ETV Bharat / state

দুই বোনের খুনের দায়ে ধৃত দাদা, গ্রেফতার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকও

এক মাসের মধ্যে দুই বোনের মৃত্যু ৷ সন্দেহ হওয়ায় দ্বিতীয় বোনের মৃত্যুর পর আত্মীয়রা পুলিশে খবর দেন ৷ পরে ময়নাতদন্তের পর জানা যায় শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে বোনকে ৷ এরপরেই বিধানচন্দ্র পালকে গ্রেফতার করে হিরাপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করার জন্য তাপস সেন নামে একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

author img

By

Published : Jun 1, 2021, 10:54 PM IST

দুই বোনের পরপর খুনের দায়ে ধৃত দাদা
দুই বোনের পরপর খুনের দায়ে ধৃত দাদা

আসানসোল, 1 জুন : শেষ পর্যন্ত দুই বোনের পরপর রহস্যময় মৃত্যুর কিনারা করল হিরাপুর থানার পুলিশ। দুই বোনকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তাঁদের দাদা বিধানচন্দ্র পালকে। শুধু তাই নয় ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করা হল তাপস সেন নামে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে। পুলিশের দাবি, ধৃত বিধানচন্দ্র পাল দুই বোনকে খুনের কথা স্বীকার করেছে।

আসানসোলের সারদা পল্লি এলাকার বাসিন্দা বিধানচন্দ্র পাল। বাবা মা আগেই মারা গিয়েছেন। বিধানের সঙ্গে তার দুই অবিবাহিত বোন থাকতেন শম্পা ও সীমা। 14 এপ্রিল শম্পা পাল মারা যান। বিধান কাউকে না জানিয়েই রাতারাতি শম্পা পালের মৃতদেহের সৎকার করে দেয়। বিষয়টিতে সন্দেহ হয়েছিল অনান্য আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানায়, বোন হার্ট ফেল করে মারা গিয়েছে। একই ভাবে 26 মে সকালে বিধান তার আরেক বোন সীমা পালের (47) মৃতদেহ সরিয়ে ফেলেছিল বলে অভিযোগ। একমাসের কিছু সময়ের মধ্যে দুই বোনের কি করে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ কি, তা নিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা প্রশ্ন তোলেন ৷

আরও পড়ুন : সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল, ঘোষণা কেন্দ্রের

বিধান পালের খুড়তুতো ভাই প্রণব পাল বলেন, "এক মাসের মধ্যে দুই বোনের মৃত্যুই সন্দেহজনক। তাই আমরা আটকেছি। পোস্টমর্টেম হোক। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার পরেই মৃতদেহ সৎকার হবে। "
পরে ময়নাতদন্তে জানা যায় শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে সীমা পালকে। এরপরেই বিধানচন্দ্র পালকে গ্রেফতার করে হিরাপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করার জন্য তাপস সেন নামে একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দু‘জনকে আদালতে তুললে ছয় দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আসানসোল, 1 জুন : শেষ পর্যন্ত দুই বোনের পরপর রহস্যময় মৃত্যুর কিনারা করল হিরাপুর থানার পুলিশ। দুই বোনকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তাঁদের দাদা বিধানচন্দ্র পালকে। শুধু তাই নয় ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করা হল তাপস সেন নামে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে। পুলিশের দাবি, ধৃত বিধানচন্দ্র পাল দুই বোনকে খুনের কথা স্বীকার করেছে।

আসানসোলের সারদা পল্লি এলাকার বাসিন্দা বিধানচন্দ্র পাল। বাবা মা আগেই মারা গিয়েছেন। বিধানের সঙ্গে তার দুই অবিবাহিত বোন থাকতেন শম্পা ও সীমা। 14 এপ্রিল শম্পা পাল মারা যান। বিধান কাউকে না জানিয়েই রাতারাতি শম্পা পালের মৃতদেহের সৎকার করে দেয়। বিষয়টিতে সন্দেহ হয়েছিল অনান্য আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানায়, বোন হার্ট ফেল করে মারা গিয়েছে। একই ভাবে 26 মে সকালে বিধান তার আরেক বোন সীমা পালের (47) মৃতদেহ সরিয়ে ফেলেছিল বলে অভিযোগ। একমাসের কিছু সময়ের মধ্যে দুই বোনের কি করে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ কি, তা নিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা প্রশ্ন তোলেন ৷

আরও পড়ুন : সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল, ঘোষণা কেন্দ্রের

বিধান পালের খুড়তুতো ভাই প্রণব পাল বলেন, "এক মাসের মধ্যে দুই বোনের মৃত্যুই সন্দেহজনক। তাই আমরা আটকেছি। পোস্টমর্টেম হোক। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার পরেই মৃতদেহ সৎকার হবে। "
পরে ময়নাতদন্তে জানা যায় শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে সীমা পালকে। এরপরেই বিধানচন্দ্র পালকে গ্রেফতার করে হিরাপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করার জন্য তাপস সেন নামে একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দু‘জনকে আদালতে তুললে ছয় দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.