খড়গপুর, 13 সেপ্টেম্বর: মন্ত্রী ও বিধায়কের মধ্যেকার দূরত্ব কমাতে এগিয়ে এলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ৷ বিমুখ মন্ত্রী ও বিধায়ককে একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভাব করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) ৷ বিধায়কের নাম জুন মালিয়া ও মন্ত্রীর নাম শ্রীকান্ত মাহাতো (June Malia and Srikanta Mahata) ৷
সম্প্রতি ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয় । সেই ভিডিয়োতে মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘জুন, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি-জিমি, নুসরতরা-ফুসরতরা লুটেপুটে খাচ্ছে । এঁরা যদি সম্পদ হয়, তাহলে তো আর পার্টি করা যাবে না ।" একইসঙ্গে তিনি নিশানা করেন উত্তরা সিং, নেপাল সিং, সন্দীপ সিংয়ের মতো জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকেও । এরপরেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শালবনির বিধায়ককে শো-কজ করেছিল দলের জেলা নেতৃত্ব (controversial comment of Srikanta Mahata) ।
এরপর দলের কাছে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো । কিন্তু তৃণমূল সূত্রে খবর, এরপরেও ভিতরে ভিতরে মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া (Medinipur MLA June Malia) ও মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর মধ্যে একটা দূরত্ব ও ক্ষোভের আবহ থেকে গিয়েছিল (distance between June Malia and Srikanta Mahata) ৷ জেলার বিভিন্ন বৈঠক ও সভাতেও পাশাপাশি দেখা যায়নি তাঁদের ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে সেই ক্ষোভের অবসান হল মঙ্গলবার ।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর শরীরে কি কোনও সমস্যা আছে, জানতে সিবিআই তদন্ত চাইলেন কুণাল
এদিন খড়গপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বৈঠকে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ৷ সেখানেই জুন ও শ্রীকান্তের মধ্যে কথা বলিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি জানান, নেত্রীই দু’জনকে মিলিয়ে দিয়েছেন । ওনারা একে অপরের সহকর্মী । ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কিন্তু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দিদির মতো দু’জনের হাত মিলিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । অজিত মাইতির কথায়, "দিদি আমাকে বললেন, অজিত, জুনকে প্রোকেটশন দিবি ও ভালো মেয়ে ।"
বিধায়ক জুন মালিয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, "দিদি তার তরফ থেকে করেছেন, আমি তো কোনও অভিযোগ জানাইনি । যেটা পার্টি দেখে বুঝেছ, ভিডিয়োটা ভাইরাল হয়েছিল সেটা দেখেছেন । সেটা ক্লোজড চ্যাপ্টার । দিদি সব সময় পাশে আছেন, থাকবেন বুঝিয়ে দিয়েছেন । আমরা তো নার্সারি স্কুলের বাচ্চা নই ৷ দিদি মিষ্টি ভাবেই যেভাবে একজন অভিভাবক শাসন করেন ওইভাবেই উনি বুঝিয়ে দিয়েছেন । আমার অভিমান হয়নি,খারাপ লেগেছিল ৷ কেন আমাদের সবাইকে টেনে আনা হয়েছিল ওই মন্তব্যে ।" অপরদিকে শ্রীকান্ত মাহাত বলেন,"দিদি বলেছেন জুনের সঙ্গে ভাব করতে,কথা বলতে । আমি তো কথা বলি । কোনও সমস্যা নেই ।"