রানিগঞ্জ, 7 এপ্রিল : কোরোনার জেরে 21 দিন ধরে লকডাউন দেশে । অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া বন্ধ সমস্ত পরিবহন পরিষেবা । নানা পার্কিংয়ে কোটি কোটি টাকার মাল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাকগুলি । শুধু রানিগঞ্জের 2 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে এরাজ্যের শতাধিক ট্রাক । ব্যাপক লোকসান তো হচ্ছেই, সঙ্গে অর্ধাহারে দিন কাটছে এই ট্রাক চালক ও খালাসিদের । বিষয়টি জানতে পেরে এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ।
রানিগঞ্জের 2 নম্বর জাতীয় সড়ক । একাধিক লরির যাতায়াতে ব্যস্ত থাকে এর একাংশ । কিন্তু চিত্রটা এখন একদম অন্য । জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে শতাধিক ট্রাক । নেই ব্যস্ততা । সবই বন্ধ । কবে লকডাউন শেষ হবে? কবে তাঁরা বাড়ি পৌঁছাবেন, কেউ জানেন না । একদিকে যেমন বিপুল আর্থিক ক্ষতি, তেমনই অসহায় তাঁরা । আজ লকডাউনের 14 দিন । যে টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলেন তা প্রায় শেষ । রাস্তায় খোলা নেই দোকানপাটও । ফলে সেখানেই কোনওমতে রান্না করে অর্ধাহারে দিন কাটছিল তাঁদের । ট্রাক চালক ও খালাসিদের এই সমস্যার কথা জানতে পেরে এবার সাহায্যের হাত বাড়ালেন রানিগঞ্জের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য়রা । তাঁদের পক্ষ থেকে ট্রাক চালকদের হাতে তুলে দেওয়া হল খাদ্যসামগ্রী ।
এবিষয়ে ট্রাক চালক বিনোদ যাদব বলেন, "ট্রাকের মালিক আমি নিজেই । পয়সা বাঁচানোর জন্য নিজে চালকের কাজ করছি । লকডাউনের দিন থেকে আটকে রয়েছি । কেউ কেউ আবার ট্রাকের ভেতরে রান্নার আয়োজন করছেন । কিন্তু এইভাবে কতদিন ? খাদ্যসামগ্রী পেয়ে তাও কিছুটা রেহাই । কিন্তু গাড়ির ভেতরে এইভাবে কতদিন লকডাউন পালন করতে হবে জানি না । ট্রাক বা লরি বেশিদিন দাঁড়িয়ে থাকলে যন্ত্রাংশ খারাপ হতে পারে ।"
ট্রাক না চলায় আয় নেই, কিন্তু রয়েছে EMI । এবিষয়ে তিনি বলেন, "একদিকে যেমন ট্রাক না চলায় অর্থ উপার্জন হচ্ছে না, ঠিক তেমনই আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে । এছাড়া, এই ভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলে EMI, ট্যাক্স মেটাব কোন টাকায় ?"