করতেন ৷ এখন সেই চল গিয়েছে ৷ স্থানীয় ঢাকিদের পরিবর্তে মাইক বাজিয়ে ঢাকের শব্দ বাজানো হচ্ছে পুজো পার্বণে ৷ গ্রামাঞ্চল বাদ দিলে শহরতলি, শহর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অনলাইনে পুজো দেওয়ার প্রবণতা চালু হয়েছে ৷ আর তার ফলেই ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এই পেশা ৷

একসময় জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরে পুরোহিতদের রমরমা ছিল ৷ শহর ও গ্রামাঞ্চলের আনাচেকানাচে পুরোহিতদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ বিশেষত, পুজোর মরশুমে গণেশ পুজো থেকে আরম্ভ করে কালীপুজো, সরস্বতী পুজো পর্যন্ত পুরোহিতরা নাওয়াখাওয়ার সময় পেতেন না ৷ ভোর থেকে উঠে গভীর রাত পর্যন্ত চলত পুজোর ব্যস্ততা ৷

এই পুজোয় একদিকে সম্মান আসত, অন্যদিকে তেমনই মিলত অঢেল দান সামগ্রী ৷ এর সঙ্গে পুরোহিতদের সম্মাননাও ৷ তবে যান্ত্রিক ব্যস্ত এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেদিনীপুরেও হারিয়ে যাচ্ছে পুরোহিত প্রথা তথা পেশা ৷ এখন বিয়েবাড়ি, অন্নপ্রাশনে নামকরণ, শ্রাদ্ধনুষ্ঠানও কোনও রকমে সারছেন জেলার মানুষ ৷ এতেই হতাশ ও ক্ষোভ শোনা গেল পুরোহিতদের গলায় ৷

সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের অভিজ্ঞ পুরোহিত অজিত চক্রবর্তী বলেন, "আগে সংস্কৃত শেখানো হত টোলে ৷ পৌরহিত্য শিক্ষার জায়গা ছিল ৷ বহু মানুষ এই পেশায় আসতেন ৷ এখন না আছে শিক্ষা, না আছে টাকা ৷ ফলে দায়সারা পরিবেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাই আর কেউ পুরোহিতের পেশায় আসতে চাইছেন না ৷ কোনওমতে আমরা টিকে রয়েছি ৷"

অন্যদিকে বটতলা কালী মন্দিরের পুরোহিত আনন্দ চক্রবর্তী বলেন, "বড় বড় প্যান্ডেলে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মূর্তি গড়া হয় ৷ কিন্তু ঠাকুরমশাইকে দেওয়ার সময় সামান্য ৷ হারাচ্ছে আমাদের পৌরহিত্যের পেশা ৷ আমরা পুরোহিত থেকে এখন বামুনে নেমে এসেছি ৷" আরেক পুরোহিত সন্তু চক্রবর্তী বলেন, "সময়ের অভাবের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শিক্ষাদীক্ষা এবং সামাজিকতার অভাব ৷ আর তাতেই কমছে এই পুরোহিতদের সম্মান ৷ এখন কোনও রকমে দায়সারা মনোভাব দিয়েই পুজো সেরে ফেলা হচ্ছে ৷"

আরও পড়ুন: বর্গী হানা রুখেছিল উগ্র ক্ষত্রিয়রা, আসানসোলে সেই পরিবারের 9 দুর্গাপুজো

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.