ETV Bharat / state

কোরোনার জেরে বন্ধ হয়েছে গান গেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি, অথৈ জলে জন্মান্ধ রামদাসের সংসার

কোরোনার জেরে বাস-ট্রেনে গান গেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি হয়েছে বন্ধ ৷ ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে অথৈ জলে পশ্চিম মেদিনীপুরে জন্মান্ধ রামদাস সংসার ৷

Ramdas Dutta
রামদাস দত্ত
author img

By

Published : Aug 1, 2020, 6:19 PM IST

রামজীবনপুর, 1 অগাস্ট : চোখে দেখতে পান না ৷ কিন্তু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে হারমোনিয়াম ও বাঁশি বাজিয়ে গান করেন ৷ সেই গানই পরবর্তীকালে তাঁর জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে ৷ গান করে বাসে-ট্রেনে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে রোজগার করতে শুরু করেন ৷ তারপর বিয়ে করেন ৷ রয়েছে দুই সন্তানও ৷ সম্প্রতি মেয়ের বিয়েও দেন ৷ তবে, এই পথ যে তাঁর জন্য মসৃণ ছিল তা নয় ৷ প্রতিনিয়ত অভাব-অনটনের মধ্যে থেকেই সংসার চালাতে হয়েছে ৷ তারপরও কখনও হার মানেননি ৷ সমস্ত অভাব-অনটনের সম্মুখীন হয়েই নিজের সংসারকে আগলে রেখেছেন ৷ কিন্তু এখন তাঁর পা খানিকটা হলেও কাঁপছে ৷ কারণ গান নামক যে শক্ত জমির উপর তিনি দাঁড়িয়েছিলেন, সেই জমিটা ক্রমশ পায়ের তলা থেকে সরে যাচ্ছে ৷ আর তার কারণটা কোরোনা ৷ ফলে, অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত হয়েছেন তিনি ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের আমদান গ্রামের বাসিন্দা রামদাস দত্ত ৷ জন্ম থেকেই অন্ধ ৷ তাঁর এই অন্ধত্ব নামক ক্ষতে প্রলেপের মতো কাজ করে গান ৷ পরে এই গানের মাধ্যমেই বাসে-ট্রেনে ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের পায়ে দাঁড়ান রামদাস ৷ পরে বিয়ে করেন ৷ ওই ভিক্ষাবৃত্তির টাকায় স্ত্রী কল্পনাকে নিয়ে সংসার শুরু করেন ৷ তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে ৷ সম্প্রতি মেয়ের বিয়ে দেন ৷ আর ছেলে এখনও পড়াশোনা করছে ৷ মেয়ের বিয়ে থেকে শুরু করে ছেলের পড়াশোনা-সহ সমগ্র সংসার চলত রামদাসের ভিক্ষাবৃত্তির টাকা দিয়ে ৷ পরে অবশ্য সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা যুক্ত হয় তাতে ৷ ফলে, খুব আড়ম্বরে না হলেও মোটামুটি একরকম জীবনযাপন করছিলেন রামদাস ও তাঁর পরিবার ৷

রামদাসের অভাবের সংসারে এখন দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে কোরোনা ৷ কারণ, কোরোনার জেরে বাস-ট্রেনে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হয়ে গেছে ৷ ফলে, রোজগার বলতে প্রতিবন্ধী ভাতা ৷ আর তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না রামদাসের পক্ষে ৷ ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাতেও পড়তে হচ্ছে সমস্যায় ৷ তাই এই পরস্থিতিতে সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন রামদাস ৷

রামদাস বলেন, "আমি লোকসংগীত, নজরুলগীতি গাই ৷ ওই গান গেয়েই ভিক্ষা করে আয় করতাম ৷ কিন্তু, কোরোনার ফলে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না ৷ বাস-ট্রেনও সেরকম চলছে না ৷ ফলে, সংসার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে ৷ আমার শিল্পী ভাতাও নেই ৷ তাই যদি সরকার আমার শিল্পী ভাতার ব্যবস্থা করে তাহলে ভালো হয় ৷" রামদাসকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ৷ রামজীবনপুর পৌর এলাকার তৃণমূল নেতা কল্যাণ তিওয়ারি বলেন, "সব ধরনের সাহায্য করা হবে রামদাসকে ৷"

