ETV Bharat / state

Durga Puja 2021 : প্রজাদের মঙ্গল কামনায় দাঁতনের দাস মহাপাত্র বাড়িতে আজও হয় মহামারি পুজো

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন 1 ব্লকের আঙ্গুয়া গ্রামের দাস মহাপাত্র বাড়ির পুজো ৷ বয়স 300 পেরিয়ে গেলেও চিরাচরিত প্রথা মেনেই এখানে আজও ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয় ৷

দুর্গা
দুর্গা
author img

By

Published : Oct 6, 2021, 12:49 PM IST

দাঁতন, 6 অক্টোবর : আনুমানিক 1742 সাল থেকে আজও চলে আসছে দাঁতন 1 নম্বর ব্লকের ঘোলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙ্গুয়া গ্রামের দাস মহাপাত্র বাড়ির দুর্গাপুজো ৷ পুজোর বয়স বাড়লেও আচারে কোনও পরিবর্তন হয়নি ৷ চণ্ডীমঙ্গল থেকে শুরু করে ভারতগান সবই স্বমহিমায় এখনও বিরাজিত দাস মহাপাত্র বাড়ির পুজোয় । তবে আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে মহামারি পুজো ৷

প্রায় 300 বছরেরও অধিক সময় ধরে চলে আসা এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব মহামারি পুজো ৷ আগেকার দিনে চিকিৎসা ব্যবস্থা এত উন্নত না থাকায় যে কোনও রোগ মহামারির আকার ধারণ করতে বেশি সময় লাগত না ৷ মহামারির প্রকোপে গ্রামের বহু মানুষ মারা যেত ৷ তাই এই পুজোর শুরু থেকেই মহামারি পুজোর প্রচলন চলে আসছে ৷ প্রথমা থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন গ্রামের সকলের রোগ মুক্তির প্রার্থনায় দেড় কুইন্টাল খই পোড়ানো হয় ।

এই করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে প্রাচীন এই রেওয়াজ আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক ৷ প্রতিবারের মতো তাই এবারও দাস মহাপাত্র বাড়ির সদস্যরা মহামারি মুক্ত হওয়ার প্রার্থনা করবেন দেবী দুর্গার উদ্দেশে ৷

আরও পড়ুন : Durga puja : এবছর দেবীর কোন বাহনে আগমন ও গমন? জেনে নিন কি প্রভাব পড়তে চলেছে মানব জীবনে

এই পুজোর ইতিহাস বলে, আজ থেকে প্রায় 300 বছর আগে ওড়িশার কটকের খোরদার থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন বিরিঞ্চি মোহান্তি । দাঁতনের ঘোলাইয়ের কাছে এসে সংজ্ঞা হারিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যান তিনি । এলাকার এক ব্রাহ্মণ জমিদার তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর কোথাও না গিয়ে বিরিঞ্চি মোহান্তি ব্রাহ্মণের কাছে থেকেই তাঁর সেরেস্তায় কাজ সামলাতে শুরু করেন ।

ধীরে ধীরে ব্রাহ্মণের খুব কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন বিরিঞ্চি মোহান্তি । বৃদ্ধাবস্থার আগে ব্রাহ্মণ কাশী যাত্রা করার সংকল্প গ্রহণ করলে বিরিঞ্চি বাবুকে তাঁর জমিদারি লিখে দিতে চেয়েছিলেন । কিন্তু বিরিঞ্চি মোহান্তি একজন সৎ ব্যক্তি হওয়ায় ব্রাহ্মণকে বলেন তাঁর মেয়ে ও তাঁকে জমিদারি অর্ধেক করে ভাগ করে দিতে ৷

বিরিঞ্চিবাবুর কথা মতো ব্রাহ্মণ জমিদার নিজের মেয়ে এবং বিরিঞ্চি মোহান্তির মধ্যে জমিদারি সমান ভাগে ভাগ করে দেন । এরপরই কাশী যাত্রা করেন ব্রাহ্মণ । শোনা যায়, বহু দিন ব্রাহ্মণ পরিবারের সঙ্গে থাকার দরুণ ব্রাহ্মণের কন্যার সঙ্গে বিরিঞ্চি মোহান্তির প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় । ব্রাহ্মণ কন্যা বিয়ের প্রস্তাব দিলেও জাতিতে কায়স্থ হওয়ায় সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বিরিঞ্চিবাবু ৷ এরপর বিরিঞ্চিবাবু নিজেই ব্রাহ্মণ কন্যাকে কেশিয়াড়ি ব্লকের পতি পরিবারে বিয়ে দেন । অর্ধেক জমিদারি সত্ত্বা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান ব্রাহ্মণ কন্যা । আর অর্ধেক জমিদারি নিয়ে ঘোলাইয়ের পলাশিয়াতে থেকে যান বিরিঞ্চি মোহান্তি ।

