বীরসিংহ, 30 নভেম্বর: বছর তিনেক আগে ঘটা করে পথবাতি চালু করে বীরসিংহ গ্রামকে আলোয় মুড়ে দিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বছর ঘুরতে না ঘুরতে একের পর এক পথবাতি অকেজো হতে থাকে। বর্তমানে প্রায় অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে বীরসিংহ গ্রাম। পথবাতি অকেজ হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বীরসিংহ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। এখন প্রশ্ন উঠছে, সমাজে অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার আলো জ্বেলেছিলেন যিনি, তাঁর গ্রামের এমন অবস্থা কেন ? অন্যদিকে, যিনি স্ট্রিট আলোয় পড়াশোনা করেছেন তাঁর গ্রামের রাস্তার আলো ধুঁকছে...
একের পর এক পথবাতি যে অকেজো তার স্বীকার করেছেন বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের সচিব তথা ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। বক্তব্য অনুযায়ী, বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আলো রয়েছে কিন্তু গ্রামের রাস্তায় বেশ কিছু পথবাতি অকেজো। তাই পথবাতি মেরামতির জন্য এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, 2019 সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালনের সময় বীরসিংহ গ্রামকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা করা হয়েছিল।
তার অঙ্গ হিসাবেই বীরসিংহ গ্রামকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। মোট 662টি পথবাতি বসানো হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একের পর এক পথবাতি অকেজো হয়ে যেতে শুরু করে বলে অভিযোগ। সন্ধ্যার পর আলো জ্বলে না সেই পথবাতির। স্থানীয় মানুষ চাইছেন প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামকে আবার আলোয় ফিরিয়ে আনুক।
এই বিষয়ে স্থানীয় দেবীদাস মুখোপাধ্যায়, সুকুমার ঘোষরা বলেন, "বিদ্যাসাগর জগতের আলো দেখিয়েছিলেন তিনি আজ অন্ধকারে। এখানে বহু পর্যটক দূর-দূরান্ত থেকে আসেন কিন্তু ঘুরে যান এই অন্ধকারের জন্য। মেনটেন্সের অভাবে সেই আলো জ্বলছে না। তাই আমরা অবিলম্বে চাইছি এই দিকে নজর দিক বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের কর্মকর্তারা। গৌতম ঘোষ নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, আলোর ব্যবস্থা অবিলম্বে করতেই হবে না-হলে অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে বিদ্যাসাগরের এই জন্মভিটে।"
যদিও এ বিষয়ে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের সচিব তথা মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, "খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবশ্যই দ্রুত আলো জ্বলে উঠবে এই গ্রামে ৷"
আরও পড়ুন: