ETV Bharat / state

Death Certificate Controversy: মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করি, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের শংসাপত্র নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের

মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করে শংসাপত্র দিলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ৷ প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরে ৷ কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিরোধী শিবির ৷

TMC Pradhan
তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান
author img

By

Published : Apr 8, 2023, 12:59 PM IST

পাথরা (পশ্চিম মেদিনীপুর), 8 এপ্রিল: মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করলেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷ আর এরপরেই কটাক্ষ ধেয়ে এল বিরোধীদের তরফে ৷ এক ব্যক্তির পরিবারকে শংসাপত্র দিতে গিয়ে তাতে এমনটাই লিখেছেন তিনি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার অন্তর্গত পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৷ যদিও এ বিষয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান ।

জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম তারকনাথ দোলই ৷ তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে পরিবার দ্বারস্থ হয় পঞ্চায়েত প্রধান সারথি সিং-এর ৷ আর তারপরেই ঘটে এই বিপত্তি ৷ শংসাপত্রে একেবারে মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করে ফেললেন প্রধান ৷ সেই পঞ্চায়েত প্যাডে লেখা শংসাপত্র সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, মেদিনীপুর জেলার পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এক ব্যক্তিকে একটি শংসাপত্র দিয়েছেন । যেই শংসাপত্রে তিনি লিখেছেন, "এই মর্মে শংসাপত্র প্রদান করা যায় যে তারকনাথ দোলই আমাদের গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন । গত 1 জিসেম্বর 2022 সালে তিনি মারা যান । বর্তমানে উনি মৃত । উক্ত ব্যক্তিকে আমি জানি চিনি । তাঁর মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করি ।"

এমনকী প্যাডে প্রধান তারিখ লিখেছেন ইংরেজি ও বাংলা মিশিয়ে ৷ সেই তারিখেও ভুল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে । বিরোধীরা এই বিষয়টিকে প্রশিক্ষণ না-পাওয়া এবং অশিক্ষিত বলে উপহাস করেছেন । মূলত ওই শংসাপত্র পঞ্চায়েত প্রধান দিয়েছিলেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে মৃত্যুজনিত সহায়তার জন্য । যেই চিঠি জেলার কৃষি অধিকর্তা অফিসে জমা দিতে হয় । এরপর সেই প্যাডের লেখা দেখে প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পরেই মেলে আর্থিক সহায়তা ।

Death Certificate Controversy
তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া মৃত্যুর শংসাপত্র

এ বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, "এরা কারা যারা অশিক্ষিতের মতো রাজ্য চালাচ্ছে ।" তবে তিনি এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের থেকেও বেশি তিনি দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তাঁর বক্তব্য, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নানারকম কুরুচিকর মন্তব্য করেন ৷ উলটোপালটা বকেন ৷ সেখানে এরকম অশিক্ষিত পঞ্চায়েত হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় । এ বিষয়ে কটাক্ষ করেছে বামেরা । সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক সোমনাথ চন্দ্র বলেন, "ওই অশিক্ষিতর বিরুদ্ধে আর কী বলব । যারা মৃত মানুষের শংসাপত্র কিভাবে লিখতে হয় সেটাও জানে না, তাদের অশিক্ষিত বর্বর বলা ছাড়া আর কিছু ভাষা নেই ।"

যদিও এই বিষয়টিকে শাসকদল অনিচ্ছাকৃত ভুল বলেই দায় এড়িয়েছেন । জেলা সাংগঠনিক সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, "ওই পঞ্চায়েত প্রধান তাড়াহুড়োর চোটে ভুল করে ফেলেছেন । এটা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ।" অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সারথি সিং জানান, অনেক সময় তাড়াহুড়োর চোটে তিনি সই করে ফেলেন । তারাও তাড়াহুড়ো করে এসেছিলেন এবং তিনি সই করে দিয়েছেন ৷ কিন্তু তিনি লেখাটা খতিয়ে দেখেননি ।

