খড়গপুর 2 জানুয়ারি: কলকাতার পর এবার 'বিকল্প রাজনীতি' পোস্টার রেল শহরে ৷ আর সেই পোস্টার ঘিরে জোর তরজা জেলার রাজনৈতিক মহলে ৷ কিন্তু, কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে ? সেই নিয়েও নানান মত উঠে আসছে ৷ যেখানে বিরোধী দল বিজেপির বক্তব্য, রাজ্যে একমাত্র বিকল্প রাজনৈতিক মুখ তারাই ৷ কিন্তু, পোস্টার লাগানোর পিছনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা রয়েছেন বলে দাবি করেছে খড়গপুরের বিজেপি নেতৃত্ব ৷ তাদের বক্তব্য, সাম্প্রতিক সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের মধ্যে যে মতোপার্থক্য তৈরি হয়েছে, তার জেরেই অভিষেকপন্থীরা 'বিকল্প রাজনীতি'র পোস্টার লাগাচ্ছে রাজ্য জুড়ে ৷
এ দিন খড়গপুরের গিরি ময়দান স্টেশন ও তার সংলগ্ন এলাকায় সকাল হতেই নজরে পরে, সাদা ও সবুজ কাগজে লেখা 'বিকল্প রাজনীতি' পোস্টার ৷ যার পরেই স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কৌতুহল বাড়তে শুরু করে ৷ কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে ? কারণ, গত 31 ডিসেম্বর কলকাতার, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, নিউমার্কেট, হাজরা মোড়-সহ প্রায় 9 জায়গায় এই 'বিকল্প রাজনীতি'র পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু, সেই সময় রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা হয়েছিল ৷ শুভেন্দু থেকে কৌস্তভ বাগচী এবং কুণাল ঘোষ ৷ শাসক-বিরোধী সবাই নিজেদের বিকল্প বলতে শুরু করেন ৷ কিন্তু, কে বা কারা, কেন এই 'বিকল্প রাজনীতি' পোস্টার লাগিয়েছিলেন ? সে নিয়ে তেমন কোনও মাথাব্যাথা কারও মধ্যেই ছিল না ৷
কিন্তু, খড়গপুরে এই পোস্টারকে সরাসরি তৃণমূলের অন্দরে মমতা বনাম অভিষেক দ্বন্দ্বের ফল বলে দাবি করল বিজেপি ৷ জেলার বিজেপি মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, "এই ধরনের পোস্টার কারা ফেলেছে বা কেন ফেলেছে জানি না ৷ এই পোস্টার লাগানো বিজেপির কাজ নয় ৷ তবে, এই রাজ্যে বিকল্প রাজনীতি অবশ্যই প্রয়োজন, আর সেটা বিজেপি ৷ ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে ৷ যা নিয়ে তৃণমূলে অভিষেক পন্থীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেয় করে এই পোস্টার লাগিয়ে থাকতে পারে ৷"
যদিও, বিজেপির এই যুক্তি খারিজ করেছে শাসকদল ৷ খড়গপুরের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুনমুন চৌধুরী বলেন, "এই বিকল্প পোস্টার কারা দিয়েছে বা কেন দিয়েছে তা বলতে পারব না ৷ তবে, দীর্ঘ 12 বছর ধরে রাজ্যে বিকল্প রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় রয়েছে ৷ তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে না পেরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বিভেদের গল্প তৈরি করছে বিজেপি ৷ কিন্তু, এই পোস্টারের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই ৷"
আরও পড়ুন: