মেদিনীপুর, 2 ফেব্রুয়ারি : এবারে বাজেটে চাষাবাদ ও কৃষি কল্যাণে গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র ৷ 2022 সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা আগেই বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কৃষকদের আয় বাড়াতে সরকার যে বদ্ধপরিকর তা গতকাল বাজেটে ফের স্পষ্ট করে দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ 16 পয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যানের কথাও ঘোষণা করেন ৷ এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের প্রতিক্রিয়া, " সুফল না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছি না ৷"
তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাজেটের ঘোষণায় তাঁরা উল্লসিত ৷ সরকার অনেক পদক্ষেপ করছে, কিন্তু তা সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না ৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষিরা ফসল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারে না ৷ কারণ মাঝখান থেকে ফোড়েরা টাকা খায় ৷ এক প্রান্তিক চাষি শংকর মুখোপাধ্যায় বলেন, "এখন ধানের দাম 1870 টাকা ৷ কিন্তু হাতে পাই 1300 থেকে 1350 টাকা ৷ এই অবস্থা থেকে মুক্তি না পেলে চিরকালই বঞ্চিত থাকতে হবে ৷ সরকার 1870 টাকা না হোক অন্তত 1800 টাকায় যদি সরাসরি কেনার ব্যবস্থা করত তাহলে আমাদের মত ছোটো চাষিদের লাভ হত ৷ কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে সঠিক মূল্য পাচ্ছি না ৷ "
অন্যদিকে, বাজেট প্রসঙ্গে ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্সের এক আধিকারিক চন্দন বোস জানান, আয়করের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে ঠিকই ৷ পাশাপাশি কর ছাড়ের ক্ষেত্রে ধারাগুলির বেশির ভাগই তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে এটা বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে সত্যি এতে কতটা উপকৃত হবে ব্যবসায়ীরা ৷ হাইওয়ে প্রজেক্টগুলি সঠিকভাবে কার্যকরী হলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে ৷ বাজেটে দুগ্ধজাত শিল্প ও মৎস্যচাষে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ এতে গ্রামীণ ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুবিধা পাবে ৷ তিনি আরও বলেন, "সার্বিকভাবে বললে বিরাট কিছু পরিবর্তন হয়নি ৷ তবে জনমুখী বাজেট ৷ আমরা অপেক্ষা করছি বাস্তবে কতটা ফলপ্রসূ হয় ৷"