শালবনি, 21 এপ্রিল : কোরোনার থাবা এবার টাঁকশালে । তাই তড়িঘড়ি নির্দেশিকা জারি করল কর্তৃপক্ষ । কর্তৃপক্ষের তরফে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷
কয়েকদিন আগে টাঁকশালের এক আধিকারিকের স্ত্রীর মৃত্যু হয় ৷ মৃত্যুর পর জানা যায় তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন ৷ এর পরেই করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ৷ টাঁকশালের অধিকাংশ কর্মীর করোনা টেস্ট করা হয় ৷ তার মধ্য়ে সিংহভাগ কর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের নির্দেশের পর দিল্লির হাসপাতালে পৌঁছাল অক্সিজেন
এরপরেই 16 এপ্রিল কর্তৃপক্ষের তরফে বিভিন্ন বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয় ৷ কোন কোন দিন দোকান খোলা থাকবে তার তালিকা করে দেওয়া হয় ৷ সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু দোকানপাটকে যেমন মুদিখানা ডাক্তার-খানা সহ অত্যাবশকীয় পণ্য়ের দোকানগুলিকে জরুরিকালীন ছাড় দেওয়া হয়েছে। এরপর গতকাল নির্দেশিকা জারি করে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে ৷ এছাড়াও বেশ কিছু কর্মীকে সপ্তাহে তিন দিন করে অফিসে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
কর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, যে সব কর্মীদের বাড়ি অন্য় জেলায় বা অন্য় রাজ্য়ে তাঁরা এই সময় ছুটি নিয়ে সেখানে যেতে পারবেন না ৷ পাশাপাশি কেউ যদি ছুটিতে থাকেন সেসময় তাঁরা এখন অফিসে যোগ দিলে তাঁদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে ৷ তবেই তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারবেন ৷ আগামী জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে ৷
শুধু সেখানকার কর্মী বা বাসিন্দারা নন, টাঁকশালের সমস্ত নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য়ও বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷ যেসব বেসরকারি সংস্থা সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে তাদেরও ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে ৷