ETV Bharat / state

রাজ্যস্তরে দৌড়ে পুরস্কার, সেই বিজলি আজ টোটোচালক

টোটোচালক বিজলি ৷ এটাই এখন পরিচয় বিজলি মুর্মুর ৷ অথচ একসময় খেলোয়াড় ছিলেন ৷ দৌড়ে রাজ্যস্তরে পুরস্কারও পেয়েছেন ৷ কিন্তু, সংসার চালাতে এখন তাঁকে টোটো চালাতে হয় ৷

বিজলি মুর্মু
author img

By

Published : Oct 22, 2019, 12:26 PM IST

শালবনি, 22 অক্টোবর : বিজলি মুর্মু ৷ শালবনি থানার চকতারিণীর বাসিন্দা ৷ একসময়ের দাপুটে খেলোয়াড় ৷ সাঁওতাল নাচেও পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ৷ কিন্তু আজ তিনি টোটোচালক ৷ সংসার চালাতে টোটোই এখন একমাত্র ভরসা বিজলির ৷

মাত্র 12 বছর বয়সে আদিবাসী সমাজের নিয়মে বিয়ে হয় বিজলির ৷ ছোটোবেলা থেকে খুব ভালো দৌড়াতেন ৷ বহু জায়গায় পেয়েছেন সংবর্ধনা ৷ রাজ্যের হয়ে বিজলি অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন জায়গায় ৷ বিয়ে যে কোনও বাধা তৈরি করতে পারে না, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি ৷ রাজ্যের হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে পাঁচবার অংশ নেওয়ার পর বিজলি প্রথমবারই দ্বিতীয় স্থান দখল করে নেন ৷

ছেলের স্কুলে অভিভাবকদের দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে তাঁর এই দৌড়ের ফের শুরু হয় ৷ তারপর থেকে এগিয়ে গিয়েছেন ৷ দৌড়ের পাশাপাশি সাঁওতাল নাচেও অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন ৷ নাচের মধ্যে ব্যালেন্সের হাঁড়ি নিয়ে নাচ করে ফের প্রচারে চলে আসেন বিজলি ৷ শুধু রাজ্য বা জেলায় নয়, রাজ্যের বাইরেও নাচের জন্য বিজলির কাছে ফোন আসতে থাকে ৷ বিভিন্ন সংবাদপত্রেও উঠে আসে তাঁর নাম ৷

আদিবাসীদের হয়ে নাচের জন্য তিনি শালবনি থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলাদেশেও ৷ সব ঠিকই চলছিল ৷ সবকিছুই সুন্দর ছিল ৷ কিন্তু তারপরই ছন্দপতন ৷ এক দুর্ঘটনায় আহত হন তাঁর স্বামী ৷ তারপরই সংসারের ভার এসে পড়ে বিজলির উপর ৷ তারপর থেকে নাচ বা খেলা কোনওটাই চালিয়ে যেতে পারেননি ৷ ইতি টানতে হয় নিজের সমস্ত শখ-আহ্লাদে ৷ সংসার চালাতে শুরু করেন টোটো চালানো ৷ লোন নিয়ে কিনে ফেলেন একটি টোটো ৷ শুরু করেন টোটো চালানো৷

দেখুন ভিডিয়ো

এলাকায় যাতায়াতের জন্য সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা বিজলির টোটো ৷ তাঁর দুই ছেলে ৷ একজন ওড়িশায় ফুটবল খেলে ৷ আর একজন মেদিনীপুরে পড়াশোনা করছে মাস্টার ডিগ্রিতে ৷ সকাল হলেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বিজলি ৷ নিজের অবস্থা নিয়ে বলেন, "নাচ করেছি ৷ দৌড়ে সুনাম অর্জন করেছি ৷ কিন্তু, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর সব বদলে গেল ৷ সংসারের হাল ধরতে টোটো চালাতে শুরু করলাম ৷ এখন এটাই আমাদের পরিবারের উপার্জনের মাধ্যম ৷ সবাই আমাকে চেনে ৷ রাস্তাঘাটে সম্মান করে ৷ আমার কৃতিত্বের কথা আলোচনা করে ৷ কিন্তু, আমাকে কেউ সাহায্য করে না ৷"

শালবনি, 22 অক্টোবর : বিজলি মুর্মু ৷ শালবনি থানার চকতারিণীর বাসিন্দা ৷ একসময়ের দাপুটে খেলোয়াড় ৷ সাঁওতাল নাচেও পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ৷ কিন্তু আজ তিনি টোটোচালক ৷ সংসার চালাতে টোটোই এখন একমাত্র ভরসা বিজলির ৷

