মেদিনীপুর, 27ফেব্রুয়ারি: গ্রাজুয়েশনের পর প্রাথমিকের জন্য ডিএলএড পাশ করেও চাকরি না-পেয়ে অবশেষে ফুচকার স্টল (Different kinds of Phuchkas are being sold)। মায়ের গ্রুপ লোন নিয়েই পথচলা শুরু হয়েছিল ব্যবসার। সেই ব্যবসাই এখন বেকারত্বের জ্বালা ঘোচাচ্ছে মেদিনীপুরের সুব্রত শী'র ৷ কোনও কাজই ছোট নয়, এই বার্তাকে পাথেয় করেই শহরের পুলিশ লাইন পার্কে ফুচকা বিক্রি করেছেন তিনি ৷
ফুচকা বিক্রেতা সুব্রত শী জানান, তিনি অনার্সে গ্র্যাজুয়েশন করার পর ডিএলএড করে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন (Paschim Medinipur News) । কিন্তু উচ্চশিক্ষিত হয়ে প্রাইমারিতে চাকরির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক ও একাধিক ফর্ম ফিলাপও করেছেন 30 বছরের সুব্রত। অবশেষে ফুচকার স্টল নিয়ে হাজির হয় শহরের পুলিশ লাইন পার্ক এলাকায়। ছেলেকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন মা ৷ মায়ের সাহায্যে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাহায্যে ঋণ নেন। সেই টাকা দিয়েই শুরু করেছেন ব্যবসা । রীতিমতো কয়েক হাজার টাকার মেশিন এবং দোকান ভাড়া নিয়েই জীবিকা উপার্জনের চেষ্টা করছেন সুব্রত ।
আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়ার সামনে ফুচকা-টকজলে মেতে ছবির প্রচার সারলেন বাংলার জামাই
ফুচকাপ্রেমীদের রসনাতৃপ্তিতে ভ্যারাইটি ফুচকা নিয়ে হাজির সুব্রত। আলুর পুরের ফুচকা তো আছেই তার সঙ্গে চকলেট ফুচকা,পনির ফুচকা, আইসক্রিম, জেলি ফুচকা সহ প্রায় 8-10 ধরনের ফুচকা পাওয়া যাবে ডিএলএড পাশ যুবকের দোকানো। আর সেই ফুচকা খেতে সন্ধ্যা থেকে ভিড় জমাচ্ছে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, দম্পতিরা । বাড়িতে মা, বাবা, স্ত্রী ও বছর দু'য়েকের ছেলে রয়েছে। তাদের মুখে সুব্রত অন্ন তুলে দিচ্ছেন ফুচকা বিক্রি করে ৷ একইসঙ্গে কোনও কাজই যে ছোট নয় তা সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন এই শিক্ষিত যুবক। সুব্রতর সঙ্গে দোকানে হাত মিলিয়েছেন তার শ্যালক শ্যামাশিস মান। তিনি বলেন, "জামাই বাবুর সঙ্গ দিতেই এই দোকানে আসা। আমরা বিয়ে বাড়ি-সহ যাবতীয় অর্ডার ধরে ফুচকা স্টল দিয়ে থাকি ।" সুব্রতর ফুচকার তারিফ ফিরছে গ্রাহকদের মুখে মুখে।