ETV Bharat / state

সহকর্মীদের মৃত্যুর বদলা নেবই, বললেন প্রত্যক্ষদর্শী জওয়ান - pulwama

সহকর্মীদের বলিদানের বদলা নেবই। দোষীদের ছেড়ে দেব না।

জয় নন্দী
author img

By

Published : Feb 19, 2019, 3:44 AM IST

Updated : Feb 19, 2019, 7:29 AM IST

আসানসোল, ১৯ ফেব্রুয়ারি : পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় যখন সরব গোটা দেশ, তখন সহকর্মীদের হারানোর স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁকে। কারণ সেই মর্মান্তিক ঘটনাকে একেবারে সামনে থেকে দেখেছেন তিনি। চোখ বন্ধ করলেই ওই ঘটনার ছবি ভেসে উঠছে তাঁর সামনে। তবে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেও এখন আর বিচলিত নন। বরং এই ঘটনার বদলা না নেওয়া পর্যন্ত শান্তিতে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান জয় গাঙ্গুলি। ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে সেই ঘটনার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।

jawan
জয় নন্দী
undefined

বছর আটেক আগে CRPF-এ যোগ দেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাসিন্দা জয় গাঙ্গুলি। ১৪ ফেব্রুয়ারি শহিদ জওয়ানদের গাড়ির ঠিক ঠিক পিছনের গাড়িতেই ছিলেন জয়। হেডকোয়ার্টারে যাওয়ার জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি CRPF জওয়ানদের কনভয় কাশ্মীর থেকে শ্রীনগরে রওনা দিয়েছিল। জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই একটা গাড়ি তাঁদের কনভয়ে থাকা তিন নম্বর গাড়িতে ধাক্কা মারে। ধাক্কার সঙ্গে সঙ্গেই উড়ে যায় তিন নম্বর গাড়িটি। শহিদ হন ৪৫ জন জওয়ান। পরে জানা যায় যে গাড়িটি ধাক্কা দিয়েছিল তাতে ভরতি ছিল RDX। এই গোটা ঘটনার নিজের চোখের সামনে দেখেছিলেন জয়। নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে দেখেছেন সহকর্মীদের।

আসানসোলের হিরাপুরে জয়ের শ্বশুরবাড়ি। ঘটনার সময় স্ত্রী শ্রাবণী গাঙ্গুলি বাবারবাড়িতেই ছিলেন। টিভিতে জঙ্গি হামলার খবর দেখার পর জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, সফল হননি। এমন কী, নিজের ঠিক থাকার কথা সেই মুহূর্তে পরিবারের সদস্যদের জানাতে পারেননি জয়। ফলত স্বামীর কোনও খবর না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রাবণী। আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। স্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আসানসোল পৌঁছান জয়।

undefined

সেই হাসপাতালে ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে ঘটনার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, "ঘটনার পর কিছুক্ষণের জন্য আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। কী ঘটেছে সেটা বুঝতে কিছুটা সময় লাগে। তারপর গাড়ি থেকে নেমে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলি। তার মধ্যে কোনও স্থানীয় বাসিন্দাকে ঢুকতে দিইনি। আর আহত ও শহিদ জওয়ানদের ঘিরে রেখেছিলাম। যাতে তাঁদের কাছে কেউ না আসতে পারে।"

শহিদ জওয়ানদের বদলার কথা বলতেই জয়ের চোয়াল শক্ত হয়ে যায়। বলেন, "শহিদ জওয়ানরা আমাদের সহকর্মী নয়। তারা আমাদের ভাই, বন্ধু। এতদিন একসঙ্গে সব কিছু করেছি আমরা। তবে তাদের মৃত্যুর বদলা আমরা নেবই। দোষীদের ছেড়ে দেব না। সঠিকভাবে বদলা নিয়ে পাকিস্তানকে বোঝাতে চাই যে আমরা চুপ থাকার লোক নই।"

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "প্রত্যাঘাত আনার সিদ্ধান্ত জওয়ানদের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।" আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়তে জওয়ানদের হাত শক্ত করার জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আসানসোল, ১৯ ফেব্রুয়ারি : পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় যখন সরব গোটা দেশ, তখন সহকর্মীদের হারানোর স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁকে। কারণ সেই মর্মান্তিক ঘটনাকে একেবারে সামনে থেকে দেখেছেন তিনি। চোখ বন্ধ করলেই ওই ঘটনার ছবি ভেসে উঠছে তাঁর সামনে। তবে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেও এখন আর বিচলিত নন। বরং এই ঘটনার বদলা না নেওয়া পর্যন্ত শান্তিতে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান জয় গাঙ্গুলি। ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে সেই ঘটনার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।

jawan
জয় নন্দী
undefined

বছর আটেক আগে CRPF-এ যোগ দেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাসিন্দা জয় গাঙ্গুলি। ১৪ ফেব্রুয়ারি শহিদ জওয়ানদের গাড়ির ঠিক ঠিক পিছনের গাড়িতেই ছিলেন জয়। হেডকোয়ার্টারে যাওয়ার জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি CRPF জওয়ানদের কনভয় কাশ্মীর থেকে শ্রীনগরে রওনা দিয়েছিল। জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই একটা গাড়ি তাঁদের কনভয়ে থাকা তিন নম্বর গাড়িতে ধাক্কা মারে। ধাক্কার সঙ্গে সঙ্গেই উড়ে যায় তিন নম্বর গাড়িটি। শহিদ হন ৪৫ জন জওয়ান। পরে জানা যায় যে গাড়িটি ধাক্কা দিয়েছিল তাতে ভরতি ছিল RDX। এই গোটা ঘটনার নিজের চোখের সামনে দেখেছিলেন জয়। নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে দেখেছেন সহকর্মীদের।

