কুলটি, 4 জানুয়ারি: প্রসূতি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কুলটি ৷ অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণেই মৃ্ত্যু হয়েছে ওই মহিলার ৷ বুধবার আসানসোলের কুলটির নিয়ামতপুর এলাকার ঘটনা ৷ প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে নিয়ামতপুর-পুরুলিয়া রোড অবরোধ করে ওই প্রসূতির পরিবার। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত চিকিৎসক । পরে পুলিশি আশ্বাসে ওঠে অবরোধ ৷
জানা গিয়েছে, কুলটির নিয়ামতপুরের বাসিন্দা লিয়াকত আলি ওরফে আকাশ ৷ 'আকাশ ক্লিনিক' নামে তাঁর একটি চিকিৎসা কেন্দ্র আছে ৷ ওই ক্লিনিকের বাইরের টাঙানো বোর্ডে চিকিৎসকের কোনও ডিগ্রিও উল্লেখ নেই । স্থানীয় মানুষদেরও অভিযোগ ওই চিকিৎসক ভুয়ো ৷ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ওই এলাকায় চিকিৎসা করে আসছেন। বহু অভিযোগ সত্ত্বেও চলছিল ক্লিনিকটি ৷ এই প্রসঙ্গেই পশ্চিম বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস জানান, রোগীর আত্মীয়ের অভিযোগ এসেছে ৷ খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে ওই ব্যক্তির ক্লিনিক চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজ পত্র আছে কি না ৷ যদি না থাকে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ৷
ঘটনাটি কী ঘটেছে ?
বুধবার রাতে কুলটির নিয়ামতপুর নিউ রোডের 'আকাশ ক্লিনিক'কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল ওই প্রসূতিকে ৷ সেখানেই ওই প্রসূতির চিকিৎসা শুরু করেন লিয়াকত আলি ৷ রাতে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ৷ তারপরেই প্রসূতির অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলে ওই লিয়াকত আলি ৷ সেই মতোই পরিবারের লোকেরা সরকারি জেলা হাসপাতালে প্রসূতিকে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার ৷ এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিয়ামতপুরে ওই ক্লিনিকের বাইরে বিক্ষোভ দেখান প্রসূতির পরিবারের লোকজন । অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে নিয়ামতপুর পুরুলিয়া রোড দীর্ঘক্ষন ধরে অবরোধ করে।
এদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে কুলটি থানা এলাকার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে দীর্ঘক্ষন পর অবরোধ তোলে রোগীর পরিবার। প্রসূতির পরিবারের দাবি, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও নাকি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে।
কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি ওই চিকিৎসকের চিকিৎসা করার কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না, তা জানা সত্ত্বেও কেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রসূতিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা নিয়েও ধ্বন্ধ থেকে গিয়েছে ৷
আরও পডু়ন: