খড়্গপুর, 23 জুলাই : এবার নিমেষেই জুড়ে যাবে স্মার্টফোনের ভেঙে যাওয়া ডিসপ্লে স্ক্রিন ! এমনই দাবি করছেন মেদিনীপুরের গবেষকরা ৷ স্ফটিকের (Crystal) স্বয়ংক্রিয় মেরামতির (Automatic Healing) প্রক্রিয়া ব্যবহার করেই হবে এই ‘অসাধ্য সাধন’ ৷ আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) এবং কলকাতার আইআইএসইআর (IISER- Indian Institute of Science Education and Research)-এর একদল গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় আবিষ্কৃত হয়েছে মেরামতির এমনই এক পদ্ধতি ৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানভিত্তিক একটি পত্রিকায় এই আবিষ্কার সম্পর্কে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : আইআইটি খড়গপুরের কোভিব়্যাপ, মাত্র 45 মিনিটেই কোভিড পরীক্ষার নিখুঁত ফল
মূলত, তিনজন গবেষক এবং তাঁদের তিন ছাত্র মিলে এই আবিষ্কার করেছেন ৷ মোট ছ’জনের এই দলে চারজনই পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা ৷ দলের তিন গবেষক হলেন আইআইএসইআর-এর সি মাল্লা রেড্ডি ও নির্মাল্য ঘোষ এবং আইআইটি খড়্গপুরের ভানুভূষণ খাটুয়া ৷ এই তিনজনের অধীনে কাজ করা তিন ছাত্র হলেন সুরজিৎ ভুঁইয়া, শুভম চান্দেল এবং সুমন্ত কুমার করণ ৷ তাঁদের দাবি, কোনও কারণে বাইরে থেকে বল প্রয়োগ করে স্ফটিককে ভেঙে দেওয়া হলে, তাঁদের আবিষ্কৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই ভাঙা স্ফটিক ফের জুড়ে দেওয়া সম্ভব ৷
রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক সি মাল্লা রেড্ডি এবং তাঁর ছাত্র সুরজিৎ ভুঁইয়া তাঁদের গবেষণাগারে প্রথম এই বিষয়টি আবিষ্কার করেন ৷ এরপর পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নির্মাল্য ঘোষ এবং তাঁর ছাত্র শুভম চান্দেল স্ফটিকের স্বয়ংক্রিয় মেরামতির কার্যকরিতা অনুসন্ধান করেন ৷ অন্যদিকে, অধ্যাপক ভানুভূষণ খাটুয়া এবং তাঁর ছাত্র সুমন্ত কুমার করণ পর্যবেক্ষণ করে দেখেন, স্ফটিক যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম ৷ তাঁদের এই গবেষণাই প্রকাশিত হয় আমেরিকার একটি বিজ্ঞানভিত্তিক পত্রিকায় ৷
আরও পড়ুন : মঙ্গলবার আইআইটি খড়্গপুরে শ্য়ামাপ্রসাদের নামাঙ্কিত হাসপাতাল উদ্বোধন মোদির
অধ্যাপক ভানুভূষণ খাটুয়ার মতে, ‘‘বর্তমানে মোবাইল ফোন-সহ রোজের ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন জিনিসেই যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় ৷ তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় এইসব সামগ্রীতে একই সুবিধাসম্পন্ন স্ফটিক ব্যবহার করলে তার দৃঢ়তা ও স্থায়িত্ব বাড়বে ৷ এই শর্ত মোবাইলের ডিসপ্লে স্ক্রিনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ৷ শুধু তাই নয়, রোবট এবং মহাকাশযানের ক্ষেত্রেও স্ফটিকের এই স্বয়ংক্রিয় মেরামতির ক্ষমতা ব্যবহার করা যেতে পারে ৷’’