ETV Bharat / state

Donate Money to School: শিক্ষা ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয় ! জীবনের সঞ্চিত অর্থ স্কুলকে দান কৃষক দম্পতির - বৃদ্ধ দম্পতি

জীবনের সঞ্চিত অর্থ এলাকার দু'টি স্কুলকে দান করল এক বৃদ্ধ দম্পতি (Paschim Medinipur News)। দম্পতির নাম রাখহরি ঘোষ ও ছবিরানি ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানা এলাকার পরমানন্দপুর গ্রামে ওই দম্পতির বাড়ি। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর পাশাপাশি খুশি শিক্ষক মহল থেকে ছাত্রছাত্রীরা ৷

Donate Money to School
বৃদ্ধ দম্পতি
author img

By

Published : Feb 10, 2023, 8:03 PM IST

জীবনের সঞ্চিত অর্থ স্কুলকে দান বৃদ্ধ দম্পতির

চন্দ্রকোনা, 10 ফেব্রুয়ারি: জীবনের শেষে এসে এবার সমাজকে বার্তা দিতে সঞ্চিত অর্থ দান করল এক বৃদ্ধ দম্পতি। যে স্কুলে তারা পড়াশোনা করেছেন সেই স্কুলের উন্নতিকল্পে এবং শিক্ষাকে গরিবদের মধ্যে আরও পৌঁছে দিতেই তারা এই ইচ্ছে প্রকাশ করে। এদিন তারা দু'টি স্কুল মিলিয়ে মোট এক লক্ষ টাকা দান করল (Paschim Medinipur Story)। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর পাশাপাশি খুশি শিক্ষক মহল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা।

জীবনের সঞ্চিত অর্থ এলাকার দু'টি স্কুলকে দান করল বৃদ্ধ দম্পতি। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। তাই শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতেই জরুরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যত উন্নত হবে, পরিকাঠামো যত মজবুত হবে, ততই শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে। ছাত্র-ছাত্রীরাও বেশি সুযোগ-সুবিধে পাবে। আর সেই লক্ষ্যেই এক দম্পতি দু'টি স্কুলকে অর্থ সাহায্য করল। দম্পতির নাম রাখহরি ঘোষ ও ছবিরানি ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানা এলাকার পরমানন্দপুর গ্রামে ওই দম্পতির বাড়ি।

রাখহরিবাবু মূলত কৃষিজীবী। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি তাঁর ভীষণ আগ্রহ। পরিবারের প্রত্যেককেই পড়াশোনা করিয়েছেন। নিজেও সময় পেলেই পড়াশোনা করেন। প্রবীণ এই মানুষটির বহুদিনের ইচ্ছে ছিল চাষ করে উপার্জন করা নিজের অর্থের কিছুটা দান করবেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর সেই লক্ষ্যেই দু'টি স্কুলকে বেছে নেন তিনি। একটি তাঁর গ্রামের পাশের স্কুল। সেটি হল মৌলা হাইস্কুল। যে স্কুলে 50 হাজার টাকা দান করেন তিনি।অন্যদিকে, ওই পঞ্চায়েত এলাকারই লক্ষ্মীপুর হাইস্কুলে দান করেন 50 হাজার টাকা। যে লক্ষ্মীপুর হাইস্কুলেই এক সময় পড়াশোনা করে বড় হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: পড়ুয়া পাঁচ, শিক্ষক দুই ! চলছে সরকারি প্রাথমিক স্কুল

এই অর্থ পেয়ে খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের উন্নয়নের বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারবেন তাঁরা। রাখহরিবাবু বলেন, "প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে গিয়েছি। শিক্ষা ছাড়া মানুষের উন্নতি হয় না। সমাজেরও উন্নতি হয় না। তাই ইচ্ছে ছিল আমি এবং আমার স্ত্রী দু'জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজেদের উপার্জিত যৎসামান্য অর্থ দান করব। সেই কাজ করতে পেরে খুশি। যদিও মৌলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মল্লিক জানান, ওনাদের কাছে সাহায্যে আবেদন করা হয়েছিল স্কুলের ভগ্নদশার জন্য, উনি সাড়া দিয়ে অর্থ সাহায্য করেছেন। এই টাকা স্কুলের কাছে খুবই জরুরি।

জীবনের সঞ্চিত অর্থ স্কুলকে দান বৃদ্ধ দম্পতির

চন্দ্রকোনা, 10 ফেব্রুয়ারি: জীবনের শেষে এসে এবার সমাজকে বার্তা দিতে সঞ্চিত অর্থ দান করল এক বৃদ্ধ দম্পতি। যে স্কুলে তারা পড়াশোনা করেছেন সেই স্কুলের উন্নতিকল্পে এবং শিক্ষাকে গরিবদের মধ্যে আরও পৌঁছে দিতেই তারা এই ইচ্ছে প্রকাশ করে। এদিন তারা দু'টি স্কুল মিলিয়ে মোট এক লক্ষ টাকা দান করল (Paschim Medinipur Story)। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর পাশাপাশি খুশি শিক্ষক মহল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা।

জীবনের সঞ্চিত অর্থ এলাকার দু'টি স্কুলকে দান করল বৃদ্ধ দম্পতি। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। তাই শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতেই জরুরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যত উন্নত হবে, পরিকাঠামো যত মজবুত হবে, ততই শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে। ছাত্র-ছাত্রীরাও বেশি সুযোগ-সুবিধে পাবে। আর সেই লক্ষ্যেই এক দম্পতি দু'টি স্কুলকে অর্থ সাহায্য করল। দম্পতির নাম রাখহরি ঘোষ ও ছবিরানি ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানা এলাকার পরমানন্দপুর গ্রামে ওই দম্পতির বাড়ি।

রাখহরিবাবু মূলত কৃষিজীবী। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি তাঁর ভীষণ আগ্রহ। পরিবারের প্রত্যেককেই পড়াশোনা করিয়েছেন। নিজেও সময় পেলেই পড়াশোনা করেন। প্রবীণ এই মানুষটির বহুদিনের ইচ্ছে ছিল চাষ করে উপার্জন করা নিজের অর্থের কিছুটা দান করবেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর সেই লক্ষ্যেই দু'টি স্কুলকে বেছে নেন তিনি। একটি তাঁর গ্রামের পাশের স্কুল। সেটি হল মৌলা হাইস্কুল। যে স্কুলে 50 হাজার টাকা দান করেন তিনি।অন্যদিকে, ওই পঞ্চায়েত এলাকারই লক্ষ্মীপুর হাইস্কুলে দান করেন 50 হাজার টাকা। যে লক্ষ্মীপুর হাইস্কুলেই এক সময় পড়াশোনা করে বড় হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: পড়ুয়া পাঁচ, শিক্ষক দুই ! চলছে সরকারি প্রাথমিক স্কুল

এই অর্থ পেয়ে খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের উন্নয়নের বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারবেন তাঁরা। রাখহরিবাবু বলেন, "প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে গিয়েছি। শিক্ষা ছাড়া মানুষের উন্নতি হয় না। সমাজেরও উন্নতি হয় না। তাই ইচ্ছে ছিল আমি এবং আমার স্ত্রী দু'জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজেদের উপার্জিত যৎসামান্য অর্থ দান করব। সেই কাজ করতে পেরে খুশি। যদিও মৌলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মল্লিক জানান, ওনাদের কাছে সাহায্যে আবেদন করা হয়েছিল স্কুলের ভগ্নদশার জন্য, উনি সাড়া দিয়ে অর্থ সাহায্য করেছেন। এই টাকা স্কুলের কাছে খুবই জরুরি।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.