দুর্গাপুর, 29 এপ্রিল : কোরোনার সঙ্গে যুদ্ধ করছে গোটা বিশ্ব । চলছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা। প্রতিষেধক আবিষ্কারের পর তা পরীক্ষামূলকভাবে মানব শরীরে প্রয়োগ করে যাচাইয়ের প্রয়োজন থাকে। আর সেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগে নিজের শরীর দিতে ইচ্ছুক দুর্গাপুরের যুবক তথা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক চিরঞ্জিৎ ধীবর ।
গোটা বিশ্বকে আগামীদিনে কোরোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে হলে তার প্রতিষেধক ব্যবহার জরুরি । তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণাগারে চলছে কোরোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে সেই প্রতিষেধক দেওয়ার ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু তারপরও চিরঞ্জিৎবাবু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই প্রতিষেধক পরীক্ষামূলকভাবে তাঁর দেহে প্রয়োগ করাতে ইচ্ছুক । সেই কারণে তিনি লিখিত আকারে চিঠি দিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক , পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে । এর সঙ্গে ICMR এবং দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের কাছে ই-মেল করেছেন তিনি ।
এই বিষয়ে চিরঞ্জিৎ ধীবর ETV ভারতকে বলেন, " লকডাউন করে এই রোগকে চাপা দিয়ে রাখার প্রয়াস সাময়িক । আজ দিন এসেছে এই মারণ ভাইরাসকে চিরতরে নির্মূল করার কথা ভাবার । তাই কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হলে প্রতিষেধক চাই । দেশ ও দশের স্বার্থে আমি রাজি আছি পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রতিষেধক যেন আমাকে দেওয়া হয় । আমার পরিবারের পক্ষ থেকে যদিও একটু বাধা ছিল । কিন্তু আমি বোঝাতে পেরেছি ।"
নির্ভীক এই যুবক চাইছেন, মানুষের কল্যাণে প্রতিষেধক বাজারে আসুক । আর সেই কারণে পরীক্ষা করতে গিয়ে যদি তাঁকে জীবন দিতে হয় তাতেও তিনি রাজি । আপাতত, গোটা দেশ থেকে 3 জন এই আবেদন করেছেন বলে জানালেন চিরঞ্জিৎবাবু । এখন দেখার ICMR এই প্রতিষেধকের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ।