মেদিনীপুর, 8 অক্টোবর: মেদিনীপুর কলেজে শুরু হল দু'দিন ব্যাপী জঙ্গলমহল সাহিত্য উৎসব। যাতে অংশ নিচ্ছে প্রায় 239 জন কবি সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক। গতকাল, শনিবার মেদিনীপুর কলেজে শিক্ষামন্ত্রী তথা বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি ব্রাত্য বসুর হাত ধরে সূচনা হয় জঙ্গলমহল সাহিত্য উৎসব। যদিও উৎসবের সূচনার পরেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাম জমানাতে আদিবাসী কবি সাহিত্যিকদের কোনও মর্যাদা দেওয়া হত না বলেই উল্লেখ করলেন মন্ত্রী।
এই উৎসবে যোগ দিতে মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ ভিন্ন জেলা থেকে 197 জন কবি, 19 জন গল্পকার ও 23 জন সাহিত্যিক প্রাবন্ধিক নিয়ে মোট 239 জন কবি সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিকরা যোগ দেন। এই উৎসবে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, বীরবাহা হাঁসদা, মন্ত্রী শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাতো-সহ বিশেষ আধিকারিক বৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয় অ্যাকাডেমির দু'টি বই। একটি হচ্ছে রামমোহন রায়: কাল ও কালান্তর পথিক এবং অন্যটি রবীন্দ্র রচনাবলীর 21তম খণ্ড।
এই উৎসবে প্রায় 80টি লিটিল ম্যাগাজিন, পত্র-পত্রিকা ও প্রকাশনা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এদিন সাহিত্য উৎসবের সূচনার পর বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি প্রথম থেকেই বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক চেষ্টা করেছেন শুধু মেদিনীপুর নয় জঙ্গলমহল অধ্যুষিত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও ঝাড়গ্রামের কবি সাহিত্যিক এবং বিশেষ করে আদিবাসী কবি, সাহিত্যিকদের সম্মান দিতে। একটা সময় ছিল যখন তুমি আমার হয়ে গাও না তাই তুমি আমার শত্রু ৷ এমনটাই সরকারের মনোভাব ছিল।"
তিনি আরও বলেন, "কিন্তু সেই মনোভাব এখন আর নেই। তখন ছিল জর্জ বুশের মনোভাব তুমি আমার সঙ্গ দাও না, তাই শত্রু। সেই বাম জমানা হটিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি এবং আমরা জঙ্গলমহলের এই আদিবাসী সমাজের কবি সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিকদের উপরে আনার চেষ্টা করছি। উল্লেখ্য, এই উৎসবে মোট 30 জন আদিবাসী সাহিত্যিক অংশ নিয়েছেন যার মধ্যে 8 জন মহিলা। এই উৎসবের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ আজ সাহিত্যের আড্ডাতে অংশ নেবেন আবুল বাশার, প্রচেত গুপ্ত, সুধাংশু শেখর দে, নলিনী বেরা ও বিমল লামা।
আরও পড়ুন: খলজি ভেবেছিলাম, তুঘলক হবে বুঝিনি; রাজ্যপালকে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর