ETV Bharat / state

Durga Puja Special : ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোটবদ্ধ হতে সূচনা হয়েছিল এই পুজোর

পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে খোলা মণ্ডপে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে ৷ পুজোর কটা দিন নিয়ম এবং ঐতিহ্য মেনে এখানে হবে মায়ের আরাধনা ৷

Durga Puja Special
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোটবদ্ধ হতে সূচনা হয়েছিল এই পুজোর, এবছর 87-তে পা কর্ণেলগোলা আদি সর্বজনীনের
author img

By

Published : Oct 7, 2021, 10:27 PM IST

মেদিনীপুর, 7 অক্টোবর : স্বাধীনতার আগে তৎকালীন মেদিনীপুর শহরে 3 কুখ্যাত ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে পর পর গুলি করে খুন করেছিলেন বাংলার বিপ্লবীরা ৷ এরপরেই এখানকার বিপ্লবীদের দমন করতে তাঁদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল ইংরেজরা । ঠিক সেই সময়েই জোটবদ্ধ হওয়ার তাগিদে মেদিনীপুর শহরে দুর্গা পুজোর সূচনা করেন বিপ্লবীরা ৷ সেই থেকেই পথ চলা শুরু কর্ণেলগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গা পুজোর ৷ এবছর 87 তম বর্ষে পা রাখল এই পুজো ।

পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে খোলা মণ্ডপে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে ৷ পুজোর কটা দিন নিয়ম এবং ঐতিহ্য মেনে এখানে হবে মায়ের আরাধনা ৷ পুজোর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার আগে 1931, 1932 ও 1933 সালে তৎকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুরে বিপ্লবীদের উপর অত্যাচার শুরু করে ব্রিটিশরা । সেই অত্যাচারের বদলা নিতে ওই তিন বছর পর পর তিন কুখ্যাত ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে খুন করেন অনাথ বন্ধু পাঁজা, বিমল দাসগুপ্ত, মৃগেন দত্ত, জ্যোতি জীবন ঘোষ, কানাইলাল ঘোষের মতো বিপ্লবীরা ৷ এর জেরে ব্রিটিশদের মনে আতঙ্ক ঢুকে গিয়েছিল। কোনও ব্রিটিশ অফিসার সে সময় মেদিনীপুরে আসতে চাইতেন না । এর প্রতিশোধ নিতে জন সাধারণের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ইংরেজরা ৷ বিপ্লবীরা যাতে জোটবদ্ধ হতে না পারেন তার জন্য জারি হয় নাইট কারফিউ । ফলে সে সময় ইচ্ছে থাকলেও জোটবদ্ধ হতে পারছিলেন না বিপ্লবীরা ৷

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোটবদ্ধ হতে সূচনা হয়েছিল এই পুজোর, এবছর 87-তে পা কর্ণেলগোলা আদি সর্বজনীনের

আরও পড়ুন : 350 বছরের বুড়িমার পুজোয় শুধু ঐতিহ্য নয়, রয়েছে সম্প্রীতির ছোঁয়াও

সেখান থেকেই বিপ্লবীদের মাথায় আসে জোটবদ্ধ হয়ে দুর্গাপুজো করার চিন্তা ৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরু হয় পথ চলা ৷ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, যুবরাজ দেবেন্দ্র লালখান, আইনজীবী অতুল বসু একজোট হয়ে বিপ্লবীদের একত্রিত করার লক্ষ্যে শুরু করেন কর্ণেলগোলার দুর্গা পুজো । যদিও ব্রিটিশের ভয়ে কেউ ঠাকুর গড়তে চাইছিলেন না এই সময় । দাসপুর থেকে এক শিল্পী নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে আসেন এই প্রতিমা গড়তে আর সেই থেকেই শুরু হয় কর্ণেলগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গাপুজো ।

সেই বিপ্লবীদের শুরু করা পুজো এবছর পা দিল 87 তম বর্ষে । তবে সেই সময় যেহেতু বিদেশি পণ্য বয়কট এবং স্বদেশীয়ানাকে গ্রহণ করার ডাক দিয়েছিলেন গান্ধিজি । তাই সেই সময় থেকেই এই কর্ণেলগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গা পুজোতে মায়ের অলংকার হিসেবে কখনও সোলার গহনা ব্যবহার হয় না ৷ সমস্ত মাটির গয়না পরানো হয় প্রতিমাকে । সেই থেকেই নির্দিষ্ট নিয়ম ও রীতির মধ্য দিয়ে হয়ে আসছে এই পুজো । এবছর কোভিড বিধি মেনে এই পুজো হবে বলে উদ্য়োক্তারা জানিয়েছেন ৷ এবারের পুজোয় এখানে বিশেষ ভাবে স্মরণ করা হচ্ছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়কে ।

মেদিনীপুর, 7 অক্টোবর : স্বাধীনতার আগে তৎকালীন মেদিনীপুর শহরে 3 কুখ্যাত ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে পর পর গুলি করে খুন করেছিলেন বাংলার বিপ্লবীরা ৷ এরপরেই এখানকার বিপ্লবীদের দমন করতে তাঁদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল ইংরেজরা । ঠিক সেই সময়েই জোটবদ্ধ হওয়ার তাগিদে মেদিনীপুর শহরে দুর্গা পুজোর সূচনা করেন বিপ্লবীরা ৷ সেই থেকেই পথ চলা শুরু কর্ণেলগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গা পুজোর ৷ এবছর 87 তম বর্ষে পা রাখল এই পুজো ।

পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে খোলা মণ্ডপে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে ৷ পুজোর কটা দিন নিয়ম এবং ঐতিহ্য মেনে এখানে হবে মায়ের আরাধনা ৷ পুজোর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার আগে 1931, 1932 ও 1933 সালে তৎকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুরে বিপ্লবীদের উপর অত্যাচার শুরু করে ব্রিটিশরা । সেই অত্যাচারের বদলা নিতে ওই তিন বছর পর পর তিন কুখ্যাত ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে খুন করেন অনাথ বন্ধু পাঁজা, বিমল দাসগুপ্ত, মৃগেন দত্ত, জ্যোতি জীবন ঘোষ, কানাইলাল ঘোষের মতো বিপ্লবীরা ৷ এর জেরে ব্রিটিশদের মনে আতঙ্ক ঢুকে গিয়েছিল। কোনও ব্রিটিশ অফিসার সে সময় মেদিনীপুরে আসতে চাইতেন না । এর প্রতিশোধ নিতে জন সাধারণের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ইংরেজরা ৷ বিপ্লবীরা যাতে জোটবদ্ধ হতে না পারেন তার জন্য জারি হয় নাইট কারফিউ । ফলে সে সময় ইচ্ছে থাকলেও জোটবদ্ধ হতে পারছিলেন না বিপ্লবীরা ৷

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোটবদ্ধ হতে সূচনা হয়েছিল এই পুজোর, এবছর 87-তে পা কর্ণেলগোলা আদি সর্বজনীনের

আরও পড়ুন : 350 বছরের বুড়িমার পুজোয় শুধু ঐতিহ্য নয়, রয়েছে সম্প্রীতির ছোঁয়াও

সেখান থেকেই বিপ্লবীদের মাথায় আসে জোটবদ্ধ হয়ে দুর্গাপুজো করার চিন্তা ৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরু হয় পথ চলা ৷ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, যুবরাজ দেবেন্দ্র লালখান, আইনজীবী অতুল বসু একজোট হয়ে বিপ্লবীদের একত্রিত করার লক্ষ্যে শুরু করেন কর্ণেলগোলার দুর্গা পুজো । যদিও ব্রিটিশের ভয়ে কেউ ঠাকুর গড়তে চাইছিলেন না এই সময় । দাসপুর থেকে এক শিল্পী নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে আসেন এই প্রতিমা গড়তে আর সেই থেকেই শুরু হয় কর্ণেলগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গাপুজো ।

সেই বিপ্লবীদের শুরু করা পুজো এবছর পা দিল 87 তম বর্ষে । তবে সেই সময় যেহেতু বিদেশি পণ্য বয়কট এবং স্বদেশীয়ানাকে গ্রহণ করার ডাক দিয়েছিলেন গান্ধিজি । তাই সেই সময় থেকেই এই কর্ণেলগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গা পুজোতে মায়ের অলংকার হিসেবে কখনও সোলার গহনা ব্যবহার হয় না ৷ সমস্ত মাটির গয়না পরানো হয় প্রতিমাকে । সেই থেকেই নির্দিষ্ট নিয়ম ও রীতির মধ্য দিয়ে হয়ে আসছে এই পুজো । এবছর কোভিড বিধি মেনে এই পুজো হবে বলে উদ্য়োক্তারা জানিয়েছেন ৷ এবারের পুজোয় এখানে বিশেষ ভাবে স্মরণ করা হচ্ছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়কে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.