আরও পড়ুন: কুড়মিদের অবরোধে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ঘিরে উত্তেজনা

পাথরা (পশ্চিম মেদিনীপুর), 8 এপ্রিল: মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করলেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷ আর এরপরেই কটাক্ষ ধেয়ে এল বিরোধীদের তরফে ৷ এক ব্যক্তির পরিবারকে শংসাপত্র দিতে গিয়ে তাতে এমনটাই লিখেছেন তিনি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার অন্তর্গত পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৷ যদিও এ বিষয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান ।

জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম তারকনাথ দোলই ৷ তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে পরিবার দ্বারস্থ হয় পঞ্চায়েত প্রধান সারথি সিং-এর ৷ আর তারপরেই ঘটে এই বিপত্তি ৷ শংসাপত্রে একেবারে মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করে ফেললেন প্রধান ৷ সেই পঞ্চায়েত প্যাডে লেখা শংসাপত্র সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, মেদিনীপুর জেলার পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এক ব্যক্তিকে একটি শংসাপত্র দিয়েছেন । যেই শংসাপত্রে তিনি লিখেছেন, "এই মর্মে শংসাপত্র প্রদান করা যায় যে তারকনাথ দোলই আমাদের গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন । গত 1 জিসেম্বর 2022 সালে তিনি মারা যান । বর্তমানে উনি মৃত । উক্ত ব্যক্তিকে আমি জানি চিনি । তাঁর মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করি ।"

এমনকী প্যাডে প্রধান তারিখ লিখেছেন ইংরেজি ও বাংলা মিশিয়ে ৷ সেই তারিখেও ভুল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে । বিরোধীরা এই বিষয়টিকে প্রশিক্ষণ না-পাওয়া এবং অশিক্ষিত বলে উপহাস করেছেন । মূলত ওই শংসাপত্র পঞ্চায়েত প্রধান দিয়েছিলেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে মৃত্যুজনিত সহায়তার জন্য । যেই চিঠি জেলার কৃষি অধিকর্তা অফিসে জমা দিতে হয় । এরপর সেই প্যাডের লেখা দেখে প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পরেই মেলে আর্থিক সহায়তা ।

Death Certificate Controversy
তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া মৃত্যুর শংসাপত্র

এ বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, "এরা কারা যারা অশিক্ষিতের মতো রাজ্য চালাচ্ছে ।" তবে তিনি এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের থেকেও বেশি তিনি দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তাঁর বক্তব্য, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নানারকম কুরুচিকর মন্তব্য করেন ৷ উলটোপালটা বকেন ৷ সেখানে এরকম অশিক্ষিত পঞ্চায়েত হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় । এ বিষয়ে কটাক্ষ করেছে বামেরা । সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক সোমনাথ চন্দ্র বলেন, "ওই অশিক্ষিতর বিরুদ্ধে আর কী বলব । যারা মৃত মানুষের শংসাপত্র কিভাবে লিখতে হয় সেটাও জানে না, তাদের অশিক্ষিত বর্বর বলা ছাড়া আর কিছু ভাষা নেই ।"

যদিও এই বিষয়টিকে শাসকদল অনিচ্ছাকৃত ভুল বলেই দায় এড়িয়েছেন । জেলা সাংগঠনিক সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, "ওই পঞ্চায়েত প্রধান তাড়াহুড়োর চোটে ভুল করে ফেলেছেন । এটা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ।" অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সারথি সিং জানান, অনেক সময় তাড়াহুড়োর চোটে তিনি সই করে ফেলেন । তারাও তাড়াহুড়ো করে এসেছিলেন এবং তিনি সই করে দিয়েছেন ৷ কিন্তু তিনি লেখাটা খতিয়ে দেখেননি ।

আরও পড়ুন: কুড়মিদের অবরোধে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ঘিরে উত্তেজনা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.