কেশিয়াড়ি, 14 জুন : কোয়ারানটিন সেন্টারের পিছনের দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার এক শ্রমিক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কেশিয়াড়ি থানার লালুয়া 8 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারাপুর গ্রামে ৷ তবে কে বা কারা ওই ব্যক্তিকে মারধর করে রক্তাক্ত এবস্থায় ওখানে ফেলে দিয়ে গেল তা জানা যায়নি ৷ গুরুতর জখম ব্যক্তির নাম সনাতন সিং ৷
গ্রামের বাইরে কাজে গিয়েছিলেন তারাপুর গ্রামের 6 জন যুবক৷ গ্রামে ফিরতে তাঁদের কোয়ারানটিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ সেইমতো স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারানটিনে থাকছিলেন তাঁরা ৷ শনিবার সন্ধায় কোয়ারানটিন সেন্টারে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান সনাতনের স্ত্রী রেবতি সিং৷ কিন্তু সেখানে স্বামীকে দেখতে পাননি তিনি ৷ এরপর বাড়িতে খবর দেওয়া হয় ৷ খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন৷
অনেক খোঁজাখুঁজির পর বিদ্যালয়ের বাথরুমের পিছন দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন ৷ জখম সনাতনকে প্রথমে কেশিয়াড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
জখম ব্যক্তির ভাই বিনোদ সিং বলেন, ‘‘কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বাদাম তোলার কাজে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এলাকায় গিয়েছিলেন সনাতন ৷ সেখান থেকে ফেরার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের কথামতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারানটিনে থাকছিলেন তাঁরা ৷ শনিবার সন্ধ্যা থেকে দেখা যায়নি সনাতনকে ৷ শুরু হয় খোঁজাখুঁজি ৷ কোয়ারানটিন সেন্টারের বাথরুমের পিছনে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সনাতন ৷’’
ঘটনাস্থানে হাজির হয় কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ ৷ কে বা কারা সনাতনকে এইভাবে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে দিয়ে গেল এবং কেন এই মারধর, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