দাঁতনের দাস মহাপাত্র বাড়ির দুর্গাপুজো

আরও পড়ুন : Calcutta High Court : এবারও জারি বিধিনিষেধ, মণ্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ দর্শনার্থীদের

এরপর জমিদার বিরিঞ্চি মোহান্তি সংসারী হন । তাঁর দুই পুত্র সন্তান হওয়ায় ফের ভাগ হয় জমিদারি । বড় ছেলে আট আনা জমিদারি নিয়ে থেকে যায় পলাশিয়া গ্রামে আর ছোট ছেলে ছ'আনা জমিদারি নিয়ে চলে আসেন আঙ্গুয়া গ্রামে ।

সেই ছ'আনা জমিদারি নিয়ে শ্রীবৃদ্ধি ঘটে বিরিঞ্চি মোহান্তির ছোট ছেলের জমিদারিতে । এই জমিদারির উত্তরসূরীদের মধ্যে রূপনারায়ণ দাস মহাপাত্র দুর্গাপুজো শুরু করেন । মোহান্তি থেকে দাস মহাপাত্র হওয়ার এই বিষয়ে একটি প্রবাদ রয়েছে । ইংরেজরা মোহান্তি জমিদারদের দাস মহাপাত্র উপাধি দিয়েছিল ৷ সেই উপাধি আজ পদবিতে পরিণত হয়েছে । তদানীন্তন রাজার কাছ থেকেও চৌধুরী উপাধি লাভ করে এই পরিবার । সেই থেকে এই পরিবারের কেউ কেউ আবার চৌধুরীও পদবি হিসেবে ব্যবহার করেন ।

এই পরিবারের শেষ জমিদার যাদবেন্দ্র চৌধুরীর আমলে এই দুর্গাপুজোর শ্রীবৃদ্ধি ঘটে । তবে জমিদারি প্রথা উঠে গেলেও দাস মহাপাত্র বাড়ির দুর্গাপুজোর রীতি একই আছে । প্রথা মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজোকে আজও চালিয়ে যাচ্ছেন জমিদারবাড়ির উত্তরসূরীরা । দাস মহাপাত্র বাড়ির বর্তমান উত্তরসূরীদের কথায় জমিদার আমলে যে নিয়ম ও রীতি মেনে পুজো হতো সেই নিয়ম ও রীতি আজও অব্যাহত রয়েছে । এই পুজোর আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে । এখানে প্রতিপদ থেকে শুরু হয় পুজো ।

আরও পড়ুন : Durga Puja Special : ইন্দো-বাংলা সীমান্তে জমিদারবাড়িতে একইসঙ্গে পুজো হয় সোনা ও মাটির দুর্গার

এই পুজোর প্রধান উপদেষ্টা প্রণব দাস মহাপাত্র জানান, নবরাত্রি থেকে শুরু করে প্রত্যেক দিন মায়ের কাছে দেড় কুইন্টাল ধানের খই পোড়ানো হয় গ্রামের অসুখ বিসুখ রোধ করার জন্য । যা মহামারি পুজো নামে খ্যাত ৷ তাছাড়া মোয়া এবং লুচি-মিষ্টি যা ভোগ দেওয়া হয় তা এই পরিবারের কেউ গ্রহণ করেন না ৷ সবই দর্শনার্থীদের দিয়ে দেওয়া হয় । কারণ তাঁদের মতে, মেয়েকে দেওয়া জিনিস বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয় না । পুজোকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান তথা যাত্রাপালা ও গানের পাশাপাশি মায়ের মঙ্গলগান, ভারতগান এবং চণ্ডীমঙ্গল গানের আয়োজন করা হয় । বিশেষ করে জমিদার আমল থেকেই এই পুজোয় মহামারি পুজো চলে আসছে আজও । তৎকালীন মহামারি থেকে প্রজাদের রক্ষা করার জন্য এই পুজো করা হত যা আজও করা হয় ৷

প্রণববাবুর পাশাপাশি সৈকত দাস মহাপাত্র, অমিতাভ দাস মহাপাত্র, সমীর দাস মহাপাত্র, দীপক দাস মহাপাত্র এবং শৈশব দাস মহাপাত্র সকলে মিলে চালিয়ে যাচ্ছেন এই পুজো । কর্মসূত্রে এই পরিবারের অনেকেই ভিন রাজ্যে বাস করলেও দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে এঁরা প্রত্যেকেই একসঙ্গে একই জায়গায় মিলিত হন ।
অতীতের মতো আজও আঙ্গুয়া-সহ পার্শ্ববর্তী অসংখ্য গ্রামের মানুষের কাছে আকর্ষণ দাস মহাপাত্র বাড়ির এই প্রাচীন দুর্গোৎসব ।

