দাসপুর, 6 মে: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তালিকাও চুড়ান্ত হয়নি। তারই মাঝে আগেভাগে তিন প্রার্থীর নাম দিয়ে দেওয়াল লিখল সিপিআইএম ৷ পাশাপাশি সিপিএম সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর নামেও দেওয়াল লেখা শুরু হয়েছে। আর এই ঘটনাতেই নতুন করে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে দাসপুর জুড়ে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ নবান্ন থেকেও কমিশনের কাছে নির্ঘণ্টের বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি যায়নি ৷ তার আগেই প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লেখা শুরু করে দিয়েছে সিপিএম ৷ এমনকী নির্দল প্রার্থীর সমর্থনেও প্রচার শুরু করেছে সিপিএম ৷ যদিও দলীয় ভাবে এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি ৷ কোনও রাজনৈতিক দলের তরফেই এখনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। তারই মাঝে উলটো ছবি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর দুই নম্বর ব্লকের শ্রীবরা এলাকায়। এখানে রীতিমতো প্রার্থীদের নাম উল্লেখ করে দেওয়াল লিখন সম্পূর্ণ করে দিয়েছে সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা।
দেওয়ালে লেখা তিন প্রার্থীর নাম শিবানী কারক, লক্ষীকান্ত ভৌমিক, উত্তম মণ্ডলকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে কাস্তে-হাতুড়ি চিহ্নে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে দেওয়াল লিখন করা হয়েছে। যাকে ঘিরে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতিতে। যদিও সিপিএম নেতৃত্বের দাবি এলাকার কিছু সিপিএমের উৎসাহী কর্মী-সমর্থকরা এই নামগুলি লিখেছেন ৷ বিষয়টি নজরে আসতেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে দলের এরিয়া কমিটির তরফে ৷ জেলা সিপিএম নেতা লক্ষীকান্ত ভৌমিক জানান, গোটা ঘটনা পর্যালোচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্টির সিদ্ধান্ত ছাড়া এই ধরনের কাজ আগামিদিনে আর যাতে না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে ৷
প্রার্থী ঘোষণার আগেই দাসপুরে সিপিএমের তরফে আগেভাগে প্রার্থীর নাম দিয়ে দেওয়াল লেখার ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, "সিপিএম তো একেবারেই শুন্য হয়ে গিয়েছিল। যে কজন ওদের উঠছে তারা আবার দলের নিয়ম শৃঙ্খলার ধার ধারছে না। ওরা যদি দেওয়াল লিখেও থাকে ওরা দেওয়ালেই থাকবে ৷ সিপিএম 34 বছরে এমন কিছু করেনি যে মানুষ ওদের ভোট দিয়ে ফিরিয়ে আনবে।"
আরও পড়ুন: মণিপুরে আটকে থাকা বাঙালিদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট মুখ্যমন্ত্রীর