মাত্র 12 বছর বয়সে আদিবাসী সমাজের নিয়মে বিয়ে হয় বিজলির ৷ ছোটোবেলা থেকে খুব ভালো দৌড়াতেন ৷ বহু জায়গায় পেয়েছেন সংবর্ধনা ৷ রাজ্যের হয়ে বিজলি অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন জায়গায় ৷ বিয়ে যে কোনও বাধা তৈরি করতে পারে না, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি ৷ রাজ্যের হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে পাঁচবার অংশ নেওয়ার পর বিজলি প্রথমবারই দ্বিতীয় স্থান দখল করে নেন ৷

ছেলের স্কুলে অভিভাবকদের দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে তাঁর এই দৌড়ের ফের শুরু হয় ৷ তারপর থেকে এগিয়ে গিয়েছেন ৷ দৌড়ের পাশাপাশি সাঁওতাল নাচেও অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন ৷ নাচের মধ্যে ব্যালেন্সের হাঁড়ি নিয়ে নাচ করে ফের প্রচারে চলে আসেন বিজলি ৷ শুধু রাজ্য বা জেলায় নয়, রাজ্যের বাইরেও নাচের জন্য বিজলির কাছে ফোন আসতে থাকে ৷ বিভিন্ন সংবাদপত্রেও উঠে আসে তাঁর নাম ৷

আদিবাসীদের হয়ে নাচের জন্য তিনি শালবনি থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলাদেশেও ৷ সব ঠিকই চলছিল ৷ সবকিছুই সুন্দর ছিল ৷ কিন্তু তারপরই ছন্দপতন ৷ এক দুর্ঘটনায় আহত হন তাঁর স্বামী ৷ তারপরই সংসারের ভার এসে পড়ে বিজলির উপর ৷ তারপর থেকে নাচ বা খেলা কোনওটাই চালিয়ে যেতে পারেননি ৷ ইতি টানতে হয় নিজের সমস্ত শখ-আহ্লাদে ৷ সংসার চালাতে শুরু করেন টোটো চালানো ৷ লোন নিয়ে কিনে ফেলেন একটি টোটো ৷ শুরু করেন টোটো চালানো৷

দেখুন ভিডিয়ো

এলাকায় যাতায়াতের জন্য সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা বিজলির টোটো ৷ তাঁর দুই ছেলে ৷ একজন ওড়িশায় ফুটবল খেলে ৷ আর একজন মেদিনীপুরে পড়াশোনা করছে মাস্টার ডিগ্রিতে ৷ সকাল হলেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বিজলি ৷ নিজের অবস্থা নিয়ে বলেন, "নাচ করেছি ৷ দৌড়ে সুনাম অর্জন করেছি ৷ কিন্তু, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর সব বদলে গেল ৷ সংসারের হাল ধরতে টোটো চালাতে শুরু করলাম ৷ এখন এটাই আমাদের পরিবারের উপার্জনের মাধ্যম ৷ সবাই আমাকে চেনে ৷ রাস্তাঘাটে সম্মান করে ৷ আমার কৃতিত্বের কথা আলোচনা করে ৷ কিন্তু, আমাকে কেউ সাহায্য করে না ৷"

Intro:এক সময়ের দাপুটে খেলোয়াড় আজ টোটো চালক, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে টোটো চালিয়ে আজ ও স্বমহিমায় সাঁওতাল পরিবারের দক্ষ খেলোয়াড় বিজলী মুর্মু ,সংসার চালানোর পাশাপাশি স্বামীর চিকিৎসা করতে করতে আজ টোটো নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিজলী, শালবনির রাতেভিতের ভরসার একমাত্র টোটো বিজলি l Body:এক সময়ের দাপুটে খেলোয়াড় আজ টোটো চালক, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে টোটো চালিয়ে আজ ও স্বমহিমায় সাঁওতাল পরিবারের দক্ষ খেলোয়াড় বিজলী মুর্মু ,সংসার চালানোর পাশাপাশি স্বামীর চিকিৎসা করতে করতে আজ টোটো নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিজলী, শালবনির রাতেভিতের ভরসার একমাত্র টোটো বিজলি l

