চন্দ্রকোনা, 13 নভেম্বর: স্কুলের অবস্থা বেহাল ৷ যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে স্কুল বিল্ডিং। মূলত যে পিলারের উপর দাঁড়িয়ে আছে স্কুল, সেই পিলার থেকে শুরু করে স্কুল বিল্ডিংয়ের বেহাল দশা (Bad Condition of School Building) । মিড-ডে মিলের রুম থেকে বারান্দার ছাদের চাঙর থেকে বেরিয়ে গিয়েছে রড । প্রায় 10 বছর ধরে এমনই অবস্থায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা 2 ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাকড়িঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয় । স্কুলের এহেন পরিস্থিতি দেখে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে আতঙ্কে অভিভাবকরাও ।
বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমের অবস্থা একইরকম খারাপ । ছাদের চাঙর ভেঙে খসে পড়ে প্রায় সময় । স্কুলে এসে চরম বিপদের সম্মুখীন স্কুলছাত্র থেকে শুরু করে শিক্ষকরা । যেকোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা । কারণ ভাঙাচোরা স্কুল বিল্ডিং তার সঙ্গে ক্লাস রুমের অবস্থাও একই । যখন তখন স্কুলের চাঙর খসে নিচে পড়ছে, তাই ইতিমধ্যেই স্কুলের বেহাল ঘরগুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ, তাতে তালা দেওয়া হয়েছে । বর্তমানে তিনটি ঘরের মধ্যে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন । একটি রুমে একসঙ্গে পাশাপাশি দুটি ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষকদের । এতে সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষকেরা, ব্যাঘাত ঘটছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনাতেও ।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল যেন ধ্বংসস্তূপ, 7 বছর ধরে ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে পড়াশোনা
প্রসঙ্গত, কালাকড়িঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা 108 জন, শিক্ষক সংখ্যা 4 । 1954 সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ের কংক্রিট বিল্ডিংয়ের বর্তমানে এমনই বেহাল দশা । ক্লাস রুম থেকে অফিস রুম এমনকী স্কুলের বারান্দাতে ছাদের চাঙর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে লোহার রড ৷ বিপদের সামান্য আশঙ্কা বুঝলে তা খসে পড়ার আগে লাঠি দিয়ে শিক্ষকেরা তা ছাড়িয়ে ফেলেন ।
শিক্ষকরা জানান, অফিস রুম, মিড-ডে মিল ও ক্লাস রুমের অবস্থা খুবই খারাপ । আলাদা তিনটি ছোট রুম ভালো থাকায় তার মধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন । একটি রুমে দুটি ক্লাস হওয়ার কারণের জন্য পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে । অভিভাবক থেকে শিক্ষকদের সকলের দাবি, দ্রুত স্কুল বিল্ডিং মেরামত করা হোক । স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ পাত্র জানান, প্রায় আট বছর ধরে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে আবেদন জানানো হয়েছে কিন্তু স্কুল বিল্ডিং মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি ।
আরও পড়ুন: মিড ডে মিলে প্লাস্টিকের চাল ! অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