ETV Bharat / state

সুফল না পাওয়া পর্যন্ত কার্যকরী কিনা বোঝা যাচ্ছে না, প্রতিক্রিয়া প্রান্তিক চাষি থেকে উদ্যোগপতিদের

পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের বাজেট প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া, " সুফল না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছি না ৷"

budget reaction of farmers and industrialists
প্রতিক্রিয়া
author img

By

Published : Feb 2, 2020, 4:13 AM IST

মেদিনীপুর, 2 ফেব্রুয়ারি : এবারে বাজেটে চাষাবাদ ও কৃষি কল্যাণে গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র ৷ 2022 সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা আগেই বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কৃষকদের আয় বাড়াতে সরকার যে বদ্ধপরিকর তা গতকাল বাজেটে ফের স্পষ্ট করে দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ 16 পয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যানের কথাও ঘোষণা করেন ৷ এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের প্রতিক্রিয়া, " সুফল না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছি না ৷"

তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাজেটের ঘোষণায় তাঁরা উল্লসিত ৷ সরকার অনেক পদক্ষেপ করছে, কিন্তু তা সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না ৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষিরা ফসল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারে না ৷ কারণ মাঝখান থেকে ফোড়েরা টাকা খায় ৷ এক প্রান্তিক চাষি শংকর মুখোপাধ্যায় বলেন, "এখন ধানের দাম 1870 টাকা ৷ কিন্তু হাতে পাই 1300 থেকে 1350 টাকা ৷ এই অবস্থা থেকে মুক্তি না পেলে চিরকালই বঞ্চিত থাকতে হবে ৷ সরকার 1870 টাকা না হোক অন্তত 1800 টাকায় যদি সরাসরি কেনার ব্যবস্থা করত তাহলে আমাদের মত ছোটো চাষিদের লাভ হত ৷ কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে সঠিক মূল্য পাচ্ছি না ৷ "

অন্যদিকে, বাজেট প্রসঙ্গে ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্সের এক আধিকারিক চন্দন বোস জানান, আয়করের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে ঠিকই ৷ পাশাপাশি কর ছাড়ের ক্ষেত্রে ধারাগুলির বেশির ভাগই তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে এটা বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে সত্যি এতে কতটা উপকৃত হবে ব্যবসায়ীরা ৷ হাইওয়ে প্রজেক্টগুলি সঠিকভাবে কার্যকরী হলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে ৷ বাজেটে দুগ্ধজাত শিল্প ও মৎস্যচাষে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ এতে গ্রামীণ ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুবিধা পাবে ৷ তিনি আরও বলেন, "সার্বিকভাবে বললে বিরাট কিছু পরিবর্তন হয়নি ৷ তবে জনমুখী বাজেট ৷ আমরা অপেক্ষা করছি বাস্তবে কতটা ফলপ্রসূ হয় ৷"

মেদিনীপুর, 2 ফেব্রুয়ারি : এবারে বাজেটে চাষাবাদ ও কৃষি কল্যাণে গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র ৷ 2022 সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা আগেই বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কৃষকদের আয় বাড়াতে সরকার যে বদ্ধপরিকর তা গতকাল বাজেটে ফের স্পষ্ট করে দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ 16 পয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যানের কথাও ঘোষণা করেন ৷ এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের প্রতিক্রিয়া, " সুফল না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছি না ৷"

তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাজেটের ঘোষণায় তাঁরা উল্লসিত ৷ সরকার অনেক পদক্ষেপ করছে, কিন্তু তা সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না ৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষিরা ফসল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারে না ৷ কারণ মাঝখান থেকে ফোড়েরা টাকা খায় ৷ এক প্রান্তিক চাষি শংকর মুখোপাধ্যায় বলেন, "এখন ধানের দাম 1870 টাকা ৷ কিন্তু হাতে পাই 1300 থেকে 1350 টাকা ৷ এই অবস্থা থেকে মুক্তি না পেলে চিরকালই বঞ্চিত থাকতে হবে ৷ সরকার 1870 টাকা না হোক অন্তত 1800 টাকায় যদি সরাসরি কেনার ব্যবস্থা করত তাহলে আমাদের মত ছোটো চাষিদের লাভ হত ৷ কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে সঠিক মূল্য পাচ্ছি না ৷ "

