ব্যারাকপুর, 21 জানুয়ারি: ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন শপিং মলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড । পুড়ে খাক শপিং মলের একাংশ । শুধু শপিং মল নয়, আগুনের গ্রাসে বিরিয়ানির দোকানও । ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার লালকুঠি এলাকায় । আগুন আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় । মলের মাল্টিপ্লেক্স থেকে দ্রুত বের করে আনা হয় দর্শকদের ৷
এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে । অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের খবর না মিললেও বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে । ব্যারাকপুরের ঘোষপাড়া রোডে বহুতলে রয়েছে ওই শপিং মলটি । শপিং মল ছাড়াও সেখানে রয়েছে কাপড় এবং বিরিয়ানির দোকানও । রয়েছে মাল্টিপ্লেক্স-ও । এদিন দুপুরে আচমকাই ওই বহুতলের বিরিয়ানির দোকানে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায় । কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই আগুন দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পোশাকের শোরুমে । আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা শপিং মলটি । সিলিন্ডার বিস্ফোরণও ঘটে বলে জানা যায় ।
আগুন দেখতে পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রা তা নেভানোর চেষ্টা করেন । কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি । খবর যায় দমকলে । খবর পেয়ে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন যায় ঘটনাস্থলে । কিন্তু, ততক্ষণে আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে শপিং মল ও বিরিয়ানির দোকান । এরপর, আগুন নেভাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয় দমকল বাহিনীর । শেষমেশ প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে । তবে, কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি । দমকল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ।
এদিকে, যেখানে আগুন লেগেছে সেই ঘোষপাড়া রোডের আশপাশে প্রচুর বসতবাড়ি রয়েছে । আগুন যদি দ্রুত সেখানে ছড়িয়ে পড়ত, তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা । এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিরিয়ানির দোকানের ম্যানেজার প্রশান্ত দাস বলেন, "চাইনিজ একটি খাবারের কাউন্টার থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র । আগুনে সবকিছু শেষ । আগুন লাগার সময় সিনেমা হলের ভিতরে প্রচুর লোক ছিল । আমরাই উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের সবাইকে বাইরে বের করে এনেছি । বাইরে বেরিয়ে আসতে না পারলে বড় অঘটন ঘটতে পারত ।"
অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী । তিনি বলেন, "কীভাবে আগুন লাগল, সেটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয় । শপিং মল ও বিরিয়ানির দোকানে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে । এটুকু বলতে পারি, বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে ।"