চন্দ্রকোণা , 10 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে ক্ষতি হচ্ছিল পান ও ফুলচাষিদের ৷ কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মানবিকতার খাতিরে পান ও ফুল বিক্রি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন ৷ তাঁরা যাতে বিক্রি করতে পারেন , তার জন্য ব্যবস্থা করে দেন ৷ কিন্তু, আড়ত বন্ধ থাকায় পান বরজেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চন্দ্রকোণার পান চাষিরা ৷
কোরোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ফলে সবকিছুই বন্ধ । সেক্ষেত্রে সবজি বাজার , মাছ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী , দুধ ওষুধের উপর শুধু ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পান ও ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছিল ৷ কোটি কোটি টাকার ফুল ও পান নষ্ট হচ্ছিল ৷ এই অবস্থায় মানবিকতার খাতিরে ফুল ও পান বিক্রিতে ছাড় দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁদের পুনরায় ব্যবসা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও তেমন কোনও আশার আলো দেখছেন না চন্দ্রকোণার পান চাষিরা ৷
সাধারণত পান চাষের পর নিয়ে যাওয়া হয় আড়তে ৷ তারপর সেখান থেকে দোকানগুলিতে বিক্রির জন্য যায় ৷ লকডাউনের ফলে আড়ত বন্ধ ৷ তাই পান বাজারে যাওয়া বন্ধ হওয়ায় বরজেই নষ্ট হচ্ছে ৷ এছাড়া এখন শিলাবৃষ্টির জেরেও পান চাষে ক্ষতি হয়েছে ৷ যার ফলে ক্ষতির মুখে পান চাষি থেকে পান বিক্রেতা সকলেই ৷ লকডাউনের মেয়াদ আরও বৃদ্ধি হলে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন চন্দ্রকোণা পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের নতুনহাট এলাকার পানচাষিরা ৷ পানচাষি সুবিনয় আঁশ ও নারায়ণ আঁশের বক্তব্য, "আড়ত বন্ধ থাকায় আমরা বরজ থেকে পান নিয়ে বিক্রি করতে পারছি না ৷ যার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা সত্ত্বেও পান চাষে ক্ষতি হচ্ছে ৷ যতদিন না আড়ত খুলবে ততদিন আমরা বিক্রি করতে পারব না ৷ যার ফলে আমরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি ৷"
পানচাষিদের সাহায্য করার জন্য আড়ত খোলার দরকার ৷ আড়তদাররা পান না কিনলে ক্ষতি হচ্ছে পানচাষিদের ৷ তাই লকডাউনে আড়তদারদের ছাড় দেওয়া হবে কি না , তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷
