মেদিনীপুর, 16 জুন: ছিলেন তৃণমূলে ৷ 98 সাল থেকে কাজ করেছেন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে । 2018 সালে পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে লড়াই করেছেন ৷ প্রচার করেছেন তৃণমূলের স্বাস্থ্যসাথী, সবুজ সাথী, রুপশ্রী, যুবশ্রী-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের । কিন্তু এ বারের পঞ্চায়েতের টিকিট না পেতেই 59 বছরের সুকুমার ঘোষ ওরফে চণ্ডী ঘোষ মনোনয়ন জমা দিলেন বামেদের প্রার্থী হয়ে । তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, এ বারও তিনি ভোটে 100 শতাংশ জয়ী হবেন ।কারণ উন্নয়নের নিরিখেই তিনি ভোটে লড়বেন এ বার । যদিও তাঁর চলে যাওয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক শিবির । বিধায়িক জুন মালিয়া জানালেন, যিনি গিয়েছেন, তার জন্য দলের দরজা বন্ধ চিরদিন ।
মেদিনীপুর সদরের কর্ণগড় দশ নম্বর অঞ্চলের সুকুমার ঘোষ ওরফে চণ্ডী ঘোষ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ সমর্থক ৷ মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক কর্মকাণ্ডে তিনি যোগদান করেছেন ৷ তবে পদের জন্য আকাঙ্ক্ষা তাঁর কোনওদিনই ছিল না বলে তাঁর দাবি । 2018 সালে চণ্ডী ঘোষকে কর্ণগড় 10 নম্বর অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে মনোনীত করে দল ।
সম্প্রতি দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মেদিনীপুরের বিধায়ক অভিনেত্রী জুন মালিয়া তাঁর ঘরে রাত্রিবাস করেছেন । খাওয়া-দাওয়া করেছেন এবং দলীয় সংগঠন বাড়াতে এক প্রস্থ আলোচনাও করেছেন ৷ কিন্তু তারপরেই ছন্দপতন ৷ 2023-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট পাননি চণ্ডী ঘোষ ৷ তাই তিনি বামেদের হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । যিনি এক সময় স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী এবং শিক্ষা বন্ধু-সহ একাধিক প্রকল্প নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন, তিনি এ বার লাল ঝান্ডা নিয়ে প্রচার করছেন ।
আরও পড়ুন: আগামীতে মশাল ধরবেন অভিষেকই, পারিবারিক স্মৃতিচারণে 'রাজদণ্ড' হস্তান্তর মমতার
চণ্ডী ঘোষ বলেন, "দীর্ঘদিন উন্নয়নের সঙ্গী হয়েছি, উন্নয়নের পাশে থেকেছি এবং নিজের টাকা খরচ করে এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি । কিন্তু তারপরও এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল আমাকে সেই ভাবে সুযোগ দেয়নি ৷ তাই উন্নয়নের নিরিখেই আমি বামেদের হয়ে মনোনয়ন জমা করলাম ৷ আজ আমার দৃঢ় আশা আমি 100% জিতব । তবে যাঁরা পুরনো সহকর্মী তাঁদের সঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি, তাঁদের ছাড়তে একটু তো কষ্ট লাগছেই ।"
যদিও এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া । তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা পুরনোদের শ্রদ্ধা এবং প্রণাম জানাই । কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে এক ও একাধিক অভিযোগ রয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের মনোমালিন্য রয়েছে, যাঁরা ভালো কাজ করেননি, তাঁদেরকে সরিয়ে আমরা নতুনদের জায়গা করে দিতে চেয়েছি । সে রকমই নির্দেশ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে । তবে যিনি চলে গিয়েছেন দলের থেকে তাঁর জন্য দরজা বন্ধ এবং তাঁকে আমরা বাই বাই জানাই ।"