চন্দ্রকোনা, 18 এপ্রিল: করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার তাড়াও ৷ রবিবার এই ভ্যাকসিন নিতে গিয়েই চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে চন্দ্রকোনায় ৷ 45 বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ইট পেতে লাইন দেন গ্রাহকরা ৷ এই লাইনেই ভ্যাকসিন দেওয়ার স্লিপ বিলি নিয়ে তৈরি হয় অশান্তি ৷ পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয় ৷
রবিবার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে ভ্যকসিন নিতে আসেন শতাধিক মানুষ ৷ ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইনে স্লিপ বিলি নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় ৷ কেউ কেউ অভিযোগ করেন, চার-পাঁচদিন ধরে ঘুরেও মিলছে না ভ্যাকসিন ৷ এদিন সকাল সকাল পৌঁছেও টোকন না মেলায় কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায় । পরে খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ পৌঁছে দীর্ঘ লাইন ঠিক করে একে একে কুপন দেওয়ার কাজ শুরু করে ৷ দিলীপ লৌকি নামে এক সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ, "প্রথমে স্বাভাবিক ভাবে সবাইকে কুপন দিচ্ছিল ৷ তারপর হাসপাতালের একজন স্টাফ এসে হঠাৎ করে কুপন দেওয়া বন্ধ করে দেন ৷ আজকের দিনের কুপন কাল থেকে দিয়ে রেখেছে ৷ আজ ভোর চারটে থেকে যারা লাইন দিয়ে আছে তাদের কুপন দেয়নি ৷ আমি ভোর চারটে থেকে লাইন দিয়ে আছি ৷ আমাকে কুপন দিল না ৷"
জানা গিয়েছে, চাহিদা মতো পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুত না থাকায় ইতিমধ্যে জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় টিকাকরণ বন্ধ হয়ে আছে ৷ ভ্যাকসিন না পেয়ে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে । যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা 2 ব্লকের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে 45 বছরের ঊর্ধ্বে মহিলা-পুরুষদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক চলছিল ৷ ইট পেতে লাইন দিচ্ছিলেন মানুষ ৷ এর মধ্যেই রবিবার ভ্যাকসিন না পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই এবার চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল এখানে ৷
অবশ্য হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছতার সঙ্গে টিকা দেওয়া হচ্ছে ৷ মজুত থাকা ভ্যাকসিনের তুলনায় বেশি মানুষ এসে পড়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ৷