চন্দ্রকোনা, 25 মে : চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর বহু বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে বলে অভিযোগ ৷ তার মধ্যে যে সংস্থার থেকে জেনারেটর ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, তাদের গত তিনবছরে প্রায় 15 লক্ষ টাকা ভাড়া বাকি ৷ ফলত সংস্থার তরফে জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ চলে গেলে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে (Load Shedding Problem in Chandrakona Rural Hospital) ৷ মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে পরিষেবা ৷ যা নিয়ে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামীণ হাসপাতালের রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের ৷
60 শয্যার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল ৷ যেখানে প্রায় রোজই বহু রোগী ভর্তি হন ৷ বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হলে, সেই ব্যস্ততম হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে থাকে বলে অভিযোগ ৷ কারণ, হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর বহু বছর ধরে খারাপ ৷ টাকার অভাবে তা সারানো হয়নি ৷ বদলে একটি বেসরকারি সংস্থার থেকে জেনারেটর ভাড়া করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, গত 3 বছর ধরে সেই সংস্থাকে জেনারেটরের ভাড়ার টাকা মেটানো হয়নি ৷ ফলে বকেয়া বিল গিয়ে ঠেকেছে প্রায় 15 লক্ষ টাকা ৷ অভিযোগ, সংস্থার তরফে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, তারা জেনারেটর পরিষেবা দিতে পারবে না ৷
আরও পড়ুন : Rashidpur Rural Hospital : রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতাল বিকল্প বিদ্যুতের অভাবে বিপাকে রোগীরা
আর তারপর থেকেই লোডশেডিং হলেই অন্ধকারে ডুবে যায় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল ৷ মোমবাতি জ্বালিয়ে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ যা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ রোগী এবং তাঁদের পরিজনরা ৷ বিশেষ করে গরমের সময় আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে রোগীদের ৷ এই পরিস্থিতি মাঝে মধ্যে রোগীদের নিয়ে ওয়ার্ডের বাইরে বেরিয়ে আসতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ পরিস্থিতির কথা স্বীকার করেছেন চন্দ্রকোনার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপ্ননীল মিস্ত্রি ৷ তিনি জানান, সমস্যার সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন ৷