খড়্গপুর, 8 জানুয়ারি : খড়্গপুরের বসন্তপুর মেলায় যজ্ঞে শামিল হয়ে রাজ্যপাল ও শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধলেন প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি সংবিধান বিরোধী হল রাজ্যের রাজ্যপাল। তাঁকে সরিয়ে চিড়িয়াখানা থেকে হাতি আনা উচিত। অপরদিকে শুভেন্দু মুকুলকে নোবেল জাতীয় পুরস্কার দেওয়া উচিত বলে কটাক্ষ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী ।
খড়্গপুর 2 নম্বর ব্লকের বসন্তপুর আমরা কজনা যুব সংঘের উদ্যোগে ও জয়গুরু যোগাযোগ সেন্টারের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে মহাবীর মেলা । বসন্তপুর মহাবীর মিলন মেলায় কোরোনা মহামারির বিদায়ের প্রার্থনায় এবং সমাজের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয় । সেই মহাযজ্ঞে শামিল হয়েছিলেন প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র ।
মহাযজ্ঞ শেষের পর মদন মিত্র বলেন, "বসন্তপুরের এই মেলা বলে দিচ্ছে আসন্ন নির্বাচনের রেজ়াল্ট কী হবে । " বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে সেই প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, "বিজেপি যদি প্রভাব ফেলে তাহলে কী আমার মাথায় ফেট্টি আর হাতে ঝান্ডা থাকত । "
আসন্ন নির্বাচনে মেদিনীপুর সম্পর্কে তৃণমূলের ভাবনা সম্পর্কে মদন মিত্র বলেন ," আমার বাড়ি ভবানীপুর আমি প্রথম বিধায়ক হয়েছি বিষ্ণুপুরের এখন এসেছি বসন্তপুরে । কেউ এটাকে মির্জাপুর বানাতে চেয়েছিল কিন্তু তা হতে দিইনি । আমরা মেদিনীপুরই রাখব । অনেকে ভাবে আমরা কাচের ঘরে বসে আছি । তা না আমি হনুমানজির যজ্ঞে বসে আছি পৃথিবীর কোনো ঢিল পাথর আমায় ছুঁতে পারবে না চ্যালেঞ্জ করছি ।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সংবিধান ভাঙেন বিজেপির এই অভিযোগের প্রসঙ্গে মদন মিত্রের জবাব, " মুখ্যমন্ত্রী যদি সংবিধান ভাঙেন তাহলে বিজেপি কী গাছ কাটতে বসে আছে । সবার আগে রাজ্যপালটাকে তাড়ান । তিনি সবচেয়ে বেশি সংবিধান বিরোধী । আর এরকম রাজ্যপাল থাকার থেকে চিড়িয়াখানার বেশ কতগুলো হাতি নিয়ে এসে রাখলে ভালো হয় । "
শুভেন্দু অধিকারীর একাধিক অভিযোগ নিয়ে মদন মিত্র বলেন ," শুভেন্দু আমার ভাইয়ের মতো । বাচ্চা ছেলে কখন যে কী বলে ফেলে তা ঠিক বুঝি না । বলছে বলুক না । মমতার কুড়ি জনের পরিবারের একজন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু শুভেন্দুর 10 জনের পরিবারের 6 জন বিধায়ক, সাংসদ এবং মন্ত্রী রয়েছেন । শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা দিয়েছে তা সঠিক নয় । আমি রেকমেন্ড করব যাতে শুভেন্দু ও মুকুলকে নোবেল জাতীয় কোনও পুরস্কার দেওয়া যায় এদের যোগ্যতা রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেনের ওপরে । "
এদিকে দলে তাঁর কোণঠাসা হয়ে থাকার প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন , " বিজেপির পলিটিক্যাল স্বীকৃতি তো ক্যানসেল হয়ে যাবে । কারণ আইপিএল ও আইএসএলে চারজনের বেশি প্লেয়ার নেওয়া যায় না । এদের দলে সবাই তো তৃণমূলের । "