ETV Bharat / state

"আদবানির পাঠশালায় পাঠ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, ধর্মীয় রাজনীতি করছেন", কটাক্ষ সেলিমের

মেদিনীপুরে ডিজিটাল মিডিয়ার কনভেনশনে এসেছিলেন সেলিম । খবরের পোর্টাল উদ্বোধন করেন । ছিলেন অন্যান্য বাম নেতা ও কর্মী । এরপর সাংবাদিক বৈঠকে করেন মহম্মদ সেলিম । এরপর একাধিক প্রসঙ্গে কথা বলেন।

selim
selim
author img

By

Published : Oct 22, 2020, 12:59 PM IST

মেদিনীপুর, 22 অক্টোবর : রাজ্যে দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর সেই পদক্ষেপকেই কটাক্ষ করে মহম্মদ সেলিম বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আদবানির পাঠশালায় পাঠ নিয়েছেন বলতে হয় । পাশাপাশি বিমল গুরুংয়ের বছর তিন পর প্রকাশ্যে আসা এবং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টিরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি । বলেন, যারা খুনের রাজনীতি করেছে, তারাই চাকরি পেয়েছে ।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি পুজো মণ্ডপই নো এন্ট্রি জ়োন । রাজ্যের সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে । এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় CPIM সাংসদ মহম্মদ সেলিমকে । তিনি বলেন,"রাজ্যে এবং দেশের পরিস্থিতি, বলতে হয় আদবানির পাঠশালায় মমতা-মোদি একসঙ্গেই পাঠ নিয়েছেন । তাঁরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন ।"

বিমল গুরুংয়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গও আসে । সেই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, যারা বিগত দিনে খুনের রাজনীতি করেছে তারাই চাকরি পেয়েছে । মোদি-মমতা-মুকুল-অমিত শাহ রাজনীতিকে বিকৃত করেছে । এখানে আইন আইনের পথে চলে না । লাইনের পথে চলে ।

মেদিনীপুরে ডিজিটাল মিডিয়ার কনভেনশনে এসেছিলেন সেলিম । কনভেশেনে কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হন । ছিলেন অন্যান্য বাম নেতা ও কর্মী । এরপর সাংবাদিক বৈঠকে করেন মহম্মদ সেলিম । হাইকোর্টের রায় নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মহম্মদ সেলিম বলেন, "কোরোনা সংক্রমণ এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের থেকে আমাদের দেশ এগিয়ে । তাই এই ক্ষেত্রে মোদি-মমতার লক-আনলক ব্যর্থ । আমাদের অর্থনীতি, বিশ্ব রাজনীতি এবং আমাদের শ্রমিক মেহনতি মানুষ বিপর্যস্ত । উৎসব হচ্ছে একটা আনন্দের । তবে শ্রমিকরা খেতে পাচ্ছেন না, পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতে পারছে না । কেন্দ্র ট্রেন চালাতে পারছে না । সেখানে উৎসবে কে, কীভাবে সমর্থন করছে । এর আগে BJP মধ্যপ্রদেশ-সরকার গঠনে হইহই করে জমায়েত করেছে । রাম মন্দির নির্মাণে জমায়েত করেছে । ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করতে চান, আমাদের রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী সেভাবেই রাজনীতি করছেন । এক্ষেত্রে ধর্ম আলাদা । বিশ্বাস আলাদা । সেই ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে রাজনীতি করছে । আমাদের রাজ্যের মানুষ সচেতন । তবুও এখানে উস্কে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিশেষ করে টাকা দেব বলে উস্কে দিয়েছেন । তাছাড়া একসময় তিনি ইমাম ভাতার নাম করে ধর্মীয় বিভাজন রাজনীতি শুরু করেছিলেন । বর্তমানেও সেই ধর্মীয় রাজনীতি তাকে উস্কে দিয়েছেন ।

বিমল গুরুংয়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় । সেলিম বলেন, পুলিশ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ । কারণ একসময় আমরা ভারতী ঘোষকে দেখেছি । কীভাবে আইনকে ব্যবহার করেছেন । দেখেছি বিমল গুরুংকে । মিডিয়ার দৌলতে শুনেছি তাকে পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজছে । কিন্তু তিনি BJP-র ছত্রছায়ায় এতদিন গা ঢাকা দিয়েছেন । যদিও আজকে তিনি পুলিশের প্রহরায় গোর্খা ভবনে এসেছেন । মাওবাদী আদিবাসীদের নিয়ে যারা একসময় CPI(M) কর্মীদের খুন করেছে । তারাই আবার সরকারি চাকরিও করছে । অথচ যাঁরা খুন হলেন তাঁরা কোনও সরকারি সাহায্য সুবিধা পেলেন না । বিমল গুরুং চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন । যখন পুলিশ তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে, তখন তিনি মমতার আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে ঘুরছেন ।

