মেদিনীপুর, 22 মে : আমফানের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা । প্রায় 21 হাজার কাঁচা বাড়ির ক্ষতি হয়েছে । 71 হাজার মানুষ সমস্যার মধ্যে রয়েছে । কী অবস্থায় তারা রয়েছে তা দেখতে বিপর্যস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গেলেন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার । তাদের হাতে ত্রাণ সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয় । পাশাপাশি পাঁচটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে দুর্গতদের জন্য ।
কোরোনা সংক্রমণের মাঝেই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড গোটা দক্ষিণবঙ্গ । ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ । জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার পাশাপাশি একাধিক শহরেও ভেঙে পড়েছে বহু কাঁচা বাড়ি । দাঁতন, কেশিয়াড়ি, মোহনপুর, বেলদা, নারায়ণগড় ছাড়াও ঘাটাল, দাসপুর এবং মেদিনীপুর সদরে ক্ষতির পরিমাণ অনেক । এবার সেইসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিদর্শন করে তার তালিকা তৈরি করা এবং সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করলেন পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার ।
শহরের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন পুলিশ আধিকারিকরা । দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি একটা তালিকা তৈরি করা হয় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের । এরপর দাঁতন ও মোহনপুরে উদ্দেশে বেরিয়ে যান পুলিশ সুপার । ত্রাণ এবং ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়ার পর পুলিশ সুপার জানান, "পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ নিজেদের উদ্যোগে একটি রিলিফ ভ্যান গঠন করে ত্রাণ দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে । পুলিশের সহযোগিতায় আমরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছি । আমরা সরাসরি ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছি মানুষের কাছে । পাশাপাশি ভেঙে পড়া কাঁচা, পাকা বাড়ির তালিকা তৈরি করেছি যাতে আমরা পরবর্তীকালে তার ক্ষতিপূরণ দিতে পারি ।"
তিনি আরও বলেন, "পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় 21 হাজার কাঁচা, পাকা বাড়ি ভেঙেছে । 71 হাজার মানুষকে আমার সরিয়ে এনেছিলাম । এখন ঘরছাড়া তারা । আমরা সেইসব মানুষকে সাহায্য করার জন্যই পাঁচটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছি । যাবতীয় সাহায্যের জন্য এই নম্বরগুলিতে ফোন করা যাবে । "