অন্যদিকে, বাজেট প্রসঙ্গে ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্সের এক আধিকারিক চন্দন বোস জানান, আয়করের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে ঠিকই ৷ পাশাপাশি কর ছাড়ের ক্ষেত্রে ধারাগুলির বেশির ভাগই তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে এটা বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে সত্যি এতে কতটা উপকৃত হবে ব্যবসায়ীরা ৷ হাইওয়ে প্রজেক্টগুলি সঠিকভাবে কার্যকরী হলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে ৷ বাজেটে দুগ্ধজাত শিল্প ও মৎস্যচাষে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ এতে গ্রামীণ ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুবিধা পাবে ৷ তিনি আরও বলেন, "সার্বিকভাবে বললে বিরাট কিছু পরিবর্তন হয়নি ৷ তবে জনমুখী বাজেট ৷ আমরা অপেক্ষা করছি বাস্তবে কতটা ফলপ্রসূ হয় ৷"

Intro:নির্মলা সীতারামন এর বাজেটের বাস্তবে দরকার কার্যকর ভূমিকা ,না হলে এই বাজেটের ফলশ্রুতি কিছুই ঘটবে না, এরকমই মন্তব্য চাষি বাসী সহ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টদের ।



Body:নির্মলা সীতারামন এর বাজেটের বাস্তবে দরকার কার্যকর ভূমিকা ,না হলে এই বাজেটের ফলশ্রুতি কিছুই ঘটবে না, এরকমই মন্তব্য চাষি বাসী সহ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টদের ।


প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে 2016 কেন্দ্রীয় বাজেট আর সেই বাজেটে এক এক করে বিভিন্ন তথ্য সহ বিস্তারিতভাবে বক্তব্য পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ । এই বাজেটের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে হয়েছে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া । বিশেষ করে বিরোধী শিবির বিভিন্নভাবে এ বাজেটের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন । তবে জঙ্গল মহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই বাজেটের প্রতিক্রিয়া দেখা গেল একটু অন্যরকম । পশ্চিম মেদিনীপুরের চাষবাস এলাকা যুক্ত অঞ্চল গুলিতে চাষী বাসীদের প্রতিক্রিয়া একটু অন্যরকম । তাদের বক্তব্য এই বাজেটে সব রকম কথা বলা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটাই দেখার । কারণ সরকারি বহু রকম সুযোগ সুবিধা আমাদের রয়েছে কিন্তু সেগুলো বাস্তবে কোনটা কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে না । আমাদেরকে সেই তেরোশো কিংবা সাড়1300 টাকা দাম দিয়েই ধান বিক্রি করতে হয় । যাতে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । আমরা বহুবার দরবার করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি । তাছাড়া রাসায়নিক সারের প্রচুর পরিমাণে দাম এবং জমির সঠিক ভাবে কি চাষ করলে বা কোন সার দিলে কি ফসল হবে সে বিষয়ে বোঝানো বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে । যদিও বাজেটে এইরূপ বহু তথ্য এবং জনমুখী বাজেটের কথা বলা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে তা যদি পরিণতি লাভ না করে তবে এই বাজেট দিশাহীন হয়ে উঠবে ।

অপরদিকে ছোট ছোট ব্যবসায়ী সহ ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টরা এই বাজেটের প্রশংসা করলে বাজেট কে বাস্তবমুখী হওয়ার কথাও বলেছেন । ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্সের এক কর্তা চন্দন বোস জানান এই বাজেটে বহুরকম কথা বলা হয়েছে যা জনমুখী । তাছাড়া ছোট-বড় ক্ষুদ্র-মাঝারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এর ক্ষেত্রে এটা জনমুখী বাজেট । বিশেষ করে বিমানে পরিবহনের মাধ্যমে শিল্পদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া কাঁচা শাকসবজি সহ বিভিন্ন কাঁচামাল ট্রেন এর মাধ্যমে পৌছে দেওয়া সত্যিই অভূতপূর্ব কিন্তু বাস্তবে রূপদান যতক্ষন না করছে ততক্ষণ বোঝাতে পারব না এটা কতটা ফলপ্রসূ বা কতটা সুবিধা হবে । তাছাড়া জিএসটির ক্ষেত্রেও কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । আমরা অপেক্ষা করছি বাস্তবে কতটা প্রভাব হয় তার উপর । তবে বাজেটে নিঃসন্দেহে জনমুখী বলা চলে ।


Conclusion:নির্মলা সীতারামন এর বাজেটের বাস্তবে দরকার কার্যকর ভূমিকা ,না হলে এই বাজেটের ফলশ্রুতি কিছুই ঘটবে না, এরকমই মন্তব্য চাষি বাসী সহ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টদের ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.