ডেবরা, 18 ফেব্রুয়ারি : মামলা চলার কারণে দীর্ঘ কয়েক বছর জেলার বাইরে থাকলেও প্রায় এক বছর আগে আদালতের নির্দেশে নিজের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরতে পেরেছিলেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ (CPM Leader Susanta Ghosh)৷ নিজের ডেরায় ফেরার পর এবার জেলা পার্টিতেও এবার দুরন্ত প্রত্যাবর্তন হল রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রীর ৷ কঙ্কাল কাণ্ডের জেরে দলের অন্দরেই একসময় ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলেন দাপুটে এই সিপিএম নেতা ৷ কিন্তু দলের খারাপ সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে ফের তাঁর উপরেই ভরসা রাখতে হল সিপিএম নেতৃত্বকে ৷
সিপিএমের জেলা সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বৃহস্পতিবার সুশান্ত ঘোষকে পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের সম্পাদক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, সম্মেলনে জেলা কমিটির 66 জন সদস্যের মধ্যে 41 জনই তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৷ দলীয় সূত্রের খবর, গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষকে এই পদ দেওয়া নিয়ে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অনেকেরই আপত্তি ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেলা কমিটির রায়ই মেনে নেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন : বিনা আমন্ত্রণে তৃণমূলের কর্মসূচিতে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতার নেতৃত্বে কাজের ইচ্ছেপ্রকাশ
2011 সালের বিধানসভা ভোটে বাম বিরোধী প্রবল তৃণমূল হাওয়ায় যেখানে পরাজিত হতে হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাসগুপ্তের মতো নেতাদের, তখনও গড়বেতায় নিজের গড় থেকে জিতেছিলেন সুশান্ত ঘোষ ৷ তবে সেই বছর তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে তাঁর নাম উঠে আসে । সেই কাণ্ডের জেরেই জেলে যেতে হয় তাঁকে ৷ দীর্ঘ কয়েকমাস জেলে থাকতে হয় তাঁকে ৷ 2011 সালের 5 জুন বেনাচাপড়া থেকে উদ্ধার হয় একাধিক কঙ্কাল । সেই বছরই 11 অগস্ট এই ঘটনার তদন্তে নেমে সুশান্ত ঘোষকে গ্রেফতার করে সিআইডি ৷ 2012 সালের 3 ফেব্রুয়ারি তাঁর জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট । তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তিনি ঢুকতে পারবেন না, এই শর্ত দেওয়া হয়েছিল তাঁকে ৷ জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার কয়েক বছর পর 2018 সালে প্রথমে একটি পোর্টালে ও পরে আত্মজীবনীতে দলের বিরুদ্ধে বেশকিছু কথা লেখেন তিনি ৷ যাঁর জেরে দলে সাময়িক সাসপেনশনের শাস্তির মুখেও পড়তে হয় তাঁকে ৷
জেলা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার পর সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি দলের একজন কর্মী, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা তিনি পালন করবেন ৷