ঘাটাল, 22 অগাস্ট : বর্ষণের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা, ঘাটাল ,সবং, ডেবরা, পিংলা, ও দাঁতনের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলমগ্ন পরিস্থিতি দেখা দেয় ৷ ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে শিলাবতী ও কাঁসায় নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পায় ৷ যার ফলে নদীর উপর অবস্থিত একাধিক বাঁধ, কাঠের পল জলের তলায় চলে যায় ৷ সেগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্তও হয় ৷ মূলত শিবাবতী নদীর জলস্তর বৃদ্ধির জেরে ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোণা এক ও দুই, গরবেতা, ক্ষীরপাই প্রভৃতি এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে ৷ পাশাপাশি কাঁসায় নদীর জলস্রোত বৃদ্ধির জেরে পিংলা, দাঁতন সবং, ডেবরার বিভিন্ন গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে ৷ আজ ও বৃষ্টি জারি থাকায় বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে প্রশাসনের একাংশের মধ্যে ৷
ইতিমধ্যেই ডেবরা, সবংও দাঁতনের কয়েকটি এলাকার প্রায় 20টি পরিবারকে ইতিমধ্যেই সরকারি স্কুল ঘরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে বাকি পরিবারগুলোর পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে স্থানীয় প্রশাসন ৷ তাদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে ডেবরা, সবং প্রভৃতি এলাকার BDO অফিসে মজুত করা হয়েছে ত্রিপল, ত্রাণ সামগ্রী ৷ একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ঘাটাল, চন্দ্রকোণা প্রভৃতি এলাকার পৌরসভা ও সাংসদ অফিসেও ত্রাণ সামগ্রী মজুত করা হয়েছে ৷
মুলত প্রতিবছর বিশেষ করে ঘাটাল, দাসপুর, ক্ষীরপাইয়ের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ৷ যদিও গত তিন-চার বছরে এই সমস্ত এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ৷ তা সত্ত্বেও আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে জেলা প্রশাসন ৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি অফিসে মজুত করা হয়েছে ত্রাণের সামগ্রী ৷ সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি স্কুলগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক রশমি কোমল জানান, "বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত জেলা প্রশাসন ৷"
সম্প্রতি ঘাটালে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারি (দেব) ৷ মাস্টারপ্ল্যান এখনও পর্যন্ত না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "প্রথম দিন থেকে আমরা লড়াই করে যাচ্ছি ৷ কেন হচ্ছে না তা বোঝানোর প্রয়োজন নেই ৷ আমরা যদি কেন্দ্রের সরকারে থাকতাম তাহলে অনেকদিন আগেই হয়ে যেত ৷ আমরা সংসদে বিষয়টিকে তুলেছি ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত টাকা আসেনি ৷"