কর্নগড়,18 এপ্রিল : আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরতের নোটিস সরকারের (Return Notice For Amphan Compensation) ৷ বিপাকে ক্ষতিগ্রস্তরা ৷ ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকের 10 নং কর্ণগড় অঞ্চলের ভাদুতলার ভূঁইয়া পাড়ার। দুই বছর আগে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জঙ্গলমহল-সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলা। আর সেই ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা সরকার সেই সময় পাঠিয়েছিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মারফত। যদিও এই ক্ষতিপূরণ প্রাপক নিয়ে বহু বিতর্ক সৃষ্টি হয় তখন। অনেকেই অভিযোগ করেন, ক্ষতি না হওয়া সত্ত্বেও শাসকদলের লোকেরা পেয়েছেন ক্ষতিপূরণ। এবার ক্ষতিগ্রস্ত প্রাপকের কাছ থেকে টাকা ফেরতের নোটিস দিল রাজ্য সরকার । বিডিওর মাধ্যমে পাঠানো হল নোটিস। কোথা থেকে টাকা ফেরত দেবেন তা নিয়ে আতান্তরে ক্ষতিগ্রস্তরা।
জানা গিয়েছে, ভাদুতলার ভূঁইয়া পাড়া এলাকার কমলা ভূঁইয়া, চণ্ডী ভূঁইয়া, শম্ভু মাহাত-সহ পাঁচজনের বাড়ি ভেঙে পড়ে গত দু'বছর আগে হওয়া আমফান ঝড়ে। সেই সময় সরকারি ক্ষতিপূরণ বাবদ 5000 টাকা দু'বার অর্থাৎ10 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় ৷ সেই টাকা পেয়ে অনেকেই বাড়িঘর মেরামত করেন, কেউ কেউ সেই টাকা সংসারে খরচ করেছেন। এরপর আমফান ঝড়ের প্রায় দু'বছর পর গত 3-4 দিন আগে কর্নগড় গ্রাম পঞ্চায়েত মারফত ক্ষতিগ্রস্তদের নোটিল পাঠানো হয় শালবনী বিডিওর তরফে।
আরও পড়ুন : আমফানের ত্রাণ চুরির অভিযোগ, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হিসেবে গ্রহণ হাইকোর্টের
চণ্ডী ভূঁইয়া বলেন, "টাকা পেয়েছিলাম তা দু'বছর আগে। সে টাকা খরচ করা হয়ে গিয়েছে। এখন এতদিন বাদে হঠাৎ করে টাকা ফেরত চাইলে কোথা থেকে ফেরত দেব।" যদিও এবিষয়ে কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রতাপ জাসু বলেন, "সরকারি ভাবে টাকা প্রদানের সময় হয়তো ভুলবশত ওই ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে ডবল টাকা চলে গেছে। তাই ব্লক প্রশাসনের তরফে টাকা ফেরত চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তবে তাঁরা দরিদ্র হওয়ায় একবারে না হলেও দু'বারে টাকাটি ফেরত দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।"