ETV Bharat / state

স্নানযাত্ৰার পর মাসির বাড়িতে বসছে না মেলা, অনাড়ম্বর মেদিনীপুরে রথযাত্রা

author img

By

Published : Jun 6, 2020, 2:16 PM IST

কোরোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে গেল মেদিনীপুরের রথযাত্রা । গতকাল অনাড়ম্বরভাবেই পালিত হয়েছিল জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা । অন্যদিকে , মাসির বাড়িতেও বসছে না মেলা ।

Medinipur
মেদিনীপুর

মেদিনীপুর , 6 জুন : কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে । তাই কোরোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবার প্রভাব পড়ল মেদিনীপুর জেলায় রথযাত্ৰার উপর । অনাড়ম্বরভাবেই পালিত হল প্ৰভু জগন্নাথদেব , ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রার স্নান যাত্ৰা । সোশাল ডিস্টেন্স মেনে অল্প কয়েকজন লোক নিয়ে কাঁসাই নদীর জলে স্নানযাত্ৰা পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল । তবে এবার মাসির বাড়িতে মেলা বসছে না ।

এবছর রথযাত্রায় ভাটা পড়ল মেদিনীপুর জেলায় । কেননা, এই কোরোনার কারণে সমস্ত অনুষ্ঠানের বাতিল করেছে মেদিনীপুর শহরের জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটি । শুক্রবার ছিল এই রথযাত্রার প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান । বিশেষ করে প্রভু জগন্নাথ , সুভদ্রা ও বলরামের অভিষেক ক্রিয়া তথা স্নানযাত্রা । এই প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান মূলত কাঁসাই নদী থেকে জল নিয়ে এসে জাঁকজমকভাবে এই স্নানযাত্রা পালন করা হয় এবং সেই স্নানযাত্রার জল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকার মানুষের মধ্যে । এরপর সেই পর্বে রথ বের হলে চলে যায় মাসির বাড়ি । একদিন পর থেকে সেই মাসির বাড়িতে সাত দিনব্যাপী চলে নানা রকম বেশের আয়োজন এবং সেই বেশকে কেন্দ্র করে বসে মেলা । শহর তো বটেই গোটা জেলা এবং দূর-দূরান্তের বহু মানুষ আসে এই রথযাত্রা দেখতে আসে । কিন্তু এবছর কোরোনার থাবা এবং তাতেই কাটছাঁট সমস্ত অনুষ্ঠান পর্ব । তাই অনাড়ম্বরভাবেই প্রথম পর্বের স্নানযাত্রা অনুষ্ঠিত হল । মন্দিরে নামমাত্র দু-একজন কলসিতে জল এনে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা সম্পন্ন করে জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটির মানুষজন । ভক্তরা যাতে ঢুকতে না পারে সেই জন্য গেটে তালা মেরে সোশাল ডিসটেন্স এবং মুখে মাস্ক পরিধান করেই প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় । কিন্তু রথ বের হল না । এই রথ চাবি দেওয়া অবস্থায় রয়ে গেল আগামী বছরের জন্য ।

কথিত আছে , এই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার পর তিনি 15 দিন দৃশ্যমান থাকেন না । মনে করে , তাঁর জ্বর হয়েছে । সেসময় তিনি রাজবৈদ্যের কাছে চিকিৎসাধীন । এই পর্বটির নাম অনবসর । যেহেতু এই সময় দারুব্রহ্ম কে দেখা যায় না, তাই পটচিত্রে পুজো দেন ভক্তরা । রীতিমতো কম্বলমুড়ি দিয়ে বন্দী থাকার পর রথযাত্রার দিন রাজবেশে রাজরথে করে অবতীর্ণ হয়ে মাসির বাড়িতে যান প্রভু জগন্নাথ । এইভাবেই বছরের পর বছর এই অনুষ্ঠান পর্ব চলে আসছে । এবছরের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ এলাকার মানুষের মধ্যে ।

অরূপ দাস নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন , "মনে কষ্ট হলেও মানুষের মহামারী সংক্রমণ না ঘটে সেজন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে কমিটি । ভালো উদ্যোগ । তাই এই বছর না হলেও আমরা পরের বছর ঠিক আনন্দ করব । আর এক বাসিন্দা তারকা পাইন বলেন , এই রথযাত্রা বন্ধে আমরা সত্যিই খুব দুঃখিত । তবে কোরোনাকে ঠেকাতে আর কোনও উপায় ছিল না । জেলার মানুষকে বাঁচাতে এই উদ্যোগ আগামীদিনে সংক্রমণ অনেক কমাবে বলে মনে হয় । "

যদিও মন্দির কমিটির বক্তব্য , "কোরোনা মোকাবিলায় পরিস্থিতিতে এই বছরের সমস্ত আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান কাটছাঁট করা হয়েছে । সমস্ত ভক্তবৃন্দদের আগেই বলা হয়েছে যে , সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে যেন প্রভু জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দর্শন করেন । এবারে বিগত বছরের ন্যায় আর মন্দিরে কেউ ঢুকতে পারবেন না কোনও ভক্ত । ভিড় এড়াতে এই উদ্যোগ । এরপর মাসির বাড়িতে থাকছে না কোনও ধরনের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান । সব আমরা বাতিল করেছি ।"

