মেদিনীপুর, 7 জুলাই: ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, 305টি স্পর্শকাতর বুথ নিয়েই পশ্চিম মেদিনীপুরে হতে চলেছে শনিবার পঞ্চায়েত ভোট । রাত ফুরোনোর অপেক্ষায, ইতিমধ্যে নিজেদের কাজ বুঝে নিয়েছেন ভোট কর্মীরা এবং জিনিসপত্র গোজগাছ করে রওনা দিচ্ছেন নিজেদের গন্তব্যস্থলে । বর্ষাকালে ভোট হওয়ায় ভোট কর্মীদের জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে টর্চ, ওষুধের পাশাপাশি কার্বলিক অ্যাসিডও ।
পঞ্চায়েতের ভোট প্রচারপর্ব বৃহস্পতিবারই শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ রাজনৈতিক প্রচার শেষ হওয়ার পরেই ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রে ভোট কর্মী এবং প্রশাসনের তৎপরতা শুক্রবার চোখে পড়ল মেদিনীপুরের বিভিন্ন কলেজ এবং স্কুলগুলিতে । এদিন মেদিনীপুর শহরের কলেজিয়েট স্কুল থেকে ভোটকর্মীরা তাদের দায়িত্বে থাকা যাবতীয় ব্যালট বক্স, পেপার, রবার, পেন কাগজ-সহ যাবতীয় জিনিস বুঝে নেন । এরপর তারা সমস্ত জিনিস গোছগাছ করে নির্দিষ্ট গাড়িতে করে রওনা দেন গন্তব্যস্থলে ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের 3 হাজার 881 জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের ভাগ্য নির্ধারণ হবে শনিবার । এরই সঙ্গে 631টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং 60টি জেলা পরিষদ আসনেও প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে । পশ্চিম মেদিনীপুরে এই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের জন্য দেওয়া হয়েছে 40 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী । এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই জেলায় মোট স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা 305টি । যার মধ্যে বেশিরভাগটাই রয়েছে মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া গুড়গুড়ি পাল এলাকায় । এছাড়াও পিংলা, সবং, কেশপুর কেশিয়াড়ি, দাঁতন, খড়গপুর, শলবনি ও গড়বেতার মতো এলাকা ।
আরও পড়ুন: লেহর চরম ঠান্ডা থেকে দক্ষিণবঙ্গের আর্দ্রতা, কতটা খাপ খাইয়ে কাজ করতে পারবে বাহিনী ?
উল্লেখ্য, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামের মানুষ মোট তিনটি ভোট দিতে পারবেন একসঙ্গে । ভোট দিতে হবে একজন পঞ্চায়েত প্রার্থী, পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী এবং জেলা পরিষদের প্রার্থীকে । ভোট নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া গেলেও ভোট সুষ্ঠুভাবে করার জন্য বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন । এলাকায় রুট মার্চ ছাড়াও এরিয়া ডমিনেশনের কাজ শুরু করেছে তারা ৷ অন্যদিকে, গৌতম ঘোষ, মিঠুন গোস্বামীর মতো ভোটকর্মীরা বলছেন, "পঞ্চায়েত ভোট কোনও নতুন ব্যবস্থা নয় । আমরা আগেকার ভোটের মতোই এই ভোটের জন্যও প্রস্তুত ৷ এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা ঠিক রেখেছে । তবে যতক্ষণ না সেন্টারে পৌঁছচ্ছি পরিস্থিতি কী তা বলা যাবে না ৷ তবে বর্ষাকালে ভোট নিয়ে সমস্যা থাকলেও ভোট তো নিতেই যেতে হবে ৷ এটা আমাদের ডিউটি ও দায়িত্ব ।"