জীবনটা শুরু করেছিল শিল্পীর নাম দিয়ে,নাম বিজলি মুর্মু (35),আদিবাসীদের সাঁওতাল নৃত্যের দক্ষতায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম ,2015-16 তার আদিবাসী নাচের জন্য যে প্রতিযোগিতা হয় এবং সেই প্রতিযোগিতায় পুরস্কার তার ঝুলিতে রয়েছে l জানতে গিয়ে জানা যায় এই বিজলি মুর্মুর গল্প বলিউডের সিনেমাকেও হার মানাবে l মাত্র 12 বছর বয়সে আদিবাসীদের সমাজের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে হয়ে যায় শালবনি থানার চকতারিণীর ছোট্ট বালিকা বিজলীর l স্বামীর সঙ্গে ঘর করতে করতে কখন ভুলে যায় সে একজন ভালো খেলোয়াড় ছিল l ছোটবেলা থেকে খুব ভালো দৌড়তো ,দৌড়ে বহু জায়গায় নাম কুড়িয়েছে, পেয়েছে সম্বর্ধনা l রাজ্যের হয়ে এই বিজলী অংশগ্রহণ করেছে বিভিন্ন জায়গায় l বিয়ে যে কোন বাধার সৃষ্টি করতে পারেনা তা প্রমাণ করে দিয়ে করে দিয়েছে বিজলি l তাই রাজ্যের হয়ে পাঁচবার অংশগ্রহণের পর বিজলী প্রথম বার সেকেন্ড হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে দৌড়ে l এই দৌড়ের সূত্রপাত হয়েছিল ছেলেকে ভর্তি করতে আসা অভিভাবকদের দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে l এরপর থামেনি বিজলি, বিজলি এগিয়ে গিয়েছে ,সাথী যুগিয়েছে তার স্বামী l এরইমধ্যে বিজলি দু'সন্তানের মা হয়েছে ,সন্তান লালন পালনের পাশাপাশি ঘর সংসার সামলে বিজলি ছুটে চলেছে অজানা প্রত্যাশায় l সাফল্য আর ব্যর্থতার মাঝে বেশিরভাগ টাই সাফল্য এনে দিয়েছে বিজলীকে l এরপর বিজলি আদিবাসী নৃত্যে অংশগ্রহণ করে ,সেই আদিবাসী নিতে ব্যালেন্সের হাঁড়িতে নৃত্যে বিজলির নাম আবার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে l শুধু রাজ্যে না জেলায় না ,রাজ্যের বাইরে ও নৃত্যের জন্য বিজলির কাছে ফোন আসতে থাকে l তাই বিজলির নাম বিভিন্ন সংবাদপত্রের ছড়িয়ে পড়ে l শালবনির বাসিন্দা বিজলি আদিবাসীদের হয়ে জেলার গর্ব সে নৃত্যের জন্য পাড়ি দেয় বাংলাদেশে কিন্তু তারপরই ছন্দপতন l কোন এক দুর্ঘটনায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় তাঁর স্বামী আর তারপরেই পুরো সংসারের ভার বিজলির উপর l তাতেও থেমে থাকেনি বিজলি l নিজের শখ-আহ্লাদ মাঝ পথে থামিয়ে ,নেমে পড়ে টোটো হাতে l সংসার আর ছেলেদের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে লোন নিয়ে কিনে ফেলে একটা আস্ত টোটো l সেই থেকে বিজলি হয়ে ওঠে এলাকার টোটো চালক বিজলী l এলাকার নির্ভরশীল যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম বিজলির টোটো l বর্তমানে বিজলির 2 ছেলে ,একজন উড়িষ্যায় ফুটবলে খেলছে আরেকজন মেদিনীপুরে পড়াশোনা করছে মাস্টার ডিগ্রী তে l জীবনের আক্ষেপ রয়ে যায় কিন্তু সংসারের দায়িত্ব যে কোন ভাবেই তাকে মাথা নোয়াতে পারেনি আজ তার প্রমাণ করে দিয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম নক্ষত্র বিজলী মুর্মু l সকাল হলেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ে বিজলী l সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যা ইনকাম করে সেই টাকা লোন মেটাতে চলে যায় বিজলীর, বাকি অংশের টাকা দিয়ে স্বামী চিকিৎসা বাচ্চাদের দেখাশোনা ,পড়াশোনা এবং সংসার সামলে আজ বিজলি হয়ে উঠেছে আজকের দুর্গা l

Conclusion:এক সময়ের দাপুটে খেলোয়াড় আজ টোটো চালক, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে টোটো চালিয়ে আজ ও স্বমহিমায় সাঁওতাল পরিবারের দক্ষ খেলোয়াড় বিজলী মুর্মু ,সংসার চালানোর পাশাপাশি স্বামীর চিকিৎসা করতে করতে আজ টোটো নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিজলী, শালবনির রাতেভিতের ভরসার একমাত্র টোটো বিজলি l
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.