মেদিনীপুর , 6 জুন : কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে । তাই কোরোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবার প্রভাব পড়ল মেদিনীপুর জেলায় রথযাত্ৰার উপর । অনাড়ম্বরভাবেই পালিত হল প্ৰভু জগন্নাথদেব , ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রার স্নান যাত্ৰা । সোশাল ডিস্টেন্স মেনে অল্প কয়েকজন লোক নিয়ে কাঁসাই নদীর জলে স্নানযাত্ৰা পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল । তবে এবার মাসির বাড়িতে মেলা বসছে না ।

এবছর রথযাত্রায় ভাটা পড়ল মেদিনীপুর জেলায় । কেননা, এই কোরোনার কারণে সমস্ত অনুষ্ঠানের বাতিল করেছে মেদিনীপুর শহরের জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটি । শুক্রবার ছিল এই রথযাত্রার প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান । বিশেষ করে প্রভু জগন্নাথ , সুভদ্রা ও বলরামের অভিষেক ক্রিয়া তথা স্নানযাত্রা । এই প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান মূলত কাঁসাই নদী থেকে জল নিয়ে এসে জাঁকজমকভাবে এই স্নানযাত্রা পালন করা হয় এবং সেই স্নানযাত্রার জল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকার মানুষের মধ্যে । এরপর সেই পর্বে রথ বের হলে চলে যায় মাসির বাড়ি । একদিন পর থেকে সেই মাসির বাড়িতে সাত দিনব্যাপী চলে নানা রকম বেশের আয়োজন এবং সেই বেশকে কেন্দ্র করে বসে মেলা । শহর তো বটেই গোটা জেলা এবং দূর-দূরান্তের বহু মানুষ আসে এই রথযাত্রা দেখতে আসে । কিন্তু এবছর কোরোনার থাবা এবং তাতেই কাটছাঁট সমস্ত অনুষ্ঠান পর্ব । তাই অনাড়ম্বরভাবেই প্রথম পর্বের স্নানযাত্রা অনুষ্ঠিত হল । মন্দিরে নামমাত্র দু-একজন কলসিতে জল এনে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা সম্পন্ন করে জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটির মানুষজন । ভক্তরা যাতে ঢুকতে না পারে সেই জন্য গেটে তালা মেরে সোশাল ডিসটেন্স এবং মুখে মাস্ক পরিধান করেই প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় । কিন্তু রথ বের হল না । এই রথ চাবি দেওয়া অবস্থায় রয়ে গেল আগামী বছরের জন্য ।

কথিত আছে , এই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার পর তিনি 15 দিন দৃশ্যমান থাকেন না । মনে করে , তাঁর জ্বর হয়েছে । সেসময় তিনি রাজবৈদ্যের কাছে চিকিৎসাধীন । এই পর্বটির নাম অনবসর । যেহেতু এই সময় দারুব্রহ্ম কে দেখা যায় না, তাই পটচিত্রে পুজো দেন ভক্তরা । রীতিমতো কম্বলমুড়ি দিয়ে বন্দী থাকার পর রথযাত্রার দিন রাজবেশে রাজরথে করে অবতীর্ণ হয়ে মাসির বাড়িতে যান প্রভু জগন্নাথ । এইভাবেই বছরের পর বছর এই অনুষ্ঠান পর্ব চলে আসছে । এবছরের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ এলাকার মানুষের মধ্যে ।

অরূপ দাস নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন , "মনে কষ্ট হলেও মানুষের মহামারী সংক্রমণ না ঘটে সেজন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে কমিটি । ভালো উদ্যোগ । তাই এই বছর না হলেও আমরা পরের বছর ঠিক আনন্দ করব । আর এক বাসিন্দা তারকা পাইন বলেন , এই রথযাত্রা বন্ধে আমরা সত্যিই খুব দুঃখিত । তবে কোরোনাকে ঠেকাতে আর কোনও উপায় ছিল না । জেলার মানুষকে বাঁচাতে এই উদ্যোগ আগামীদিনে সংক্রমণ অনেক কমাবে বলে মনে হয় । "

যদিও মন্দির কমিটির বক্তব্য , "কোরোনা মোকাবিলায় পরিস্থিতিতে এই বছরের সমস্ত আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান কাটছাঁট করা হয়েছে । সমস্ত ভক্তবৃন্দদের আগেই বলা হয়েছে যে , সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে যেন প্রভু জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দর্শন করেন । এবারে বিগত বছরের ন্যায় আর মন্দিরে কেউ ঢুকতে পারবেন না কোনও ভক্ত । ভিড় এড়াতে এই উদ্যোগ । এরপর মাসির বাড়িতে থাকছে না কোনও ধরনের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান । সব আমরা বাতিল করেছি ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.