দুর্গাপুর, 30 মে : বন্ধ ছিল গ্যারেজ । কিন্তু ভেতর থেকে ক্রমাগত ভেসে আসছিল ইঞ্জিনের শব্দ । আর তাতেই সন্দেহ হয় স্থানীয় মানুষজনের । খবর দেওয়া হয় পুলিশে । দেওয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই চোখ ছানাবড়া সকলের । দেখেন গাড়ির ভিতরে আবদ্ধ দু'জন । গাড়ির সামনে যেতে স্পষ্ট হয় ছবিটা । চালু রয়েছে ইঞ্জিন । শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িটির দরজা-জানালা-কাচ সব বন্ধ ।
সন্দেহের বসেই গাড়ির দরজা ভাঙেন পুলিশ কর্মীরা । উদ্ধার হয় এক যুবক ও মহিলার দেহ । প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় । গাড়ির AC-ও বন্ধ । ঘটনাটি দুর্গাপুরের বিজন ডেভিড হেয়ারের ।
জানা যায়, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় 8 মাস আগে বাবার চাকরি পেয়েছিল কৌশিক গোস্বামী (28)। এরপরই ডেভিড হেয়ারের 10/36 ইস্পাত আবাসনে থাকতে শুরু করেন তিনি । সেখানেই থাকতেন কাবেরী ভট্টাচার্য (45) । কাবেরীর সঙ্গে কৌশিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে । কাবেরীর স্বামী দমকল বিভাগে চাকরি করেন । মেয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশুনো করছে ।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গতকাল সন্ধ্যায় শেষ দেখা যায় কাবেরীকে । একই সময়ে দেখা গিয়েছিল কৌশিকে । তারপর আজ সকালে বন্ধ গাড়ি থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় কাবেরী ও কৌশিকে । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের । কোনও কারণে গাড়ির AC বন্ধ হয়ে যায় । গাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় গরম বাতাস বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেনি । গাড়ির ভেতরে কার্বন-মনোক্সাইড ছড়িয়ে পড়ে । প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু মনে হলেও বেশ কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে । ঘটনাটি খুন কি না তাও স্পষ্ট নয় । দেহদুটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে ।
ছেলের এই সম্পর্কের ব্যাপারে কিছুই জানতেন বলে দাবি কৌশিকের বাবা কানন গোস্বামীর । আসানসোল দুর্গাপুরের DCP (পূর্ব) অভিষেক মোদি বলেন, "ঘটনাটি গত রাতের । আমরা জানতে পেরে দেহ দুটি উদ্ধার করেছি । ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর কারণ । "