রামজীবনপুর, 1 অগাস্ট : চোখে দেখতে পান না ৷ কিন্তু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে হারমোনিয়াম ও বাঁশি বাজিয়ে গান করেন ৷ সেই গানই পরবর্তীকালে তাঁর জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে ৷ গান করে বাসে-ট্রেনে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে রোজগার করতে শুরু করেন ৷ তারপর বিয়ে করেন ৷ রয়েছে দুই সন্তানও ৷ সম্প্রতি মেয়ের বিয়েও দেন ৷ তবে, এই পথ যে তাঁর জন্য মসৃণ ছিল তা নয় ৷ প্রতিনিয়ত অভাব-অনটনের মধ্যে থেকেই সংসার চালাতে হয়েছে ৷ তারপরও কখনও হার মানেননি ৷ সমস্ত অভাব-অনটনের সম্মুখীন হয়েই নিজের সংসারকে আগলে রেখেছেন ৷ কিন্তু এখন তাঁর পা খানিকটা হলেও কাঁপছে ৷ কারণ গান নামক যে শক্ত জমির উপর তিনি দাঁড়িয়েছিলেন, সেই জমিটা ক্রমশ পায়ের তলা থেকে সরে যাচ্ছে ৷ আর তার কারণটা কোরোনা ৷ ফলে, অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত হয়েছেন তিনি ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের আমদান গ্রামের বাসিন্দা রামদাস দত্ত ৷ জন্ম থেকেই অন্ধ ৷ তাঁর এই অন্ধত্ব নামক ক্ষতে প্রলেপের মতো কাজ করে গান ৷ পরে এই গানের মাধ্যমেই বাসে-ট্রেনে ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের পায়ে দাঁড়ান রামদাস ৷ পরে বিয়ে করেন ৷ ওই ভিক্ষাবৃত্তির টাকায় স্ত্রী কল্পনাকে নিয়ে সংসার শুরু করেন ৷ তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে ৷ সম্প্রতি মেয়ের বিয়ে দেন ৷ আর ছেলে এখনও পড়াশোনা করছে ৷ মেয়ের বিয়ে থেকে শুরু করে ছেলের পড়াশোনা-সহ সমগ্র সংসার চলত রামদাসের ভিক্ষাবৃত্তির টাকা দিয়ে ৷ পরে অবশ্য সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা যুক্ত হয় তাতে ৷ ফলে, খুব আড়ম্বরে না হলেও মোটামুটি একরকম জীবনযাপন করছিলেন রামদাস ও তাঁর পরিবার ৷

রামদাসের অভাবের সংসারে এখন দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে কোরোনা ৷ কারণ, কোরোনার জেরে বাস-ট্রেনে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হয়ে গেছে ৷ ফলে, রোজগার বলতে প্রতিবন্ধী ভাতা ৷ আর তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না রামদাসের পক্ষে ৷ ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাতেও পড়তে হচ্ছে সমস্যায় ৷ তাই এই পরস্থিতিতে সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন রামদাস ৷

রামদাস বলেন, "আমি লোকসংগীত, নজরুলগীতি গাই ৷ ওই গান গেয়েই ভিক্ষা করে আয় করতাম ৷ কিন্তু, কোরোনার ফলে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না ৷ বাস-ট্রেনও সেরকম চলছে না ৷ ফলে, সংসার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে ৷ আমার শিল্পী ভাতাও নেই ৷ তাই যদি সরকার আমার শিল্পী ভাতার ব্যবস্থা করে তাহলে ভালো হয় ৷" রামদাসকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ৷ রামজীবনপুর পৌর এলাকার তৃণমূল নেতা কল্যাণ তিওয়ারি বলেন, "সব ধরনের সাহায্য করা হবে রামদাসকে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.