মেদিনীপুর, 17 মে : 100 দিনের কাজ করেও পাঁচ মাস পরে টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা । এই নিয়ে আগেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় । কিন্তু তাতেও বিশেষ কাজ হয়নি । মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তাই একশো দিনের কাজের অর্থ নিয়ে আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন মমতা । দিনের পর দিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে রাজ্যকে এই অভিযোগ আগেও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে তিনি যে আর কেন্দ্রের উপর ভরসা রাখতে চাইছেন না এদিনের বৈঠকে সেই কথা শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ৷ রাজ্যের একশো দিনের শ্রমিকদের হাতে কীভাবে দ্রুত অর্থ তুলে দেওয়া যায় তার পরিকল্পনা করার নির্দেশ এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে দিয়েছেন তিনি ৷ এরজন্য ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ফান্ড তৈরি করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee announces to create crisis management fund for 100 days work) ৷
আরও পড়ুন : বীরভূমের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ও রাস্তার ভার্চুয়াল উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা এদিন বলেন, "ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্র সরকার 100 দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না । কেন্দ্র সরকার এখান থেকে যে টাকা তুলে নিয়ে যায় তার একটা অংশ আমরা পাই । কিন্তু সেটাই এখন দিচ্ছে না কেন্দ্র । গরিব মানুষেরা টাকা পাচ্ছে না । 100 দিনের কাজ শেষ হওয়ার 15 দিনের মধ্যে টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা । এ বিষয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে । কিন্তু তবুও কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না । গ্যাস থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য, যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে, তাতে গরিব মানুষেরা খাবে কী?"
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, "একশো দিনের কাজের টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেও লাভ হয়নি । গরিব মানুষেরা কাজ করছেন অথচ প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না । কয়েকটি দফতর রয়েছে যাদের সারাবছর কাজ চলে। তাদের কিছু প্রকল্প 100 দিনের কাজের মাধ্যমে করতে হবে । নতুন কাজ দেওয়ার আগে তো পুরনো টাকা মেটাতে হবে । না-হলে মানুষগুলোর চলবে কীভাবে ?"
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, কেন্দ্র 100 দিনের বকেয়া টাকা পাঠানোর আগে যাতে শ্রমিকরা কাজ করে কিছু হলেও পারিশ্রমিক পেতে পারেন, তার জন্য ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ফান্ড তৈরি করতে হবে । মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে ওই আপৎকালীন অর্থ তহবিল তৈরি করতে হবে । এই তহবিল তৈরি করার বিষয়টি দেখবেন মুখ্যসচিব । প্রয়োজনে অন্য প্রকল্প থেকে টাকা নিয়ে ফান্ড তৈরি করতে হবে । পঞ্চায়েত, পূর্ত-সহ 4টি দফতর এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ৷