আসানসোল, 2 মার্চ :2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিতর্ক ছড়িয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়র "এই তৃণমূল আর না" গানটি নিয়ে । এরপর গানটি নিয়ে তৃণমূলের তরফে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল । এমনকি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিগোচরে আনা হয়েছিল । গানটি বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছিল । কিন্তু গান থামেনি । আসানসোলে জোর গুঞ্জন বাবুল নিজে তো বটেই, তার সঙ্গে বাবুলের এই গানটিও সেইবার তৃণমূলকে হারাতে অনুঘটকের মতো কাজ করেছিল । সেই গান এখনও বিজেপির মিটিং মিছিলে বাজছে । তবে এবার পাল্টা গান এনেছে তৃণমূল । সঙ্গে স্লোগান "খেলা হবে" । কিন্তু সেই খেলা হবে স্লোগানও বিজেপি হাইজ্যাক করেছে বলে অভিযোগ । সুরের তালে হাততালি দিয়ে বিজেপি কর্মীরাও এখন বলছেন খেলা হবে । প্রশ্ন এটাই ভোট ময়দানে খেলবেন কারা ?
26 এপ্রিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভোট । ভোটের দিন ঘোষনা হতেই মাঠে নেমে পড়েছে সব দল । চলছে মিছিল । গানে, স্লোগানে মেতে উঠেছেন দলীয় কর্মীরা । তৃণমূলের নতুন স্লোগান, খেলা হবে । তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের এই স্লোগানকে বঙ্গভোটে জনপ্রিয় করে তোলার পর থেকেই জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে খেলা হবে স্লোগান । কিন্তু এবার বিজেপির মিছিলেও শোনা গেল "খেলা হবে" । নেচে নেচে, হাততালি দিতে দিতে বিজেপি কর্মীরা বলছেন, "কুলটিতে খেলা হবে, দেখার মত খেলা হবে ।"
প্রশ্ন উঠছেই, ভোট ময়দানে খেলবেন কারা আর জিতবেনই বা কারা ?
আরও পড়ুন : বামফ্রন্টের ‘টুম্পা’ কি পারবে বিমুখ ভোটারদের মন জয় করতে ?
বিজেপির "খেলা হবে" স্লোগান দিচ্ছে শুনেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন তৃণমূল নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া । বললেন, "বিজেপি আবার কি খেলবে? ওদের লোক নেই । খেলব তো আমরা । মানুষ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে সঙ্গে করে আমরাই খেলব। "
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় জানান, "তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগান মানেই রক্তের হোলি খেলার ইঙ্গিত। আমরা ওই উপদ্রবকারীদের প্রতিহত করতেই খেলা হবে বলছি । আসলে খেলা খেলবে নির্বাচন কমিশন ।"
দিন কয়েক আগেই বারাবনিতে খেলা হবে স্লোগান দিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছিল । অভিযোগের তির ছিল তৃণমূলের দিকে । সাধারন মানুষ চাইছেন, ভোটের স্লোগান যাই থাক না কেন, খেলা হোক ইভিএমে । লড়াই হোক গণতান্ত্রিক ভাবেই ।