আরও পড়ুন : Durga Puja : দুর্গাপুজোয় করোনাবিধি নিয়ে 11 দফা নির্দেশিকা নবান্নর

দাঁতন, 6 অক্টোবর : আনুমানিক 1742 সাল থেকে আজও চলে আসছে দাঁতন 1 নম্বর ব্লকের ঘোলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙ্গুয়া গ্রামের দাস মহাপাত্র বাড়ির দুর্গাপুজো ৷ পুজোর বয়স বাড়লেও আচারে কোনও পরিবর্তন হয়নি ৷ চণ্ডীমঙ্গল থেকে শুরু করে ভারতগান সবই স্বমহিমায় এখনও বিরাজিত দাস মহাপাত্র বাড়ির পুজোয় । তবে আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে মহামারি পুজো ৷

প্রায় 300 বছরেরও অধিক সময় ধরে চলে আসা এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব মহামারি পুজো ৷ আগেকার দিনে চিকিৎসা ব্যবস্থা এত উন্নত না থাকায় যে কোনও রোগ মহামারির আকার ধারণ করতে বেশি সময় লাগত না ৷ মহামারির প্রকোপে গ্রামের বহু মানুষ মারা যেত ৷ তাই এই পুজোর শুরু থেকেই মহামারি পুজোর প্রচলন চলে আসছে ৷ প্রথমা থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন গ্রামের সকলের রোগ মুক্তির প্রার্থনায় দেড় কুইন্টাল খই পোড়ানো হয় ।

এই করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে প্রাচীন এই রেওয়াজ আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক ৷ প্রতিবারের মতো তাই এবারও দাস মহাপাত্র বাড়ির সদস্যরা মহামারি মুক্ত হওয়ার প্রার্থনা করবেন দেবী দুর্গার উদ্দেশে ৷

আরও পড়ুন : Durga puja : এবছর দেবীর কোন বাহনে আগমন ও গমন? জেনে নিন কি প্রভাব পড়তে চলেছে মানব জীবনে

এই পুজোর ইতিহাস বলে, আজ থেকে প্রায় 300 বছর আগে ওড়িশার কটকের খোরদার থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন বিরিঞ্চি মোহান্তি । দাঁতনের ঘোলাইয়ের কাছে এসে সংজ্ঞা হারিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যান তিনি । এলাকার এক ব্রাহ্মণ জমিদার তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর কোথাও না গিয়ে বিরিঞ্চি মোহান্তি ব্রাহ্মণের কাছে থেকেই তাঁর সেরেস্তায় কাজ সামলাতে শুরু করেন ।

ধীরে ধীরে ব্রাহ্মণের খুব কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন বিরিঞ্চি মোহান্তি । বৃদ্ধাবস্থার আগে ব্রাহ্মণ কাশী যাত্রা করার সংকল্প গ্রহণ করলে বিরিঞ্চি বাবুকে তাঁর জমিদারি লিখে দিতে চেয়েছিলেন । কিন্তু বিরিঞ্চি মোহান্তি একজন সৎ ব্যক্তি হওয়ায় ব্রাহ্মণকে বলেন তাঁর মেয়ে ও তাঁকে জমিদারি অর্ধেক করে ভাগ করে দিতে ৷

বিরিঞ্চিবাবুর কথা মতো ব্রাহ্মণ জমিদার নিজের মেয়ে এবং বিরিঞ্চি মোহান্তির মধ্যে জমিদারি সমান ভাগে ভাগ করে দেন । এরপরই কাশী যাত্রা করেন ব্রাহ্মণ । শোনা যায়, বহু দিন ব্রাহ্মণ পরিবারের সঙ্গে থাকার দরুণ ব্রাহ্মণের কন্যার সঙ্গে বিরিঞ্চি মোহান্তির প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় । ব্রাহ্মণ কন্যা বিয়ের প্রস্তাব দিলেও জাতিতে কায়স্থ হওয়ায় সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বিরিঞ্চিবাবু ৷ এরপর বিরিঞ্চিবাবু নিজেই ব্রাহ্মণ কন্যাকে কেশিয়াড়ি ব্লকের পতি পরিবারে বিয়ে দেন । অর্ধেক জমিদারি সত্ত্বা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান ব্রাহ্মণ কন্যা । আর অর্ধেক জমিদারি নিয়ে ঘোলাইয়ের পলাশিয়াতে থেকে যান বিরিঞ্চি মোহান্তি ।

দাঁতনের দাস মহাপাত্র বাড়ির দুর্গাপুজো

আরও পড়ুন : Calcutta High Court : এবারও জারি বিধিনিষেধ, মণ্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ দর্শনার্থীদের