আসানসোলের হিরাপুরে জয়ের শ্বশুরবাড়ি। ঘটনার সময় স্ত্রী শ্রাবণী গাঙ্গুলি বাবারবাড়িতেই ছিলেন। টিভিতে জঙ্গি হামলার খবর দেখার পর জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, সফল হননি। এমন কী, নিজের ঠিক থাকার কথা সেই মুহূর্তে পরিবারের সদস্যদের জানাতে পারেননি জয়। ফলত স্বামীর কোনও খবর না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রাবণী। আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। স্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আসানসোল পৌঁছান জয়।

undefined

সেই হাসপাতালে ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে ঘটনার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, "ঘটনার পর কিছুক্ষণের জন্য আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। কী ঘটেছে সেটা বুঝতে কিছুটা সময় লাগে। তারপর গাড়ি থেকে নেমে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলি। তার মধ্যে কোনও স্থানীয় বাসিন্দাকে ঢুকতে দিইনি। আর আহত ও শহিদ জওয়ানদের ঘিরে রেখেছিলাম। যাতে তাঁদের কাছে কেউ না আসতে পারে।"

শহিদ জওয়ানদের বদলার কথা বলতেই জয়ের চোয়াল শক্ত হয়ে যায়। বলেন, "শহিদ জওয়ানরা আমাদের সহকর্মী নয়। তারা আমাদের ভাই, বন্ধু। এতদিন একসঙ্গে সব কিছু করেছি আমরা। তবে তাদের মৃত্যুর বদলা আমরা নেবই। দোষীদের ছেড়ে দেব না। সঠিকভাবে বদলা নিয়ে পাকিস্তানকে বোঝাতে চাই যে আমরা চুপ থাকার লোক নই।"

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "প্রত্যাঘাত আনার সিদ্ধান্ত জওয়ানদের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।" আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়তে জওয়ানদের হাত শক্ত করার জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Intro:পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে জঙ্গী হামলায় ৪৪ জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন। সেনা কনভয়ে যে গাড়িতে আত্মঘাতী হামলা হয়, ঠিক তার পিছনের গাড়িতেই ছিলেন ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান জয় নন্দী। চোখের সামনে সহকর্মীদের মৃত্যু দেখেছেন জয়। কিন্তু তারপরেও বিচলিত নন তিনি। ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে CRPF জওয়ান জয় নন্দী জানালেন এই নারকীয় ঘটনার প্রত্যাঘাত না আনা পর্যন্ত শান্তি নেই।


Body:বছর আটেক আগে CRPF এ যোগ দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাসিন্দা জয় নন্দী। আসানসোলের হিরাপুরে তার শ্বশুরবাড়ি। ঘটনার সময় জয়ের স্ত্রী শ্রাবনী গাঙ্গুলী বাপের বাড়িতেই ছিলেন। টিভিতে খবর দেখার পর স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি। সহকর্মীদের চোখের সামনে চলে যেতে দেখে জয়-ও হতভম্ব। বাড়িতে তক্ষুনি জানাতে পারেননি যে তিনি ঠিক আছেন। পরিণামে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন জয়ের স্ত্রী শ্রাবণী । তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।অন্যদিকে স্ত্রীর অসুস্থতার খবর শুনে বিশেষ ছুটি নিয়ে আসানসোলে আসেন জয় গাঙ্গুলি । আজ রাতে আসানসোল জেলা হাসপাতালেই তার মুখোমুখি হয়েছিলাম আমরা। টানা ৫ দিন ধরে স্নান নেই। ক্লান্ত বিধ্বস্ত ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে আছেন তিনি। তবু দেশের প্রতি তার কর্তব্যের কথা জানাতে ভুললেন না জয়। সরাসরি জানালেন এই নারকীয় হামলার বদলা চাই। পাশাপাশি সরকারের ভূমিকায় প্রশংসা করেছেন জয় । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে এই ঘটনার পর প্রত্যাঘাত হানতে সেনাবাহিনীদের ছাড় দিয়েছেন তা নিয়েও প্রশংসা শোনা গিয়েছে জয়ের গলায়। তবে কাশ্মীরে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বাসিন্দাদের পাথর ছোড়া নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জয় । তার কথায় দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য আমরা মৃত্যুকে পরোয়ানা করে দাঁড়িয়ে আছি । সেই আমাদেরকে কেন পাথর ছোড়া হয়। দেশবাসীর কাছে তার আহ্বান সেনাবাহিনীর হাত শক্ত করুন। আর পাকিস্তান কে উচিত শিক্ষা দিতে চেয়ে CRPF জওয়ান জয় গাঙ্গুলি জানিয়েছেন এই ঘটনার অবশ্যম্ভাবী একটি বিহিত চায়।


Conclusion:
Last Updated : Feb 19, 2019, 7:29 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.