মেদিনীপুর, 16 অগস্ট: মেদিনীপুরে (Medinipur) 'চোর ধরো, জেল ভরো' কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন সিপিএম-এর বর্ষীয়ান নেতা মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim) ৷ তাঁর দাবি, ইডি, সিবিআই-এর গোয়েন্দাগিরিতে ভয় পেয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ! সেই কারণেই কর্মীদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি ৷ তবে, নেত্রীর ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো তৃণমূলকর্মীর সংখ্যা দিন দিন কমছে বলেও দাবি করেন সেলিম ৷
এদিন সিপিএম-এর বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে জেলার নানা প্রান্ত থেকে সিপিএম-এর স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা মেদিনীপুর শহরে পৌঁছন ৷ সেই মিছিল থেকে নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারির দাবি তোলা হয় ৷ এরপর পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বসে যান মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ৷ শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ ৷ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী পুলিশের ব্যারিকেড টপকে জেলাশাসকের কার্যালয়ের অন্দরে ঢোকার চেষ্টা করেন ৷ সেই সময় পুলিশকর্মীরা তাঁদের বাধা দেন ৷ দু'পক্ষের মধ্য়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় ৷ পুলিশের লাঠির ঘায়ে তাদের দু'জন কর্মী গুরুতরভাবে জখম হয়েছে বলে দাবি সিপিএম-এর ৷ বস্তুত, বিক্ষোভস্থলে এক কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থাতেও দেখা যায় ৷
আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: 'রাজ্যে নতুন জেলা নয়, জেল চাই !' কটাক্ষ জিতেন্দ্রর
এদিনের এই কর্মসূচিতে সাড়া মিলেছে ভালোই, বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের ৷ তাতে উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে নেতৃত্বের গলাতেও ৷ এদিনের কর্মসূচিতে সেলিমের পাশেই দেখা গিয়েছে সুশান্ত ঘোষকে ৷ সেলিমের বক্তব্য, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারিতে শঙ্কা বেড়েছে তাঁদের নেত্রীর মনেও ৷ তাই তাঁকে বলতে হচ্ছে, আমি গ্রেফতার হলে আপানারা প্রতিবাদে পথে নামবেন তো ! সেলিমের দাবি, এতদিন পুলিশ প্রশাসনের সকলেই তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছিলেন ৷ কিন্তু, এখন অনেকে আর সেটা করছেন না ৷ মেদিনীপুর শহরে তৃণমূলের পাতাকা লাগানোর লোকও কমে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন এই প্রবীণ সিপিএম নেতা ৷