মেদিনীপুর, 22 অক্টোবর : রাজ্যে দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর সেই পদক্ষেপকেই কটাক্ষ করে মহম্মদ সেলিম বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আদবানির পাঠশালায় পাঠ নিয়েছেন বলতে হয় । পাশাপাশি বিমল গুরুংয়ের বছর তিন পর প্রকাশ্যে আসা এবং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টিরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি । বলেন, যারা খুনের রাজনীতি করেছে, তারাই চাকরি পেয়েছে ।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি পুজো মণ্ডপই নো এন্ট্রি জ়োন । রাজ্যের সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে । এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় CPIM সাংসদ মহম্মদ সেলিমকে । তিনি বলেন,"রাজ্যে এবং দেশের পরিস্থিতি, বলতে হয় আদবানির পাঠশালায় মমতা-মোদি একসঙ্গেই পাঠ নিয়েছেন । তাঁরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন ।"

বিমল গুরুংয়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গও আসে । সেই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, যারা বিগত দিনে খুনের রাজনীতি করেছে তারাই চাকরি পেয়েছে । মোদি-মমতা-মুকুল-অমিত শাহ রাজনীতিকে বিকৃত করেছে । এখানে আইন আইনের পথে চলে না । লাইনের পথে চলে ।

মেদিনীপুরে ডিজিটাল মিডিয়ার কনভেনশনে এসেছিলেন সেলিম । কনভেশেনে কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হন । ছিলেন অন্যান্য বাম নেতা ও কর্মী । এরপর সাংবাদিক বৈঠকে করেন মহম্মদ সেলিম । হাইকোর্টের রায় নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মহম্মদ সেলিম বলেন, "কোরোনা সংক্রমণ এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের থেকে আমাদের দেশ এগিয়ে । তাই এই ক্ষেত্রে মোদি-মমতার লক-আনলক ব্যর্থ । আমাদের অর্থনীতি, বিশ্ব রাজনীতি এবং আমাদের শ্রমিক মেহনতি মানুষ বিপর্যস্ত । উৎসব হচ্ছে একটা আনন্দের । তবে শ্রমিকরা খেতে পাচ্ছেন না, পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতে পারছে না । কেন্দ্র ট্রেন চালাতে পারছে না । সেখানে উৎসবে কে, কীভাবে সমর্থন করছে । এর আগে BJP মধ্যপ্রদেশ-সরকার গঠনে হইহই করে জমায়েত করেছে । রাম মন্দির নির্মাণে জমায়েত করেছে । ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করতে চান, আমাদের রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী সেভাবেই রাজনীতি করছেন । এক্ষেত্রে ধর্ম আলাদা । বিশ্বাস আলাদা । সেই ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে রাজনীতি করছে । আমাদের রাজ্যের মানুষ সচেতন । তবুও এখানে উস্কে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিশেষ করে টাকা দেব বলে উস্কে দিয়েছেন । তাছাড়া একসময় তিনি ইমাম ভাতার নাম করে ধর্মীয় বিভাজন রাজনীতি শুরু করেছিলেন । বর্তমানেও সেই ধর্মীয় রাজনীতি তাকে উস্কে দিয়েছেন ।

বিমল গুরুংয়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় । সেলিম বলেন, পুলিশ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ । কারণ একসময় আমরা ভারতী ঘোষকে দেখেছি । কীভাবে আইনকে ব্যবহার করেছেন । দেখেছি বিমল গুরুংকে । মিডিয়ার দৌলতে শুনেছি তাকে পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজছে । কিন্তু তিনি BJP-র ছত্রছায়ায় এতদিন গা ঢাকা দিয়েছেন । যদিও আজকে তিনি পুলিশের প্রহরায় গোর্খা ভবনে এসেছেন । মাওবাদী আদিবাসীদের নিয়ে যারা একসময় CPI(M) কর্মীদের খুন করেছে । তারাই আবার সরকারি চাকরিও করছে । অথচ যাঁরা খুন হলেন তাঁরা কোনও সরকারি সাহায্য সুবিধা পেলেন না । বিমল গুরুং চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন । যখন পুলিশ তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে, তখন তিনি মমতার আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে ঘুরছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.