কেশপুর, 28 মে: ভোটে সাধু-সন্ন্যাসীদের ঢাল করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ আর সে কারণেই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিরোধীরা না থাকলেও তাঁর যায় আসে না ৷ রবিবার এই ভাষাতেই বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷
এদিন দেশের নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ আর তা নিয়ে বিরোধীদের বিস্তর বিতর্কে কার্যত জলঘোলা অবস্থা ৷ এদিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূল-সহ দেশের 20টি অবিজেপি রাজনৈতিক দল যোগদান থেকে বিরত থেকেছে ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতিকে ব্যতিরেকে যেভাবে সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে তাতে আদতে রাষ্ট্রপতি পদের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে ৷ আর সেই অভিযোগেই এদিন অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বিরোধীরা ৷ অন্যদিকে, এদিন কেশপুর থেকে এই ইস্যুতেই ফের একবার নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, "সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে সংসদ ভবনের উদ্বোধন এক প্রকার রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা। যে রাষ্ট্রের প্রধান এবং সংসদের প্রধান তাঁকে বাদ দিয়ে সংসদ ভবন উদ্বোধন এটা দেশের পক্ষে লজ্জাজনক।"
এর সঙ্গেই অভিষেকের অভিযোগ, বারবার যারা জনজাতি, অনগ্রসর জাতির কথা বলে তাদের উন্নতির কথা বলেন, তারা সেই জনজাতির রাষ্ট্রপতিকেই ঢুকতে দেয়নি সংসদে। তিনি বলেন, "বাংলার আড়াই বছরের টাকা আটকে রেখে বিলাস বহুল ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি কারও কথা শোনেন না, তিনি কারও মতামত নেন না, নিজে যা বলেন নিজেই তা করেন ৷ তাই তৃণমূল-সহ বিরোধীরা তাঁর অনুষ্ঠান বয়কট করেছে।" এরপর অভিষেক দুই হাজার টাকা পরিবর্তন প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন অভিষেক ৷ তিনি বলেন, "যিনি নোট পরিবর্তন করেন, মানুষের রায় পরিবর্তন করেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নীতি আয়োগ পরিবর্তন করেন, তিনি একদিন দেশের সংবিধানই পরিবর্তন করে দেবেন। যে মানুষে ভর করে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন, সেই মানুষই একদিন পরিবর্তন করবে এই স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীকে।"
আরও পড়ুন: 12 জুন মোদি বিরোধী জোটের বৈঠক পটনায়, সম্ভবত যাচ্ছেন মমতাও
এর পাশাপাশি মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর প্রসঙ্গেও এদিন বিজেপিকেই দায়ী করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, "আমি যে 48 ঘণ্টা সময় দিয়েছিলাম ৷ তার মধ্যেই কুড়মি সমাজ এবং আদিবাসী সমাজ জানিয়ে দিয়েছে তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় ৷ তাই আমার অভিযোগই ঠিক হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বিজেপি ৷ যারা 'জয় গরাম'-এর পরিবর্তে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিল।"