কলকাতা, 21 জানুয়ারি: "খিদেটাকে মরে যেতে দিলে চলবে না ৷" জাতীয় দলের হয়ে প্রত্যাবর্তনের আগে এমনটাই উপলব্ধি মহম্মদ শামির ৷ অনূর্ধ্ব-15 বাংলার মেয়েদের ভারতসেরা হওয়ার সংবর্ধনা মঞ্চে সোমবার হাজির ছিলেন তিনি ৷ সিএবি'র সেই অনুষ্ঠানে এসে দীর্ঘ দিন চোটে ভোগার পর প্রত্যাবর্তনের রহস্য উন্মোচন করলেন বাংলা পেসার ৷ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামীদের মত দিকপালদের পাশে দাঁড়িয়ে কখনও আবেগে ভাসলেন আবার কখনও পা রাখলেন বা বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে।
চোদ্দ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের প্রাক-লগ্নে শামি নিজেকে মেলে ধরলেন অন্যভাবে। হয়ে উঠলেন দার্শনিক। 2023 বিশ্বকাপের সর্বাধিক উইকেটশিকারি বললেন, "আমি বিশ্বাস করি দেশের হয়ে খেলতে গেলে খিদে থাকাটা জরুরি। অউর ও ভুখ কভি খতম নেহি হোনে চাহিয়ে। খিদে থাকলে পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন ঠিক ফিরে আসা যায়। হতে পারে দশবার আপনি আহত হলেন, কিন্তু তারপরও খেলা ও সাফল্যের খিদে থাকলে ঠিক ফিরে আসা যায়।"
আমেদাবাদে 2023 বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁকে বল হাতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে গোড়ালির চোটের কারণে বাইশ গজের সঙ্গে তৈরি হয়েছিল সাময়িক দূরত্ব। কেমন ছিল জীবনের সেই কঠিন পর্বটা? আবেগঘন শামির কথায়, "ক্রিকেটে চোট লাগবেই। কিন্তু বিশ্বাস রাখতে হবে প্রত্যাবর্তনের। আমি বা আমরা যাঁরা দেশ বা রাজ্যের হয়ে ক্রিকেট খেলি, তাঁদের কখনও মনে হতে পারে না ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথা।"
কেরিয়ারে স্বপ্নের উড়ান শুরু হয়েছিল ইডেন গার্ডেন্স থেকে। ক্রিকেটের নন্দনকাননেই 14 মাস পর কামব্যাক করতে চলেছেন ডানহাতি পেসার। উপলব্ধিতে শামি বলেন, "বহু স্মৃতি রয়েছে এই মাঠে। এই ইডেন এবং বাংলা আমার বাড়ি। দাদির (সৌরভ) সঙ্গেও এই ইডেনে বহু ম্যাচ খেলেছি। সেখানে ফের ফিরতে পারার অনুভূতিটাই আলাদা।"