চন্দ্রকোনা, 24 ফেব্রুয়ারি: বাচ্চা কেনাবেচা করতে এসে ধরা পড়ল বিক্রেতা ও ক্রেতা ৷ আর তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার অন্তর্গত খিরাটি এলাকায়। যদিও ইতিমধ্যে 3 বছরের ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ ওই শিশুকে তুলে দেওয়া হয়েছে চাইল্ড লাইনের কাছে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে (One Detain for Allegedly Child Trafficking)। ঘটনাটি সরজমিনে খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
শিশু বিক্রি করা হবে! তাই বিক্রেতার খোঁজ করছে এক যাযাবর দম্পতি ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খিরাটি এলাকায় বেশ কয়েক মাস ধরেই কয়েকজন যাযাবর বসবাস করছিলেন ৷ আর সেই যাযাবরেরাই নাকি 3 বছর বয়সের এক শিশুকে বিক্রি করবে ৷ এমনই খবর পৌঁছয় প্রশাসনের কাছে। খবর পেয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। খবর দেওয়া হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাইল্ড ডিপার্টমেন্টের কাছে। খবর পেয়ে চাইল্ড বিভাগের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মুসলান সিংয়ের স্ত্রী অর্থাৎ তিনিই বাচ্চা বিক্রি করে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর কথায়, "তাঁর ভাই কয়েক মাস আগে ওই বাচ্চাটিকে তাঁদের কাছে দিয়ে গিয়েছিল।" এই বাচ্চাটি হাওড়ার কোনও এক স্টেশন থেকে তাঁর ভাই কুড়িয়ে পেয়েছিল বলে ওই মহিলা জানান। অপরদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই খিরাটি গ্রামের মানুষজন দাবি তুলেছেন সঠিক বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক বাচ্চাটিকে। এবিষয়ে জেলা চাইল্ড প্রোটেক্ট অফিসার অমল মান্না বলেন, "আমাদের কাছে খবর আসে এক যাযাবর দম্পতি একটি বাচ্চাকে নিয়ে এসে রেখেছে ৷ তাঁরা কাউকে বিক্রি করবে।"
আরও পড়ুন: মোটা টাকায় বাচ্চা বিক্রির অভিযোগ দম্পতির বিরুদ্ধে, পুলিশের জালে ‘গুণধর’ মা-বাবা
তিনি আরও বলেন, "সে মতো পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়। এলাকারই অর্চনা ঘোড়ুই নামের এক মহিলা জানান, তাঁর শ্বশুর অতুল ঘোড়ুইয়ের সঙ্গে বাচ্চাটিকে দেওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল। তাঁদের এক আত্মীয়ের কোনও বাচ্চা না-থাকায় ওই বাচ্চাটিকে দেওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল। তবে দরদাম হয়নি।" এই বাচ্চা কার, থাকবে কোথায়? রীতিমতো এই নিয়েই প্রশাসনের আধিকারিকদের বাড়ল চাপ।