মেদিনীপুর, 7 মে : 42-এ 42 চাই । তাহলেই দিল্লির দরবাবে মমতাকে পাঠানো যাবে । প্রচারে গিয়ে বারবার একথা বলছেন তৃণমূল নেতা, নেত্রীরা । মমতা ব্যানার্জিকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করে মানুষের দরবারে ছুটছেন তাঁরা । কিন্তু, 42টি আসন পেলেও কি প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভব ? কারণ, লোকসভা 543 আসন বিশিষ্ট । এরমধ্যে 272 আসন পেলে তবেই কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় । তৃণমূল কংগ্রেসের তো এত প্রার্থীই নেই ! তাহলে মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রী হবেন কী করে ? কটাক্ষ করে মুকুল রায় বললেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিকৃত মস্তিষ্ক আর হয় না । উনি আজকাল তুকতাকও করছেন ।"
গতকাল মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে পথসভার আয়োজন করা হয় । সেখানে বক্তব্য রাখেন মুকুলবাবু । বলেন, "42টি আসন পেয়ে উনি কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হবেন ? ওঁর মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটেছে, না হয় তুকতাক করছেন কিংবা জ্যোতিষ গণনা করছেন । ভাবছেন কোনওভাবে যাতে একবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ।" মুকুলবাবু মাওবাদী নেতা কিষেণজির সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন । বলেন, "কিষেণজিকে সঙ্গে নিয়েই মেদিনীপুরে প্রবেশ করেছিলেন মমতা । প্রতিদিন খবর রাখতেন । কিষেণজিকে জিজ্ঞাসা করতেন কতজন মারা গেছে । CPIM-এর কতজন মারা গেছে এবং সাধারণ গ্রামবাসী কতজন মারা গেছে । আর সেই কিষেণজিকেই মারা হল । অভিষেকও একটা সভা থেকে স্বীকার করেছিল, মমতার সরকার একজনকেই খুন করেছিল । তিনি হলেন মাওবাদী নেতা কিষেণজি ।
একসময়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন মুকুল রায় । দীর্ঘদিন তিনি মমতাকে কাছ থেকে দেখেছেন । এতদিন কেন সঙ্গ দিয়েছিলেন মমতার ? উত্তর দেন নিজেই । বলেন, "CPI(M)-এর সন্ত্রাস থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম । ওরা গণতন্ত্র চুরি করছিল । চোর তাড়াতে গিয়ে ডাকাতরানিকে ডেকে নিয়ে এলাম ।"