চন্দ্রকোনা, 4 জানুয়ারি: দলছুট দাঁতাল হাতির আতঙ্ক চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে (Elephant attack in Chandrakona)। হুলা বানিয়ে গ্রাম ও ফসল রক্ষায় বন দফতরের সঙ্গে হাত লাগিয়েছে গ্রামবাসীরা। বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দাঁতাল হাতিটিকে তাড়িয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ধামকুড়িয়া বিটের জঙ্গলে শনিবার রাতে একটি দলছুট দাঁতাল হাতি প্রবেশ করে। বর্তমানে সেই হাতিটি রয়েছে ধামকুড়িয়া বিটের পানশিউলি জঙ্গলে। জঙ্গলের পাশেই রয়েছে বাসস্থান ৷ রবিবার বিকেল থেকেই ওই দাঁতালের তাণ্ডব শুরু হয়েছে বলে দাবি জঙ্গল লাগোয়া পানশিউলি গ্রামের বাসিন্দাদের। সূর্য ডোবার আগেই ওই দলছুট দাঁতাল হাতি পানশিউলি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আলু জমিতে নেমে ক্ষতি করছে। ইতিমধ্যেই ওই দাঁতালের তাণ্ডবে পানশিউলি আইসিডিএস কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় চরম দুশ্চিন্তায় চন্দ্রকোনা-ঘাটালের আলু চাষিরা
পানশিউলি গ্রামের কাশীনাথ সিং নামে এক চাষি অভিযোগ করেন, তাঁর কয়েক বিঘা আলু জমি মাড়িয়েছে এই দাঁতাল হাতি। দাঁতালটিকে বাগে আনতে এবং গ্রামবাসীদের আত্মরক্ষায় ইতিমধ্যেই ধামকুড়িয়া বিট অফিসের তরফে গ্রামবাসীদের হুলা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। বন দফতরের সাহায্যে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে হুলা তৈরি করে গ্রাম পাহারা ও ফসল রক্ষায় নেমেছেন। চন্দ্রকোনা রেঞ্জের রেঞ্জার তমালকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দ্রুত হাতিটিকে ড্রাইভ করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।