এরপর জমিদার বিরিঞ্চি মোহান্তি সংসারী হন । তাঁর দুই পুত্র সন্তান হওয়ায় ফের ভাগ হয় জমিদারি । বড় ছেলে আট আনা জমিদারি নিয়ে থেকে যায় পলাশিয়া গ্রামে আর ছোট ছেলে ছ'আনা জমিদারি নিয়ে চলে আসেন আঙ্গুয়া গ্রামে ।

সেই ছ'আনা জমিদারি নিয়ে শ্রীবৃদ্ধি ঘটে বিরিঞ্চি মোহান্তির ছোট ছেলের জমিদারিতে । এই জমিদারির উত্তরসূরীদের মধ্যে রূপনারায়ণ দাস মহাপাত্র দুর্গাপুজো শুরু করেন । মোহান্তি থেকে দাস মহাপাত্র হওয়ার এই বিষয়ে একটি প্রবাদ রয়েছে । ইংরেজরা মোহান্তি জমিদারদের দাস মহাপাত্র উপাধি দিয়েছিল ৷ সেই উপাধি আজ পদবিতে পরিণত হয়েছে । তদানীন্তন রাজার কাছ থেকেও চৌধুরী উপাধি লাভ করে এই পরিবার । সেই থেকে এই পরিবারের কেউ কেউ আবার চৌধুরীও পদবি হিসেবে ব্যবহার করেন ।

এই পরিবারের শেষ জমিদার যাদবেন্দ্র চৌধুরীর আমলে এই দুর্গাপুজোর শ্রীবৃদ্ধি ঘটে । তবে জমিদারি প্রথা উঠে গেলেও দাস মহাপাত্র বাড়ির দুর্গাপুজোর রীতি একই আছে । প্রথা মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজোকে আজও চালিয়ে যাচ্ছেন জমিদারবাড়ির উত্তরসূরীরা । দাস মহাপাত্র বাড়ির বর্তমান উত্তরসূরীদের কথায় জমিদার আমলে যে নিয়ম ও রীতি মেনে পুজো হতো সেই নিয়ম ও রীতি আজও অব্যাহত রয়েছে । এই পুজোর আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে । এখানে প্রতিপদ থেকে শুরু হয় পুজো ।

আরও পড়ুন : Durga Puja Special : ইন্দো-বাংলা সীমান্তে জমিদারবাড়িতে একইসঙ্গে পুজো হয় সোনা ও মাটির দুর্গার

এই পুজোর প্রধান উপদেষ্টা প্রণব দাস মহাপাত্র জানান, নবরাত্রি থেকে শুরু করে প্রত্যেক দিন মায়ের কাছে দেড় কুইন্টাল ধানের খই পোড়ানো হয় গ্রামের অসুখ বিসুখ রোধ করার জন্য । যা মহামারি পুজো নামে খ্যাত ৷ তাছাড়া মোয়া এবং লুচি-মিষ্টি যা ভোগ দেওয়া হয় তা এই পরিবারের কেউ গ্রহণ করেন না ৷ সবই দর্শনার্থীদের দিয়ে দেওয়া হয় । কারণ তাঁদের মতে, মেয়েকে দেওয়া জিনিস বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয় না । পুজোকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান তথা যাত্রাপালা ও গানের পাশাপাশি মায়ের মঙ্গলগান, ভারতগান এবং চণ্ডীমঙ্গল গানের আয়োজন করা হয় । বিশেষ করে জমিদার আমল থেকেই এই পুজোয় মহামারি পুজো চলে আসছে আজও । তৎকালীন মহামারি থেকে প্রজাদের রক্ষা করার জন্য এই পুজো করা হত যা আজও করা হয় ৷

প্রণববাবুর পাশাপাশি সৈকত দাস মহাপাত্র, অমিতাভ দাস মহাপাত্র, সমীর দাস মহাপাত্র, দীপক দাস মহাপাত্র এবং শৈশব দাস মহাপাত্র সকলে মিলে চালিয়ে যাচ্ছেন এই পুজো । কর্মসূত্রে এই পরিবারের অনেকেই ভিন রাজ্যে বাস করলেও দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে এঁরা প্রত্যেকেই একসঙ্গে একই জায়গায় মিলিত হন ।
অতীতের মতো আজও আঙ্গুয়া-সহ পার্শ্ববর্তী অসংখ্য গ্রামের মানুষের কাছে আকর্ষণ দাস মহাপাত্র বাড়ির এই প্রাচীন দুর্গোৎসব ।

আরও পড়ুন : Durga Puja : দুর্গাপুজোয় করোনাবিধি নিয়ে 11 দফা নির্দেশিকা নবান্নর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.