ব্যারাকপুর, 29 ডিসেম্বর: ক্লাবের দখলদারি ঘিরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর 24 পরগনার সোদপুর। ক্লাবের বাইরে মারামারি থেকেে শুরু করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই গোষ্ঠীর লোকজন। তাতে জখম হয়েছেন কয়েকজন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দা থানার পুলিশ।
বিবাদমান দুই গোষ্ঠীকে থামাতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুলিশকে। পরে, আরও বাহিনী নিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এই ঘটনায় দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পানিহাটি পুরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের প্রিয়নগর এলাকায় রয়েছে স্বপন স্মৃতি সংঘ। ক্লাবের পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার ছিলেন এক পক্ষ। যদিও, অন্য পক্ষ চাইছিল ক্লাবের কর্তৃত্ব নিজেদের দিকে রাখতে। এনিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ছিল। রবিবার দুপুরে ক্লাবের মধ্যে চলছিল হিসাব পেশের মিটিং। তখনই এক পক্ষ সেখানে ঢুকে মিটিং ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
তা নিয়ে শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি। এরপরই হাতাহাতি, মারপিটে জড়িয়ে পড়েন উভয় পক্ষের লোকজন। ক্লাবের বাইরেও চলে সেই হাতাহাতি। তাতে জখম হয়েছেন দু'পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনা ঘিরে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে খড়দা থানার পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
এবিষয়ে ক্লাবের সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, "এদিন মিটিং চলছিল। তখন কাউকে কিছু না-জানিয়ে প্রাক্তন সম্পাদক অঞ্জন সরকার ক্লাবের নিয়মাবলীর বই নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। প্রতিবাদ করলে বচসা বাঁধে তাঁর সঙ্গে। তখন উনি আমার গলা চেপে ধরেন। মারধরও করেছেন। এর একটা বিহিত চাই আমরা।"
সায়ন দাস নামের অপর এক আক্রান্ত বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই ক্লাবের বড়রা ক্লাবটি দখল করে রেখেছে।নিজেদের ইচ্ছে মতো যা খুশি তাই করছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলেই সমস্যা। আমার গেঞ্জি ছিঁড়ে দিয়েছে। মারধরও করা হয়েছে আমাকে।" এদিকে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি।