খড়গপুর, 18 অক্টোবর: ছেলের দেহ নিতে এসে আইআইটি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পড়ুয়ার পরিবার। আর সেই ক্ষোভে তারা জানায়, মৃত্যুর জন্য পুরো দায়ী আইআইটি কর্তৃপক্ষের শিক্ষকরা। এরইসঙ্গে তাদের অভিযোগ, এই জেলার পুলিশ এবং আইআইটি কর্তৃপক্ষ কেউই তাদের সহযোগিতা করেনি।
মঙ্গলবার রাতে এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় খড়গপুর আইআইটি ক্যাম্পাস চত্বর থেকে। গভীর রাতে খড়গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হলের হস্টেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়। পরে আইআইটি'র বিসিরায় টেকনোলজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কে কিরণ চন্দ্র নামে বছর চব্বিশের ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। যদিও, আইআইটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন বলে সূত্রের খবর।
সূত্র অনুযায়ী, ওই মৃত ছাত্র ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের চতুর্থ বর্ষের। ওই ছাত্রের বাড়ি তেলেঙ্গানার মেদাক জেলার তুপ্রাণ গ্রামে। এই খবর পেয়েই বুধবার ভোররাতে হাসপাতালে পৌঁছন হিজলি ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা। যদিও আইআইটি কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট প্রেস রিলিজে জানিয়েছে, এই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে ৷ ছাত্রের আত্মার শান্তি কামনা করা হচ্ছে ৷ কিন্তু এদিন বিকেল নাগাদ হায়দরাবাদ থেকে দেহ নিতে এসে বাবা ও কাকা ক্ষোভ উগরে দিল আইআইটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
তাঁরা জানান, ছেলের মৃত্যুর পিছনে রয়েছে একশ্রেণির শিক্ষকরা। তাঁরা প্রজেক্টের চাপ দিচ্ছিলেন ছেলেকে। যা ছেলে ফোনে জানিয়েছিল। সেই চাপেই ছেলে অবশেষে আত্মহত্যা করে। তবে এ বিষয়ে আইআইটির বিরুদ্ধে কোনও মামলার রুজু করবে না-বলে জানিয়েছে মৃত পড়ুয়ার পরিবার ৷ পড়ুয়ার পিতা চন্দ্রর বলেন, "ছেলেকে তার শিক্ষক প্রজেক্টের জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিয়েছে ৷ তাই ছেলে তা সামলাতে না-পেরে সুইসাইড করেছে। তবে শিক্ষকদের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে, কাকা দশরথ বলেন, "সকাল থেকে আমরা এসেছি ৷ কিন্তু এই পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ এবং আইআইটি কর্তৃপক্ষ কেউ আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। আমাদের ছেলে প্রজেক্ট করতে যদি নাই পারে, তবে আইআইটি কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আমাদেরকে জানানো, কিন্তু তা করেনি তারা। আমাদের ছেলে আত্মহত্যা করেছে প্রেসারে এসেই ৷"
আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটি'তে চতুর্থ বর্ষের ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য