মেদিনীপুর, 20 নভেম্বর: দুর্গাপুজোর পর বঙ্গবাসী মেতে উঠেছে জগদ্ধাত্রী পুজোয় ৷ চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য পরিচিত হলেও এখন রাজ্যের আনাচে কানাচে দেখা মেলে এই পুজোর ৷ সেখানে বাদ নেই মেদিনীপুরও ৷ তবে এখানে মাটি অথবা সিমেন্টের নয়, পট বা কাগজের জগদ্ধাত্রী বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক শিল্পী ৷ তিনি হলেন 45 বছর বয়সি সুজিতকুমার দাস । 8 ফুট বাই 6 ফুট মেড়ের মধ্যেই গড়ে তুলেছেন এই জগদ্ধাত্রী প্রতিমা । মূলত এই প্রতিমা শোভা পাবে মির্জা বাজারের চক্রবর্তী বাড়িতে । কারণ ওই বাড়িতে মূর্তি পুজোর চল নেই ৷
সুজিতের কথামতো, এই প্রতিমা গড়তে তাঁর সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ দিন । প্রথমে 8 ফুট বাই 6 ফুটের কাগজের বোর্ডের উপর তৈরি করা হয়েছে জগদ্ধাত্রী দেবীকে । এরপর ডাকের গয়না দিয়ে তিনি মাকে সাজিয়ে তুলেছেন । এই বছর প্রথম তিনি জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তৈরি করলেন । মূলত সুজিত পটের দুর্গা করে থাকেন প্রতিবছর এবং সেই দুর্গা নজর কাড়ে জেলার মানুষের মধ্যে । এ বছর চক্রবর্তী বাড়ি থেকে বরাত পেয়েছিলেন মাটি বা সিমেন্টের নয়, কাগজের প্রতিমার । সেই অনুযায়ী তাঁর এই প্রতিমা তৈরি ৷ তবে হাতে তাঁর সময় খুব কম ছিল ৷ সেই অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই রাত দিন এক করে তিনি গড়ে তুলেছেন এই প্রতিমা । সমস্ত গয়না দিয়ে সাজানোয় এই প্রতিমার উচ্চতা গিয়ে দাঁড়িয়েছে 12 ফুট বাই 10 ফুটে ।
এ বিষয়ে শিল্পী সুজিতকুমার দাস বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে অংকনের কাজ করে আসছি আমি । প্রতিবছরই কাগজের বা পটের দুর্গার অর্ডার পেতাম এই চক্রবর্তী বাড়ি থেকে । বছরে একটি প্রতিমা গড়তাম । এ বছর থেকে চক্রবর্তী পরিবারে জগদ্ধাত্রী পুজা শুরু হল ৷ বামুন ঠাকুর নির্দেশ দিয়েছেন মাটি বা সিমেন্টের মূর্তি নয়, কাগজের বা পটের প্রতিমা করতে হবে । সেই নির্দেশ মতো আমাকে প্রতিমা গড়ার বরাত দেওয়া হয় ৷ চটজলদি কাজ শুরু করেছি তবে এটি তৈরি করতে লেগেছে প্রায় পাঁচ দিন । তবে এই পটের জগদ্ধাত্রী নজর কাড়বে চক্রবর্তী বাড়িতে ।"
এখন অপেক্ষা জগদ্ধাত্রী পুজোর । ইতিমধ্যে চন্দননগর-সহ বিভিন্ন জায়গায় জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ তবে মেদিনীপুরের চক্রবর্তী বাড়িতে আগামিকাল অর্থাৎ নবমীতে হবে পুজো ৷ তাই তার আগে আজ নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে যাবে সেখানে সুজিতের হাতে গড়া এই কাগজের প্রতিমা ৷
আরও পড়ুন: