মেদিনীপুর, 27 ডিসেম্বর: 2022 শেষ হতে আর বাকি কয়েকটা দিন ৷ তবে নতুন বছর শুরুর আগেই ফের হানা দিয়েছে করোনা (COVID) । একে একে সংক্রমণ বাড়ছে চিন-সহ বিভিন্ন দেশে ৷ করোনার নতুন প্রজাতি থাবা বসিয়েছে ভারতেও ৷ কিন্তু এখনও রাজ্যে সংক্রমনের হার রয়েছে কমের দিকেই ৷ গতকাল পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন বলে স্বাস্থ্য দফতর তরফে জানা গিয়েছে ৷
করোনার ভ্রুকুটি দেখা দিতেই দেশের পাশাপাশি রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে যদিও কেন্দ্রের তরফে বিমানবন্দরগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । আরটিপিসিআর টেস্ট ও ভ্যাকসিনের উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । অপরদিকে রাজ্য সরকারও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক সেরে ফেলেছেন । সামনে গঙ্গাসাগর মেলা ৷ এই নিয়েও সতর্ক থাকতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
যদিও বিগত দিনে অতিমারি করোনার (Corona) দাপটে বহু মানুষের জীবন গিয়েছে ৷ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বহু শৈশব । তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবেও বহু মানুষ সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায়নি বলেও অভিযোগ করেছিলেন জঙ্গল মহলের মানুষজন । তবে নতুন করে আবার করোনার দাপট দেখা দিলে তার আগে কতটা প্রস্তুত পশ্চিম মেদিনীপুর, তা খতিয়ে দেখল ইটিভি ভারত ।
যদিও সাধারণ মানুষের বক্তব্য, আগে থেকে অনেকটাই পাকাপোক্ত হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন । তবে নতুন করে যদি আবার করোনার নতুন প্রজাতি হানা দেয় সেক্ষেত্রে কতটা ব্যবস্থা রয়েছে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। অক্সিজেনের যোগান কতটা দিতে পারবে সরকারি হাসপাতালগুলো, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন ।
এ বিষয়ে জেলাবাসী বলেন, "আগের থেকে মানুষ এখন অনেকটাই সচেতন । কারণ দু'বছর সকলে লড়াই করেছে করোনার বিরুদ্ধে । তবে কিছু মানুষ এখনও সচেতন নন । সেই সব মানুষ সচেতন হলেই আমরা এই অতিমারী বিরুদ্ধে লড়তে পারব । এবার আগের তুলনায় স্বাস্থ্য দফতর অনেকটা প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে ৷ তাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে । এক্ষেত্রে নতুনভাবে সংক্রমিত এবং সংক্রমণ ছড়ালে আমরা সহজেই তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে ৷ সহজেই জিততে পারব ।"
আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে প্রস্তুতি কেমন ? আজ একাধিক হাসপাতালে মক ড্রিল
তবে স্বাস্থ্য আধিকারিক এ বিষয়ে জেলাবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন এক বিবৃতির মাধ্যমে । এই নতুন সংক্রমণে কেন্দ্র ও রাজ্যের পাশাপাশি তৈরি জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর । তারা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন এবং বেড, অক্সিজেন সহ ওষুধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ।
সৌম্যশংকর সারাঙ্গী বলেন, "ইতিমধ্যে যেভাবে করোনার দাপট বাড়ছে বিশ্বজুড়ে সেক্ষেত্রে আমরা জঙ্গলমহল প্রস্তুত রয়েছি । ঘাটাল, শালবনি,খড়গপুর-সহ মেদিনীপুরে আমাদের পর্যাপ্ত বেড রয়েছে ৷ অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে । তাছাড়া আমরা সবরকমভাবেই প্রস্তুত রয়েছি করোনা সংক্রমণ রোধ করার জন্য । এই জন্য জেলাবাসীর চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই ।"
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত দুর্গাপুরের অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলি